থিংক সিম্পল।
এক খ্রীষ্ট ধর্মের অনুসারীর সাথে কথা হচ্ছিল। সে বলল যে গড আছে এর প্রমাণ সে নাকি পেয়েছে। কোন এক স্টেটে কারেন্টের খাম্বার মধ্যে লতাপাতা দিয়ে গড ক্রস তৈরী করে তাকে এ অবিশ্বাসীদের মাথা নত করে দিয়েছে। আমি তাকে বললাম, দেখ, তুমি ক্রসে বিলিভ কর, সেখানে খাম্বাটাতে ক্রস আগে থেকে ছিল, কিছু লতা পাতা দিয়ে ঢেকে যাওয়ায় তা তোমার কাছে মনে হচ্ছে মিরাকল।
কিন্তু আমিতো গডেই বিলিভ করি না। ক্রস আমার কাছে কোন মানেই রাখে না। এর পর আজকে বাসায় এসে খেলতে বসে নিচের ছবিটি আবিসকার করলাম।
এখনকি আমার ক্রসে বিশ্বাস করা উচিত?
আসলে জীব জগতের প্রতিটি প্রাণীই প্যাটার্ণ ফ্রিক। এটা বেচে থাকার অন্যতম উপাদান।
প্যাটার্ণ দেখে বা প্যাটার্ণ পরিবর্তন করে খাদ্য ও খাদকেরা নানা সুফল লাভ করে। কিন্তু এই প্যাটার্ণ যখন একজন ধর্মান্ধের কাছে অর্থপূর্ণ হয়, তখনি সমস্যা দাঁড়িয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় যে এই প্যাটার্ণ লাভের র্যা শনাল কারণ তারা দেখতেই চায় না। আবার র্যা শনাল কারণ প্রোভাইড না করতে পারলে ধরে নেয় তার বিশ্বাসই সত্য।
খ্রীষ্টানদের থেকে ব্যতিক্রম নয় মুসলিমেরা।
তারা প্রকৃতিতে এরকম প্যাটার্ণ খুজে পাবার পাশাপাশি কুরানেও আবিস্কার করছে বিজ্ঞান। এক্ষেত্রে তারা দাবী করছে এই মিরাকল বুঝতে হলে ডিপ রিডিং করতে হবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে যতই ডিপ রিডিং আপনি করেন না কেন, আপনি যেই বিজ্ঞানের কথা বলছেন তা বিজ্ঞানের জ্ঞান না থাকলে কখনই পেতেন না। Click This Link target='_blank' > ব্লগেই পোস্ট এসেছে কুরানে আধুনিক এম্ব্রিওলজির কথা আছে এবং তা নিখুত। প্রথমত এটা থাকার কথাই না, কারণ এম্ব্রিওলজি খুব সাম্প্রতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দ্বারা অনেক বেশী পরিস্কার হয়েছে আমাদের কাছে।
তাহলে যেটা থাকতে পারে যে প্রাচীনকালে মানুষের ধারনা এবং তার উপর আধুনিক বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রয়োগ করে প্যাটার্ণ খুজে পাওয়া। এবং তেমনটিই ঘটেছে।
যেমন নুতফাঃ শব্দটির অর্থ স্রেফ ফোঁটা বা অল্প পরিমান পানি الماء الصافي؛ قليلاً كان أو كثيراً. فمن القليل نُطْفَةُ الإنسان। আরবরা অনেক সাধারণত অল্প পরিমান পানি এই অর্থেই ব্যবহার করত, আর পুরুষের খলনের সময় যে পরিমান পানি বের হয় তার জন্যে একে নুতফা বলা হত। এখন এই প্যাটার্ণ ফ্রিকরা ফোটাকে প্রথমে ধরে নিল পুরুষের শুক্র তারপর নারীর এগ এর পর এদের দ্বারা গঠিত এম্ব্রিও, তারপর ফিটাস।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিজ্ঞান যদি তার আবিস্কারের মাধ্যমে এই পুরো প্রক্রিয়াটা না জানাতো, তবে তারা যতই ডিপ রিড করুক না কেন, এই জ্ঞান লাভ করতে পারত না। অথচ এই ফোটা শুক্র থেকে ডিম্ব হয়ে একেবারে জায়গোট পর্যন্ত হয়ে গেল! এবং দেখুন নিচের আয়াতে বৈজ্ঞানিক ভাবে ব্যবহৃত সুনির্দিষ্ট শব্দগুলোই ব্যবহার করা হয়েছে।
75:37 Was he not gametes that moved to join?
নুতফা শব্দের মানে কি? অনেকগুলো অর্থ আছে, আপনি গুগল এ যেয়ে স্পার্ম লিখে সার্চ দেন, নুতফা পাবেন। ভ্রুন টুন তো দুরের কথা, নারীর সাথে সম্পর্কিত এমন কোন অর্থই এই নুতফার নেই, তা জানতে এই সাইটে যান http://www.openquran.org/# কুরান ভিউয়ারে ক্লিক করে সুরা রুট এন্ড ইংলিশ ট্রান্সলেশন এ টিক দিয়ে সুরা মুমিনুনের ২৩তম আয়াত সার্চ দিন। তাহলে যে অর্থগুলো আপনি দেখতে পাবেন to flow gently, extrude, ooze, exude, drop, pour, trickle. তাহলে এটাই দেখা যাচ্ছে যে এই ফোটা বলতে যা বুঝায় তা পুরুষের সাথে কিছুটা হলেও সম্পর্কিত।
তাহলে নুতফা বলতে আসলে কি বোঝায়? এর সমাধানে আসতে যারা এই কথা লিখেছে, তারা কি বুঝত সেটা খুজে দেখতে হবে। প্রথমেই তাফসীরে জ্বালালাইন দেখি
২৩ঃ১৪ Then We transformed the drop [of semen] into a clot, congealed blood.
তাফসীরে জ্বালাইল এখানে পানির ফোটা বলতে সিমেন বুঝিয়েছেন। এছাড়াও যেমনটা বলেছিলাম নুতফা মুলত বুঝায় অল্প পরিমান পানিকেঃ যেমন নিচের হাদিসটিতে দেখি
النبي صلى الله عليه وسلم-: أنه كان في غزوة هَوَزِانَ فقال لأصحابه يوما: هل من وضوء؛ فجاء رجل** بنُطْفَةٍ **في ادَاوَةٍ فافتَضَّها، فامر بها رسول الله صلى الله عليه وسلم- فصُبَّت في قدح، فتوضَّأنا كلنا ونحن أربع عئرة مئةً نُدغْفِقُها دَغْفَقَة. يريد الماء القليل
একবার গাযোয়ায় রাসুল তার সাহাবীদের জিজ্ঞাসা করলেন তোমাদের কি ওযু আছে? অতঃপর এক লোক আসল একটা পাত্রে অল্প পরিমান পানি নিয়ে, তারপর রাসুল আমাদের আদেশ করলেন যে উহা দ্বরা ওজু করে নিতে এবং আমরা তা দ্বারা ওযু করে নিলাম, আমরা ছিলাম চারশ জন। (শর্ট কাটে লিখলাম)
তাহলে দেখা যাচ্ছে এই নুতফা বলতে অল্প পরিমান পানিকেই বুঝায়, এগ আর স্পার্মের সাথে মিলিত কোন কিছুকে না। আপনারা যদি আরো ইনভেস্টিগেট করতে চান যে নুতফা এর মানে কি, তাহলে এ সাইটে পাচটা আরবী টু আরবী ব্যকরণ আছে, দেখে নিতে পারে।
এবার দেখি এ প্রসংগে তাফসীরে ইবনে কাসিরে কি লিখেছে
(Then We made the Nutfah into a clot,) meaning, `then We made the Nutfah, which is the water gushing forth that comes from the loins of man, i.e., his back, and the ribs। of woman, i.e., the bones of her chest, between the clavicle and the breast. Then it becomes a red clot, like an elongated clot.' `Ikrimah said, "This is blood.''
যাক, তাহলে আশার আলো দেখা যচ্ছে, গ্রীকদের ধারনার সাথে মিল পাওয়া গেল যে পুরুষের পানি আর নারীর পানি এখানে গ্রহণযোগ্য, কিন্তু নারীর কোন পানি? নারীর কোন পানি জাতীয় কিছু কি বের হয় যা জন্মদানে ভুমিকা রাখে এবং তা নারীরা দেখতে পারে পুরুষদের ন্যায়?
এই হাদিস টিতে দেখা যাকঃ Narrated Abu Salama: Um Salama said, "Um Salaim said, 'O Allah's Apostle! Allah does not refrain from saying the truth! Is it obligatory for a woman to take a bath after she gets nocturnal discharge?' He said, 'Yes, if she notices the water (i.e. discharge).' Um Salama smiled and said, 'Does a woman get discharge?' Allah's Apostle said. 'Then why does a child resemble (its mother)?"
তাহলে নারীদেরো ছেলেদের মত স্বপ্নদোষ হয়, কারণ আমি যতদুর জানি নারীদের ডিম্বানু ডিসচার্জের সময় নারীরাও টের পায় না। অতএব এই তরল বলতে এমন একটা তরলকেই নির্দেশ করছে যা কাসিরে বর্ণিত হয়েছে। আবার দেখি আরেকটি হাদিসে কি বলা আছে
Narrated Anas: Why does a child resemble its father, If a man has sexual intercourse with his wife and gets discharge first, the child will resemble the father, and if the woman gets discharge first, the child will resemble her."
তাফসীরে ইবনে কাসির এটারি প্রতিদ্ধ্বনী করেছে। আর আমারো কোন আইডিয়াই নেই যে ইন্টারকোর্সের সময় স্ত্রীরা তাদের ডিম্বানু জাতীয় কোন কিছু ডিসচার্জ করে কিনা।
তবে এরকমটাই জানি যে এই ঘটনার সাথে চাইল্ড এর চেহারার কোন সম্পর্ক নেই। তবে আমি যদি প্যাটার্ণ ফ্রিক হতাম, তাহলে বলতাম এই হাদিসে ক্রোমোজোমের হিন্ট দেয়া আছে, আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের জানিয়েছে যে যার ক্রোমোজোম ডমিনেট করবে, সন্তান দেখতে তার মতই হবে! কিন্তু আমি জানি যে এখানে কি বলা আছে এবং সেই সময়ের মানুষ এটা দিয়ে কি মিন করত।
মুলত নুতফাহ শব্দটা প্রাণহীন কোন কিছুকেই বোঝায়। কারণ অল্প পরিমান পানির জান থাকতে পারে তা আগেরকার মানুষ জানত না, তাদের ধারনা ছিলনা যে পুরুষের সিমেন (স্পার্ম ও না) প্রান যুক্ত কোন কিছু, এ কারনেই কুরানে বলা হয়েছে প্রথমে তোমরা মৃত ছিলে আমি তোমাদের জীবিত করেছি, তোমরা আবার মরে আমার কাছেই আসবে। ধারণা ছিল পুরুষের রয়েছে বীর্্যর, যা গাছের বীজের ন্যায়।
আর নারী হচ্ছে শস্য ক্ষেত্র। এই পুরুষটি যখন নারীর জরায়ুতে তার শুক্রানু ডিসচার্জ় করে, তখন তা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকে। নারীর জরায়ু থেকেও এক ধরনের তরল বের হয়। যা জন্মদানের ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখে। গ্রীকদের মতে ঋতুর রক্ত।
Narrated Abdullah: Allah's Apostle, the true and truly inspired said, "(as regards your creation), every one of you is collected in the womb of his mother for the first forty days, and then he becomes a clot for an other forty days, and then a piece of flesh for an other forty days. Then Allah sends an angel to write four words: He writes his deeds, time of his death, means of his livelihood, and whether he will be wretched or blessed (in religion). Then the soul is breathed into his body. So a man may do deeds characteristic of the people of the (Hell) Fire, so much so that there is only the distance of a cubit between him and it, and then what has been written (by the angel) surpasses, and so he starts doing deeds characteristic of the people of Paradise and enters Paradise. Similarly, a person may do deeds characteristic of the people of Paradise, so much so that there is only the distance of a cubit between him and it, and then what has been written (by the angel) surpasses, and he starts doing deeds of the people of the (Hell) Fire and enters the (Hell) Fire."
দেখেন, প্রাণ তথা রুহ ফুকে দেয়া হয় ১২০ দিন পর। আর কে না জানে আযরাইল রুহ যখন কবজ করে তখন প্রাণ থাকে কি থাকে না। আরেকখান হাদিস ছিল যাতে বলা হয়সে মেল এন্ড ফিমেল এইটা ১২০ দিন পর নির্ধারিত হয়! এই সকল হাদিসগুলাও অনেক আধুনিক ইংরেজীতে অনুবাদ করা। ইসলাম অনলাইনে আরবী হাদিসগুলা পাচ্ছিনা বলে অনুবাদ ছাড়া দিতে পারলাম না। এ আয়াতটি যদি বৈজ্ঞানিক দাবী করা হয়, তাহলে আয়াতটি ১০০% ভুল হবার কারণ শব্দের অর্থে নয়, কারণটি রয়েছে হুরুফে।
এরপরেও অনেকে বলেছেন যে কয়েকটি সিনোনেম যদি থাকে তাহলে কেন তা গ্রহনযোগ্য হবে না? এক্ষেত্রে আমার জবাব হল গ্রহনযোগ্য হবে অবশ্যই, তবে সেই সিনোনেমটাও বৈজ্ঞানিক ভাবে স্পেসিফিক হতে হবে এবং সুন্নাহও তাকে সমর্থন করবে, কিন্তু তেমন কিছুতো থাকতে হবে? বাস্তবে এমন কিছুই পেলাম না যা স্পেসিফিক বৈজ্ঞানিক অর্থ দিয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে আমরা যদি সুন্নাহকে অস্বীকার করতে চাই, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নিজের মনমত অর্থ নিতে চাই এবং এই সকল আয়াতের ব্যাপারে যে অতীত তথ্য পাওয়া যায় তা অস্বীকার করতে চাই, তাহলে শরিয়ার ক্ষেত্রেও বোরখা সহ নামাজ, রোজা সব শব্দের ক্ষেত্রে ইচ্ছামতন অর্থ করে এই সকল কাজের অপ্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করা খুবই সহজ সাধ্য। কোরানে বোরখা বলতে কোন শব্দই উল্লেখ নেই। ইনফেক্ট এই কাজ কুরান অনলিরা করছে।
যেমন
Arabic word ;; Arab corruption ;; Fundamental meaning
Islam ;; Submission ;; Peacefulness
Muslim ;; One who submits ;; One who is at peace
Solaa ;; 5 daily ritual prayers ;; Commitment/obligation/covenant
Bayta ;; God’s house ;; A system
Baytal-harama ;; God’s sacred house ;; The sanctions in the system
Musol-lan ;; A place of prayer ;; A committed man
Musol-leen ;; People who pray ritually;; People who are committed
Asra ;; Journey ;; Captivated
Sujud ;; Bow and prostrate ;; Submit in humility
Masajid ;; Mosque ;; Submissions
Hajj ;; The annual pilgrimage ;; To challenge or discourse
Zakaa ;; Paying of religious tithe ;; To purify or keep pure
আজকের জুগের জ্ঞানানুযায়ী কেউ যদি বলতে চান কুরানে যা বলা আছে তা বিজ্ঞানের সাথে যায়, তাহলে আমার পক্ষেও এমন একটা কুরান দাঁড় করানো সম্ভব যা মুসলমানদের পক্ষেই যায় না।
আমার এইসব বিষয়ে আর লিখতে ইচ্ছে করেনা। কিন্তু আজো বাসে দেখলাম হকারকে হাসিমুখে নেমে যেতে, কারণ তার অতীত বর্তমান ভবিষ্যত জানানো বইটি ভালই বিক্রি হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।