সমস্ত প্রাগ কথন,,অনির্ধারিত কিছু শব্দ..
১০০ বছরে পড়ল তলস্তয়ের মৃত্যু। ১৯১০ সালের ২০ নভেম্বর তলস্তয়ের মৃত্যু হয়। গত এক শতকের বেশি সময় ধরে তিনি পৃথিবীর মহত্তম লেখক ও চিন্তক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। অনেকের মতে, তিনি বিশ্বের সেরা ঔপন্যাসিক। তার পুরো নাম লেভ নিকলায়েভিচ তলস্তয়।
জন্ম ২৮শে আগস্ট রাশিয়ার তুলা প্রদেশের ইয়াস্না পলিয়ানায়।
তার উপন্যাসগুলোর মধ্যে 'আনা কারেনিনা', 'যুদ্ধ ও শান্তি', 'পুনরুজ্জীবন' বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাস ছাড়াও নাটক, ছোট গল্প, শিশুসাহিত্য ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন তিনি। তার পুরো সাহিত্যকর্ম ৯০ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
১৯১০ সালের ২০ নভেম্বর রাশিয়ার আস্তাপোভো নামক এক প্রত্যন্ত স্থানের রেলওয়ে স্টেশনে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে মারা যান।
শেষ জীবনে জীবন যাপন পদ্ধতির সঙ্গে বিশ্বাস ও প্রতিজ্ঞার মিল নিয়ে সংকটগ্রস্থ হয়েছিলেন। এ সংকটের কারণে ভূস্বামী তলস্তয় পরিবারের সদস্যদের অমতে ঘর ছেড়েছিলেন। এবং অযত্নে অবহেলায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
সমাজ পরিবর্তনের জন্য কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যোগ দেননি তলস্তয়।
তবে জারের বিরোধিতা করেছেন। জনমত গঠনে তার ভূমিকাকে জার ভয় পেতেন।
পাদ্রীদের সমালোচনা করেছেন তলস্তয়। শাস্তি স্বরূপ যাজকরা তাকে খ্রিস্ট ধর্ম থেকে বহিষ্কার করেছে। তিনি যখন মারা যান তখন পাদ্রীরা এসেছিলেন, কিন্তু কাউকেই কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি।
দেশের ও বিদেশের হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াই তাঁর শবযাত্রায় শামিল হয়ে তাঁকে সমাহিত করে।
বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে তলস্তয় খুব পরিচিত নাম। তার অনেক রচনা বাংলায় অনূদিত হয়েছে। তবে সাহিত্যিক মহলে কোনোভাবে তার মৃত্যুশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে বলে জানা যায়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।