আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানববন্ধনঃ বড়পুকুরিয়ায়



ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা অনুযায়ী জমির দাম নির্ধারণ এবং কয়লা খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বড়পুকুরিয়াবাসী। বড়পুকুরিয়া ভূমি ও সম্পদ রক্ষা কমিটির ডাকে শনিবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এ কর্মসূচিতে নারী-পুরুষ-শিশুসহ দুই হাজার মানুষ অংশ নেয়। পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া বাজার থেকে কালুপাড়া পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ ছিলো ওই মানববন্ধন। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গত ৯ নভেম্বর অনুমোদন করে একনেক। সরকারে খনি এলাকার প্রায় সাড়ে ৬০০ একর জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করেছে।

প্রতি একর কৃষিজমির জন্য ২০ লাখ টাকা এবং বসতি এলাকায় প্রতি একরের জন্য ২৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। তবে সরকারের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা। বড়পুকুরিয়া ভূমি ও সম্পদ রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা মশিউর রহমান বুলবুল মানববন্ধনের পর এক সমাবেশে বলেন, "ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাড়ি ও দোকান-পাট রয়েছে, এমন প্রতি শতক জমির বর্তমান সর্বনিম্ন মূল্য ১ লাখ টাকা, সেখানে একরপ্রতি ২৫ লাখ টাকা আমরা মেনে নিতে পারি না। " তাদের দাবি, ২০০৯ সালের ১৫ মে সরকারের পক্ষে পেট্রোবাংলা, খনি কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর সমঝোতা অনুযায়ী জমির মূল্য নির্ধারণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। মশিউর বলেন, মাওয়ায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তার সঙ্গে বর্তমান মূল্যস্ফীতি হিসেব করে বড়পুকুরিয়া এলাকার জমির দাম ঠিক করতে হবে।

অথবা খনি এলাকায় সা�প্রতিক জমি বিক্রির সর্বোচ্চ দাম হিসেবে করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ২০০৯ সালের বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো বলে জানান তিনি। এছাড়া পুনর্বাসনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট স্থান জানানোর দাবিও করেছেন মশিউর। সুত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।