অ আ ক খ গ ঙ
মোবাইল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িত জরুরি ডিভাইস। আর প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে প্রতিনিয়তই সংযোজিত হচ্ছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা। বিশেষ করে কম্পিউটারের কাজগুলোও মোবাইলভিত্তিক হতে চলছে। বর্তমানে মোবাইলের খরচ কমে যাওয়াই উইন্ডোজভিত্তিক বিভিন্ন ফোনের ব্যবহার প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই ফলশ্রুতিতেই কম্পিউটারের মতো মোবাইলও ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছে।
মোবাইল ভাইরাস
মোবাইল ভাইরাস কম্পিউটার ভাইরাসের মতোই একটি প্রোগ্রাম। প্রথমে এটি কোনো মোবাইলে প্রবেশ করে। যা ক্রমেই অন্য মোবাইলে নিজেকে কপি করে ছড়াতে থাকে। আর এই ছড়ানোর ক্ষেত্রে কখনোবা এমএমএস, এসএমএস অন্য কোনো ফাইলের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। তবে আশার বিষয় হচ্ছে, মোবাইল ভাইরাস এখনো ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়নি।
মোবাইল ভাইরাসে ক্ষতির ধরন
মোবাইলের ফোনবুকের সব কন্ট্রাক্ট নম্বর, ক্যালেন্ডার, অ্যাপয়েনমেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় ডাটা ডিলিট করে দিতে পারে মোবাইল ভাইরাস। আবার কখনো ফোনবুকে থাকা অন্যান্য নম্বরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএস বা এমএমএস পাঠায়। যার মাধ্যমে ভাইরাস অন্য মোবাইলেও স্থানান্তর হতে পারে। আবার দেখা যায় মোবাইলের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ডিলিট বা অকার্যকর করে দেয়। এতে মোবাইলটি পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
যেসব মোবাইল আক্রান্ত হয়
২০০৪ সালে প্রথম মোবাইল ভাইরাস আক্রমণের কথা জানা যায়। এ পর্যন্ত যে সব ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, উইন্ডোজভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে চালিত ফোনগুলোই আক্রমণের শিকার। এর মধ্যে সিমবিয়ান সিরিজের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। যেমন- সিমবিয়ান অথবা সিমবিয়ান সিরিজ ৬০ ফোনগুলোই বেশি আক্রান্ত হয়েছে। তবে যেসব সেট শুধু কল রিসিভ কিংবা কল করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো ঝুঁকিমুক্ত।
অর্থাৎ সাধারণ মানের সেটগুলোও ভাইরাস থেকে পুরোপুরি মুক্ত।
বর্তমানে ব্যাপকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার এবং বিভিন্ন ধরনের ফাইল ডাউনলোড ও আদান-প্রদান করা হয়। সরাসরি মোবাইল বা মোবাইল ব্যবহার করে কম্পিউটারে ডাউনলোড করলেও ভাইরাস মোবাইলে আক্রমণ করতে পারে।
ভাইরাস আক্রান্ত কোনো মোবাইল থেকে ব্লু-টুথের মাধ্যমে অন্য ফোনেও ছড়াতে সক্ষম। এই পদ্ধতিতে ভাইরাস ফোনে বায়ুবাহিত জৈবিক ভাইরাসের মতোই ছড়াতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।
ম্যাসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে। ই-মেইলের অ্যাটাচমেন্টের মতো মোবাইল কোনো টেক্সট কিংবা এমএমএসের মতো মাল্টিমিডিয়া ম্যাসেজের সঙ্গে অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে ছড়ায়। এক্ষেত্রে ভাইরাস নিজেকে মোবাইলের কন্ট্রাক্ট লিস্টে নিজেকে প্রতিস্থাপন করে এবং লিস্টের সব নম্বরে এমএমএসের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।
প্রতিরোধের উপায়
কম্পিউটার ভাইরাসের মতো এর ব্যাপকতা না থাকায় সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানগুলোর এ বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে। তাই মোবাইল ভাইরাস বিস্তার রোধে প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধ করাই শ্রেয়।
একটু সচেতন এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে খুব সহজেই মোবাইল ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।
মোবাইলের ফাইল ফরম্যাট সম্পর্কে ভালোভাবে না জানার কারণে কোনটি কি ধরনের ফাইল তা জানা মুশকিল। তাই কোনো ফাইল সম্পর্কে সামান্য সন্দেহ হলে সে ফাইল না খোলাই ভালো।
বর্তমানে মোবাইলে ব্লু-টুথ একটি জনপ্রিয় ডাটা আদান-প্রদান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এই ব্লু-টুথের মাধ্যমেই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি এবং দ্রুত ছড়াতে সক্ষম।
তাই অপ্রয়োজনে ব্লু-টুথ অপশন বন্ধ রাখা ভালো। এতে আপনার অজান্তে অন্য কোনো ডিভাইস থেকে ভাইরাস আসতে পারবে না। এছাড়াও ব্লু-টুথের মাধ্যমে অন্য ডিভাইস থেকে ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
সিকিউরিটি আপডেট চেক করার মাধ্যমে ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। অনেক ভাইরাস আছে যেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন নামে একের পর এক ফাইল তৈরি করতে থাকে।
ভুল করে এই ফাইলগুলো খুললেই ভাইরাস পুরো ফোনে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই ফাইলের ফরম্যাট সম্পর্কে জানা থাকলে ফাইল ব্যবহারে সতর্ক থাকা সম্ভব। এজন্য বিভিন্ন সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সিকিউরিটি আপডেট বিষয়ক তথ্য সম্পর্কে জেনে রাখুন।
কিছু সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই মোবাইল অ্যান্টিভাইরাস বাজারে ছেড়েছে। যেমন- সিম্যান্টিক, ম্যাকাফি, এফ-সিকিউর উল্লেখযোগ্য।
বর্তমানে কিছু মোবাইল ফোনের সঙ্গে এ ধরনের সিকিউরিটি সফটওয়্যার দেওয়া থাকে।
কম্পিউটার থেকে ডাটা আদান-প্রদানের সময় কম্পিউটার ভাইরাস স্ক্যান করে নিন।
নীচের লিংক গুলো থেকে জনপ্রিয় ফ্রী অ্যান্টিভাইরাস ডাউনলোড করুন
Top 10 mobile antivirus for download 2010
mobile antivirus
Click This Link
Mobile antivirus free download
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।