পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/
আসুন অনেকদিন পর আবার ফুটবলে মেতে উঠি। আজ বিকেলে দোহায় এক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মুখোমুখি হবে ফুটবলের দুই হাতি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের সাপোর্টারদের (আমার) বিশ্বাস রুনালদিনহো একাই আজ ম্যাচ জেতাবে আর মেরাডোনার পাগল সাপোর্টাররা চায় মেসিই আজ ম্যাচ সেরার পুরুস্কার পাবে। এবার দেখি সামু ব্লগাররা কে কি বলেন?
১) ব্রাজিল?
২) ড্র?
৩) আরজেন্টিনা?
--------------------------
লড়াইটাকে নানা চেহারায় দেখা যায়—বহুকাল পর লিওনেল মেসি ও রোনালদিনহোর লড়াই, দুই ‘নতুন’ কোচ সার্জিও বাতিস্তা বনাম মানো মেনেজেসের লড়াই, লাতিন আধিপত্যের লড়াই।
কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে আর্জেন্টিনার নিজেদের ফিরে পাওয়ার লড়াই।
হ্যাঁ, আগামীকাল কাতারে দুই লাতিন পরাশক্তির প্রীতি ম্যাচটি হতে যাচ্ছে দীর্ঘকাল পর ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার একটি জয় পাওয়ার উপলক্ষ। প্রতিবেশী, সর্বকালের অন্যতম সফল ফুটবল দল ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা সর্বশেষ ম্যাচ জিতেছিল সেই ২০০৫ সালের জুন মাসে; বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে।
তার পর থেকে দুই দল ৫টি ম্যাচ খেলেছে; ব্রাজিল ৪টি জিতেছে, একটি ড্র হয়েছে। এই সময়ে আর্জেন্টিনা ১৩টি গোল হজম করেছে ব্রাজিলের কাছ থেকে, শোধ করতে পেরেছে মাত্র দুটি।
একসময় যে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াইয়ে সমতা ছিল, সেই লড়াইয়েই এই সময়ে ব্রাজিল এগিয়ে গেছে।
অবশ্য এসব পরিসংখ্যান শুনে আপত্তি করতে পারেন সার্জিও বাতিস্তা। কোচিং ক্যারিয়ারে যে একবার মাত্র ব্রাজিলকে সামনে পেয়েছেন, সেবারই হারিয়েছেন তাদের; ফিফার ম্যাচ ছিল না, সেটি ছিল বেইজিং অলিম্পিকের ম্যাচ। ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের মিডফিল্ডার বাতিস্তাকে কোচ হিসেবে বিশ্ব চিনল সেই অলিম্পিকেই আর্জেন্টিনার সোনা জয়ে।
বুধবারের ম্যাচে আরও একটা কারণে গত অলিম্পিকের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল লড়াইটা ফিরে আসবে।
সেই ম্যাচের পর এই প্রথম আবার মুখোমুখি হচ্ছেন একসময়ের বার্সেলোনা-সতীর্থ মেসি ও রোনালদিনহো।
আর্জেন্টিনা দলে মেসি তো থাকবেনই। কিন্তু ব্রাজিল দলে দুঙ্গার আমলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন সাবেক ফিফা বর্ষসেরা রোনালদিনহো। অবশেষে মেনেজেস জামানায় আবার জাতীয় দলে ফিরছেন ‘রোনি’, প্রত্যাবর্তনটা হচ্ছে আর্জেন্টিনার বিপক্ষেই।
মেনেজেস আসলে দুঙ্গার দলটার খোলনলচেই বদলে ফেলেছেন।
ফলে এই বদলে যাওয়া দলকে নিয়ে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হওয়ায় তাঁর চ্যালেঞ্জটা বেশি। সে তুলনায় আর্জেন্টিনা অনেক স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ দলে খুব কাটছাঁট করেননি বাতিস্তা।
উল্লেখযোগ্য বলতে, এই দলে তিনি ফিরিয়েছেন ম্যারাডোনার কাছে ব্রাত্য দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হাভিয়ের জানেত্তি ও এস্তোবান ক্যাম্বিয়াসোকে। এই ম্যাচে বাতিস্তা ক্যাম্বিয়াসোকে পাচ্ছেন না।
শুধু ক্যাম্বিয়াসো নন, চোট খেলতে দিচ্ছে না স্ট্রাইকার কার্লোস তেভেজ ও সার্জিও আগুয়েরো এবং ডিফেন্ডার ওয়াল্টার স্যামুয়েলকে। তেভেজ ও আগুয়েরো দুজনই গত শনিবার লিগ ম্যাচে ঊরুর পেশিতে চোট পেয়েছেন।
চোট কিঞ্চিত আহত করেছে ব্রাজিল দলকেও। মেনেজেস তাঁর দুই তরুণ তুর্কি আলেক্সান্দ্রো পাতো ও পাওলো হেনরিকে গানসোকে পাচ্ছেন না এই ম্যাচে। তাই সান্তোসের স্ট্রাইকার ১৮ বছর বয়সী নেইমারকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জুটি বাঁধতে হতে পারে পুরোনো সৈনিক রোনালদিনহোর সঙ্গে।
সে জুটি যার সঙ্গেই হোক, রোনালদিনহো মাঠে নামলেই তো লড়াইটা মেসি বনাম রোনালদিনহো হয়ে যায়! রয়টার্স।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।