আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Grave Of Fireflies [1988] যে মুভিটি চোখের পানি বের করে ছাড়ল

রেস্টে আছি আপাতত পোস্টানি বন্ধ :D
আমার দেয়া যত মুভির রিভিউ পোস্ট ( ডাউনলোড লিঙ্ক সহ) Grave Of Fireflies [1988] : তথ্য জানতে ডাউনলোড লিঙ্ক : স্টেজভু লিঙ্ক টরেন্ট লিঙ্ক সময়টা তখন , ১৯৪৫ সাল । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন চলছে জোরেসোরে । জাপানের বিভিন্ন শহরে প্রায়ই মিত্র বাহীনির বিমান হামলা চলছে । আর সেই হামলায় ধংস হচ্ছে শহরের আর গ্রামের বাড়িগুলো , মারা যাচ্ছে মানুষ । এমনি এক বিমান হামলার সময় ছোট বোন সেতসুকো কে নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার দ্বায়িত্ব পড়ল ভাই সেইতা'র ।

তাদের বাবা নেভিতে আছে । মা কিছুক্ষন আগেই বেরিয়ে গেছে , অন্যন্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে । সময় মত শেল্টারে পৌছাতে না পেরে সেইতা বোনকে নিয়ে আশ্রয় নিল পাহাড়ের পুরানো শেল্টারে । কিন্তু বোম্বিং শেষ হলে বের হয়ে দেখল , তাদের গ্রামের কিছুই বাকি নেই , বেশির ভাগ মানুষই পুড়ে মারা গেছে , যারা মারা যায়নি তাদের ও বেশির ভাগ আহত । মায়ের খোজ পেল , জরুরী হাসপাতালে , সারা শরীর পুড়ে গেছে , বাঁচার সম্ভাবনা নেই ।

এদিকে ঘর পুড়ে ছাই , আর উপায় না পেয়ে , বোনকে নিয়ে উঠল এক আত্মীয়ের বাড়িতে । পরের দিনই মারা গেল মা । এদিকে আত্মীয়রাও , কয়েকদিনে তাদের উপর বিরক্ত হয়ে উঠল । এখন তাদের বের করে দিতে পারলেই বাঁচে । ছোট সেতসুকো সব সময় মায়ের কাছে যেতে চায় , মা মারা গেছে তা তো সে বুঝবে না ।

আবার বাবার কাছ থেকেও কোন চিঠি পাচ্ছে না সেইতা । আত্মীয়ের খারাপ ব্যবহারে , সেইতা একদিন সিদ্ধান্ত নিল , পাহাড়ের পুরানো সেল্টারে গিয়েই থাকবে ছোট বোনকে নিয়ে, যেটা অনেকদিন আগেই পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছে । শুরু হল তাদের অন্য রকম জীবন । প্রথমে কয়েকদিন রেশনের চাল দিয়েই তাদের চলে গেল । কিন্তু এর পর শুরু হল কঠিন অংশ।

চারিদিকে খাবারের অভাব , এর মধ্যে কার বাচ্চা না খেয়ে থাকল তা নিয়ে চিন্তা করার সময় কই । চুরি করে কয়েক দিন খাবার আনলেও। তাতে সুবিধা করতে পারল না সেইতা । এদিকে খাবারের অভাবে আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে পড়ল ছোট বোন সেতসুকো । সেইতা না পারে অভাবের শহরে খাবার জোগাড় করতে আর না পারে অসুস্থ বোনের চিকিৎসা করতে ।

এমনি সময় সেইতা খবর পেল , তাদের বাবা জাহাজ আক্রমনে মারা গেছেন । কি করবে এখন সেইতা .....................। বোনকে তো বাচাতে হবে তাকে । মুভি দেখে চোখ ভিজে উঠেছে , এমন মুভি অনেক আছে । কিন্তু একটা টূ-ডি কার্টুন দেখে অঝোরে কান্না আসবে কখনো ভাবতে পারিনি ।

অনেকেই এনিমেটেড মুভি পছন্দ করেননা , আর টু-ডি হলে তো আরো না , তবুও সবাইকে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি । মুভিটির মেকিং , এবং কাহীনি সিকুয়েন্স এতো অসাধারন যে , যে কারো ভাল লাগতে বাধ্য । আর একটা কথা , স্টেজভু'র যে লিঙ্কটা দিলাম সেই মুভিটা ভাষা ইংলিশ , কিন্তু টরেন্টের টা সম্ভবত জাপানী তবে ইংলিশ সাবটাইটেল আছে ।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।