আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইইএফ, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও একটি নিবন্ধ

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

আজকের প্রথম আলোতে সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর ইইএফ‌-এন্টারপ্রেনার ইকুইটি ফান্ড নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। সুফি সেখানে সেই কথাগুলো বলেছেন যা দীর্ধদিন ধরে আমাদের তরুন আইটি উদ্যোক্তারা বলছেন। সহজভাবে এ ফান্ড প্রাপ্তির জন্য তিনবছরের কোম্পানির অভিজ্ঞতা, কাগজপত্রের নানান প্রাপ্যতা ইত্যাদি যেসব বিষয় রয়েছে সেগুলো, সুফির মতে যতোটা না উদ্যোক্তা বান্ধব তারচেয়ে বেশি ‘কাগুজে’ লোকজন বান্ধব। সুফি একটি হিসাবও দিয়েছেন যে, এরকম একটি প্রস্তাবনা তৈরি করতে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়।

যারা কোন প্রাপ্তিযোগ ছাড়া এই টাকা খরচ করতে পারেন তাদের ইইএঢ ফান্ডের টাকা কেন প্রয়োজন? ঠিকই তো, ১২ লক্ষ টাকা ফাও খরচ করে যে প্রতিষ্ঠান সেটির কেন সহায়তা দরকার? সুফি আমাদের এক বিশাল তরুনগোষ্ঠির কথা উল্লেখ করেছেন - ফ্রিল্যান্সার প্রতিষ্ঠানগুলো। এগুলো আমাদের দেশের অর্থণীতির হিসাবে কোন প্রতিষ্ঠান নয়, কিন্তু ওরা আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করছে। তারমানে ওরা সক্ষম। ওদেরকে কে সহায়তা করবে? সুফির প্রস্তাব হলো ইইএফ ফান্ডের তিনটি শর্ত সহজ করা হলে আইসিটি উদ্যোক্তারা এটি ব্যবহার করতে পারতো। আমি আশা করি, যারা এই ফান্ডের সঙ্গে যুক্ত তারা এই বিষয়টি খেয়াল করবেন এবং সে অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

তবে, শেষ পর্যন্ত ইইএফ আসলে একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা। ব্যাংক স্বভাবত “জামানত” খোজে। এর বিপরীতে রয়েছে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংস্থাগুলো। এই ধরণের সংস্থা বা ব্যক্তি আমাদের দেশ কই? আমি দেখি না। আমাদের মনে রাখা দরকার, সিলিকন ভ্যালিতে আইটি বিপ্লবের একটি পা হলো ভেঞ্চার ক্যাপিটাল।

(অন্যটি উদ্ভাবনী শক্তি)। কেবল যদি আমরা গুগলের কাহিনী দেখি তাহলে দেখবো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ভেঞ্চার ক্যাপিটালের কারণে গুগল দাড়াতে পেরেছে। এই ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলো কাগজপত্র দেখে বিনিয়োগ করে না!!! বিনিয়োগ করে উদ্ভাবনী চিন্তা‌-ভাবনা দেখে। এবং সেটা করে বলে সপ্তাহ বা মাস কয়েক স্থায়ী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দ্বিধা করে না। সান মাইক্রোসিস্টেমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এন্ডি বেথটোশেইম গুগল কোম্পানি হওয়ার আগেই গুগলকর্তাদের পেজ আর ব্রিনকে এক লাখ ডলার দেন!!! প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের দেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি কে করবে? সরকার? আমার নিজের একটি মত হচ্ছে, ইইএফ ফান্ডকে ভিসি বানানোর জন্য লড়াই সংগ্রাম আমরা করবো।

তবে, এর পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে কী কিছু করা যায় না??? গেল বছর বাগেরহাটে জ্ঞান উৎসব থেকে ফেরার পথে মুক্তিযোদ্ধা তসলিম ভাই‌এর সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। তিনি তখন বলেছিলেন এ কাজটা তিনি করতে চান। কিন্ত, এর কিছুদিন পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে যান। ফলে, আর এগুনো হয় নি। ধরা যাক এরকম একটি ভিসি তহবিল আমরা করতে চাই।

তাহলে আমাদের কী করা দরকার? আমি জানি না। আমি একসময় ভাবতাম মিউচুয়াল ফান্ডগুলো মনে হয় এ কাজ করে। কিন্তু এখন দেখছি আসলে সেটা ঠিক নয়। ব্যাংক থেকে শুরু করে যতলোকের টাকা আছে সবাই মনে হয় এখন শেয়ার মার্কেটে গিয়ে বসে আছে। আজকে প্রথম আলোর একটি খবর হলো শিল্পঋণের ৩০ কোটি টাকা নাকি শেয়ার মার্কেটে !!! দেশে ভিসির একটি উদ্যোগ সম্ভবত গ্রামীণ ফান্ড ।

তবে, আমি ঠিক জানি না। আমি ভাবছি আমরা নিজেরা কী একটি ভিসি ফান্ড করতে পারি না? { এই লেখাতে ইইএফের লিংকগুলো (http://www.icb.gov.bd) দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আইসিবির সাইট এক্সেস করতে পারছি না। এই নোটিশটা ঠিক হলে নিয়মাবলীর জন্য খরচ হয় মাত্র ৫০০০ টাকা। }


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।