আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে হরতাল আওয়ামী লীগই ডেকেছে

এক সুময় ব্যান খাইতে চ্রম টেস্ট লাগতো, এখন খাইতে কিরাম যেন তিতা তিতা লাগে.. তাই খাওন ছাইড়া দিচি...

হরতালে চট্টগ্রামে মিছিল-সমাবেশ করে রাজপথ কার্যত দখল করে রেখেছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপিকে মিছিল করতে দেয়নি পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দুইপক্ষে বিভক্ত নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোড়গুলোতে অবস্থান নেয়। পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে রিকশা, মটর সাইকেল ও ট্রাাকে চড়ে মাইক নিয়ে মিছিল ও সমাবেশ করে। হরতাল আহ্বানকারী বিএনপি নেতাকর্মীদের দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনের ফুটপাতেই আটকে রাখে পুলিশ।

মাইক ছাড়াই মহানগর কমিটির উদ্যোগে সেখানেই সমাবেশ করে তারা। আওয়ামী লীগ নেত-কর্মীরা দারুল ফজল মার্কেট সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায়, আন্দরকিল্লার মোড়, নিউ মার্কেট মোড়, লালখান বাজার মোড়, বহদ্দার হাট, আগ্রাবাদ মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে হরতালবিরোধী সমাবেশ ও মিছিল করেন। সকালে আন্দরকিল্লার মোড়ে নগর কমিটির সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী হরতালবিরোধী সমাবেশে অংশ নেন এবং রিকশা ও মটর সাইকেল মিছিলে নেতৃত্ব দেন। তিনি লালখান বাজার মোড় ও দারুল ফজল মার্কেট দলীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশেও বক্তব্য রাখেন। মহিউদ্দিনবিরোধী বলে পরিচিত সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম বিএসসি তার অনুসারীদের নিয়ে নিউ মার্কেট মোড়ে সমাবেশ ও মিছিল করেন।

এছাড়া, সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন এলাকায় রিকশা, মটর সাইকেল ও ট্রাক নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে মিছিল করতে দেখা যায়। সরকারি দলের এ তৎপরতা দেখে নগরবাসী অনেকেই বলেন, বিরোধী দলের হরতাল আওয়ামী লীগই সফল করে দিয়েছে। নাসিমন ভবনে বিএনপি কার্যালয় সকাল থেকেই ঘিরে রাখে পুলিশ। রাস্তায় নামতে না পেরে পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যেই সেখানে সমাবেশ হয়। সমাবেশে মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "বর্তমান সরকার দলীয় মাস্তান, সন্ত্রাসী ও পুলিশ দিয়ে বিএনপিকে দমানোর চেষ্টা করছে।

আওয়ামী লীগ পুলিশ প্রহরায় মিছিল-সমাবেশ করছে, আর বিএনপিকে কিছুই করতে না দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। " সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য রোজী কবীর, নগর কমিটির সহ-সভাপতি দস্তগীর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি শামসুল আলম প্রমুখ। সকালে নগরীর বহদ্দার হাট ও কাজীর দেউরীসহ কয়েকটি স্থানে বিএনপি মিছিল করতে চাইলেও পুলিশি বাধায় পারেনি। ওই দুটি এলাকায় নয়জন আটক হয়েছেন। কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক নাজনীন সুলতানা যুঁথী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "কাজীর দেউরী ও আলমাস সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকা থেকে পিকেটিং করার সময় সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

" তারা হলেন- জানে আলম, মিজানুর রহমান, আহমদ নবী, মমিনুল হক বাচ্চু, মফিজুর রহমান, মাসুদ ও জাহাঙ্গীর। এছাড়া বহদ্দারহাট মোড় হতে দুই বিএনপিকর্মীকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানার ওসি আবু জাফর মো. ওমর ফারুক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।