অলৌকিক আনন্দের ভার বিধাতা যাহারে দেন,তাহার বক্ষে বেদনা অপার;
ছোট বেলায় ইংরেজিতে রচনা পরতাম “দি কাউ ইজ এ পেট এনিম্যাল। ইট হ্যাজ ওয়ান লেগ এন্ড ফোর টেইলস। ”
ঈদের আগের দিন রচনা টা আবার মনে পরে গেল। পাশের বাসায় আক্কাস সাহেব ও তার স্ত্রীর ঝগড়া হচ্ছিল ঈদের আগের দিন। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আক্কাস সাহেব বলে বসলেন, “আগে তো আমায় গরু বলে ডাকতে,আজ ডাকলে না যে?”
স্ত্রীঃগরুর দাম লাখ টাকা।
তোমার তো এক পয়সা মূল্য ও নাই।
আক্কাস সাহেব একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন “তবে আগে যে আমায় গরু বলে ডাকতে............”
স্ত্রীঃডাকতাম কারন গরু একটি গৃহপালিত পশু।
এটি গরু রচনার প্রথম লাইন ছিল। বাস্তব জীবনে এর কি নির্মম প্রয়োগ। পুরুষেরা গৃহে সব সময় ই এই ধরনের এডাম টিজিং এর শিকার।
সে খবর কয়জন রাখে।
রোজার ঈদের সময় ছিল ফাইনাল এক্সাম এর তাড়া। এবার প্র্যাক্টিক্যাল এক্সাম। তারপরও ব্লগ লেখছি কারন কবিগরু(poetcow) বলেছেন,
“পড়ালেখা লয়ে বিব্রত রহিতে,
আসে নাই কেহ ঢাকা ভার্সিটিতে। ”
একটা সময় ছিল যখন লাখ টাকায় গরু কিনলে পত্রিকায় ছবি ছাপা হত।
নিচে ক্যাপশন থাকত “কে গরু?”
এখন অবশ্য দিন বদলেছে। এখন সিকি লক্ষ টাকায় গরু কিনলে গরু না রামছাগল তাই বোঝা যায় না। অর্ধলক্ষ দিয়ে কিনলে একটু মোটাতাজা গরু কেনা যায়। আর লাখ টাকার গরু তো এভেইলেবল।
অনেকেই গরু কিংবা হরিনের চোখের সাথে গার্লফ্রেন্ডের চোখের মিল খোঁজে।
এখানে বলে রাখা ভাল গরু এবং হরিন দুটোই নিরীহ প্রাণী হলেও গার্লফ্রেন্ড কিন্তু নয়।
কোরবানীর ঈদ আসলেই মোজো কসাই এর কসাই সাপ্লাই শুরু হয়। সেই এস এম এস প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে জেতার পর মজ কোম্পানী আমার এক ফ্রেন্ডকে এস এম এস পাঠায় আপনি এবারের ঈদে মোজো কসাই নির্বাচিত হয়েছেন। অর্থাৎ গরুর জন্য কসাই খোঁজতে গিয়ে নিজেই কসাই হয়ে গেছে।
মানুষের বিবির্তনের ধারাটা কিন্তু চমৎকার।
যখন প্রেম করে তখন প্রথম বিবর্তনে মানুষ থেকে হয় গরু(অর্থাৎ যেখানে সেখানে যাবর কাটে বুট বাদআম খায় আর কি)।
তারপর দ্বিতীয় বিবর্তনে হয় গরু থেকে গাধা। এ বিষয়ে একটা কৌতুক বলি,
“একবার বাবা ছেলেকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় গেছে। গাধার খাঁচার সামনে দাঁড়ানোর সময় গাধা আর গাধী দেখে ছেলের প্রশ্ন , বাবা বাবা গাধা টা কি গাধীটাকে বিয়ে করেছে?
বাবার সরল উত্তর হ্যাঁ বাবা কেবলমাত্র গাধারাই বিয়ে করে। ”
কোরবানী ঈদের আগে দুই বন্ধুর মোবাইলে কথা হচ্ছে,
১ম বন্ধুঃ গত ঈদে তোরা কি ছিলি?গরু না ছাগল?
২য় বন্ধুঃ গতবার গরু ছিলাম(!)।
১ম বন্ধুঃ এইবার ও কি গরু?
২য় বন্ধুঃএইবার আমরা গরু ছাগল দুইটাই।
উপরের আলাপচারিতা থেকেই বোঝা যায় আমরা নিজেদের মানুষ ভাবার চেয়ে গরু ছাগল ভাবতেই বেশি পছন্দ করি।
কোরবানী শব্দটা হিন্দী সিনেমায় বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়। যেমন “কোরবান হোয়া তেরে পেয়ার মে আ.........আ.........আ............আ.........আআআআ” টাইপ। ব্যাপার টা আসলেও ঐ টাইপেরই।
কারন পুরুষ মানুষ দুই প্রকার জীবিত আর বিবাহিত।
পরিশেষে একটি বাংলা ছায়াছবির বিজ্ঞাপন,
“মহাসমারহে চলিতেছে এবারের কোরবানী ঈদের বিশেষ আকর্ষন,সম্পূর্ণ সময়োপযোগী এবং ভিন্নধর্মী,নিটোল প্রেমের একশনধর্মী বাংলা ছায়াছবি ‘গোলাপী এখন টয়লেটে’। দেখতে ভুলবেন না। না দেখলে পচতাইবেন। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।