আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লেখা শেখাতে শিশুদের বিয়ে!


ইংল্যান্ডের উস্টার। সেখানকার ওয়ারডন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র গেথিন ফক্স। বয়স ছয় বছর। তার সহপাঠী এক ছাত্রী পাঁচ বছরের ক্যালি গিয়েরি। আর দশটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের কোনো তফাত নেই।

তারপরও গেথিন আর ক্যালি খবর হয়েছে, কারণ স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের দুজনকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। একটি বিষয় নিয়ে কীভাবে লিখতে হয় তা ভালোভাবে শেখাতেই নাকি এই অভিনব আয়োজন! কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হলো, বিয়ের আয়োজন করতে গিয়ে রাজ্যের কথাবার্তা চলে। অনেক পরিকল্পনা করতে হয়। কাছ থেকে সরাসরি ব্যাপারটা দেখলে শিশুরা তাদের শব্দভান্ডার বাড়াতে পারবে। আর তা লিখে প্রকাশ করতে গিয়ে তাদের লেখার হাতও পাকবে।

স্কুলপড়ুয়া শিশুদের বিয়ে দেওয়ার এ ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এর সমালোচনা করে একদল বলছেন, এটা শিশুদের ইচড়ে পাকা করবে। এর মাধ্যমে তাদের মাথায় যৌনতাও ঢোকানো হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় পৌর পরিষদ স্কুল কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগকে ‘সৃষ্টিশীল’ আখ্যা দিয়ে এর সমর্থন করেছে। বর ও কনের বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন, শিক্ষক ও সহপাঠীদের উপস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি গির্জায় বিয়েটা হয়।

স্কুলের উপপ্রধান সারাহ অ্যালেন (২৯) জানান, এই চিন্তা এসেছে প্রথম শ্রেণীতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মীদের মাথা থেকে। বিয়ের খরচ উঠেছে মূলত অনুদান থেকে। তিনি বলেন, বিয়ের পোশাকের নকশা, অতিথিদের স্বাগত জানানো, বিয়ের কেক, ভোজ, নবদম্পতির হানিমুন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা শিশুরা বেশ উপভোগ করেছে। এর মধ্য দিয়ে বিয়ের মাহাত্ম্য বুঝতে পেরেছে তারা। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক সংগঠন ক্যাম্পেইন ফর দ্য রিয়েল এডুকেশনের চেয়ারম্যান নিক সিয়েটন বলেন, ‘এটা পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়।

শিশুদের লেখার দক্ষতার উন্নতি করতে হলে ব্যাকরণ, বানান শিক্ষা দেওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, বিয়ে নয়। প্রথম আলো অনলাইন
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.