WWW.EARNINGSCHOOL.COM
সুপ্রিয় পাঠাক আশা করি সবাই ভাল আছেন।
কিন্তু আমি মেটেও ভাল নেই। এই ব্লগটিতে যা চলছে তা দেখে আমার মেজাজ চ্রম খ্রপ। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট । বেশি জনপ্রিয় হলে যা হয় আরকি কোন মান থাকে না।
এই ব্লগটিরও একই অবস্থা।
ঢাকাইয়া ছিনামার নম শুনলেই যেমন অপনারা নাক ছিটকান ঠিক তেমনি বাংলা ব্লগের নাম শুনলেই মানুষ নাক ছিটকাবে। সেদিন আর বেশি দুরে নেই ইতিমধ্য দুই একজন কে বলতেও শুনেছি, ধুর বাংলা সাইটে কি আছে বাংলা ব্লগে কিছু পাওয়া যায় না কি? সব ফালতু সময় নষ্ট করা প্যাঁচাল, ইংরেজী সাইটে আসল তথ্য পাওয়া যায়। তারা আমাকে উপদেশ দিল লেটেষ্ট এবং আসল তথ্য জানতে হলে বিভিন্ন ইংরজী ফোরাম, ব্লগ দেখার জন্য।
ঠিক যেমনটি যদি আমি বলি, ফার্মগেটের আনন্দ সিনামা হল থেকে সাকিব খান ও অপু বিশ্বাস অভিনত " বড়লোকের কইন্না ছোট লোকের পোলা" নামক জটিল একটি ছিনামা দেখে আসলাম, তাহলে সাবাই যেমন ছি ছি করে বলতেন বাংলা ছিনামা কি কোন সুস্থ মানুষ দেখে ? আমাকে মদন অফ দা কান্ট্রি বলে উপাধি দিতেন।
ঠিক তেমনি আমি তাদের কাছে হাসির পাত্র হলাম বাংলা সাইটের রেফারেন্স দিয়ে কথা বলায় ( কোন একটা তথ্যের ব্যাপার)।
আমি ভেবে দেখলাম কথাটা আসলেই সত্য। সামুর ব্লগ আমাকে কি দিয়েছে এখান থেকে আমি কি শিখেছি,?
শধু শিখেছি লেটেষ্ট ষ্টাইলে মানুষকে গালি দেওয়া। অন্যের যুক্তি কে খন্ডন করা। মানে অন্যের কোন একটা মতবাদ যতই যুক্তি সংগত চরম সত্য হউক না কেন, যে কোন ভাবে আবোলতাবোল অযোক্তিক কোন যুক্তি দিয়ে তার মতবাদকে ভূল প্রমাণিত করে তার হাতে ফিটার ধরিয়ে দেয়া।
আর তাতেই যেন আমার যত শান্তি। এছাড়া আর কিছুই শিখতে পরি নাই।
এই না হলে কি আর বাঙালী হওয়া যায়? বাঙালী মানেই তো বাচাল, কজের কাজ কিছুই না খালি প্যাঁচাল পারে আর এক এক জন নিজেকে জ্ঞানের জাহাজ মনে করে।
এখানে এমন এমন কিছূ টপিকস নিয়ে আলেচনা হয়, যার শুরু আছে কিন্তু কোটি বছর ধরে তর্ক চললেও তার কোন শেষ হবে না। বেশির ভাগ টপিকস দেখলেই বুঝা যায় যে ক্যাঁচাল বাধানের পোষ্ট।
পোষ্ট করেই তর্ক বাধানোর জন্য। আর একেকজন ৫/১০ টা ফেক নিক নিয়ে তর্কের ময়দানে নেমে পরে। আমারা বাঙালীরা যে মাথা গরম পার্টি তার প্রমাণ, অনেকেই তর্কের খেই হারিয়ে গালি গালাজ শুরু করে।
বেশীর ভাগ টপিকসই থাকে ধর্ম নিয়ে ধর্মের চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্দার করে। শ্রষ্টা কে ঘার ধরে গদিতে থেকে নামিয়ে দিয়ে পারলে একেক জন নিজেকেই স্রষ্ট বলে দাবি করে।
আমি নিশ্চত এভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে একদিন কেউ কেউ নিজেকেই স্রষ্টা বলে দাবি করবে যে আমার পুর্ব পুরুষই এই বিশ্ব তৈরী করেছে তাই এখন থেকে আমিই স্রষ্টা। আর এর পক্ষে বিপক্ষে তুমুল তর্কের সিডর বয়ে যাবে। সবচেয়ে হাসির যে জিনিসটা সেটা হচ্ছে কোন তর্কেরই কিন্তু কোন সমাধান হয় না শেষ হয় না। ( তা কখনও সম্ভবও নয়) আবার নতুন কোন টপিকস তৈরী করে। সারা দিন ভরে পরের গেলামী করে আর রাতে এসে জ্ঞান ঢালে আর রাত জেগে জেগে দিনে অফিসে গিয়ে ঝুমে অথবা কাজের ক্ষেত্রে উল্টা পাল্টা কান্ড করে।
ব্লগতো ভার্চুয়াল জগত এটা তো কল্পনা আর এই কল্পনার কি কোন শেষ আছে?
বলতে গেলে মান সম্মত শিক্ষনীয় কোন পেষ্ট এখন আর হই না। হয় না যে তা নয় কিন্তু খুব কম খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
তো আমার কথা হয় সামুর এডমিন প্যানেলে যারা আছেন তাদের বিষয়টার প্রতি নজর দেওয়া উচিৎ।
ফালতু বিষয় আজগুবি টপকসের পোষ্টগুলো থেকে আসলে কি শেখার আছে শুধু শুধু ঘন্টার ঘন্টার পড় বাজে সময় নষ্ট করে কি লাভ? এভাবে সবারই তো সময় নষ্ট হচ্ছে যারা তর্ক করে আর যারা পড়ে উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বড়জোর কিছু কথা বলার মারপ্যাঁচ শেখা যাচ্ছে।
অন্যকে অপদস্থ করা শেখা যাচ্ছে তা দেশ ও জাতির কি লাভ? আমরা তাতে কি পাচ্ছি?
আমি একটা জনিস খেয়াল করে দেখনলাম এই ব্লগটি যতটা জ্ঞান দেয় তার চেয়ে বেশি কেরে নেয়। আমার নিজেরই অনেক ফালতু সময় নষ্ট হয়েছে।
তাই রাগে দুঃখে ফালতু কিছু পোষ্টে কমেন্ট করেছিলাম। ওই পেষ্টগুলোতে
এক একজন জ্ঞানের জাহাজ পৃথিবীর সকল সমাধার তাদের কাছে আছে তদের চিন্তা ভাবনা দেখে মনে হল অচিরেই উনারার নিজেরাই এক একটা পৃথিবী তৈরী করবে। প্রত্যেকেই এক একজন ধর্ম বিশেষজ্ঞ।
কেউ আবার বিখ্যাত বিজ্ঞানী। কেউ আবার পৃথিবীর সেরা রজনিততিবিদ। এক একজন ধর্ম, রাজনিতি, বিজ্ঞান নিয়ে ব্লগ খুলে বসেছে সমানে জ্ঞান ঢালতেছে।
তো ওই ফালতু পোষ্টগুলোতে আমি সব জাগায় এই কমেন্টি করেছিলাম
আপনারাই বলেন ঠিক করেছি কি না।
তার আগে এক জনের জ্ঞানের নমুনা দেখেন কত্ত জ্ঞান।
জনৈক ব্লগারের কমেন্ট
আপনাদের আর কোনো চিন্তার কারন নাই, আধুনিক মহাপুরুষ হওয়ার চেষ্টা নিতেছি,অচিরেই অমর,অব্যয় এক নতুন ধর্ম লইয়া হাজির হইতাছি
আরেক ব্লগারের কমেন্ট
আপনার ভালো থাকা কাম্য। ধর্ম বিষয়ক ব্লগে আপনার আগ্রহ এবং জ্ঞান বেশি বলেই আমি জানি। তাই আপনাকে সর্নিবদ্ধ নিমন্ত্রন আমার ধর্ম বিষয়ক মুক্ত আলোচনার ব্লগে। আশাকরি আপনি আসবেন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আলোচনাটিকে সার্থক করে তুলবেন।
এদের এত এত জ্ঞন দেখে আমার মাথাও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাই আমি নিম্নোক্ত কমেন্টটি করেছিলাম।
আমার কমেন্টটি নিম্নরুপ
এই করণেইতো বলি আমাগো দেশ এত গরীব কেন। কেন এই দেশের মানুষ অন্য দেশে গিয়ে কামলা দেয়, গোলামী করে। কাজের কাজ কিছুই না সবাই শুধু নিজের জ্ঞান জাহির করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট করে আজগুবি সব বিষয় নিয়ে ব্যস্ত।
আপনারা যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতেছেন, ছামুতে বেশির ভাগ পোষ্টই এই ধরনের সময় নষ্ট করানোর পোষ্ট এর শুরু আছে তো শেষ নেই।
আমার কথা হচ্ছে- কয়েক কোটি বছর ধরে যদি এই আলোচনা চলতে থাকে তাহলে কি তা শেষ হবে? সবাই কি একমতে পৌঁছবে?
আমার মনে হয় এই আলোচনা তারাই করবে যাদের কোন কাজ নেই ৬০ বছরের উপর বয়স তারা।
কারণ তারা সারা জীবন কাজ করে শেষ বয়সে এসে বই পড়বে+ লিখবে আর জীবনে জত জ্ঞান আর্জন করেছে তার পর্যালোচনা করবে।
হায় হায়রে ! আমার আজকের রাতটাই মাটি করে দিল এই ফালতু ছামু। আমি যদি আর কোনদিন ছামুতে ঢুকি তাইলে যেন আমি গরুর গোবর খাই।
ওই মিয়ারা আপনাদের মাথায় এত বুদ্ধি তাইলে সাধারন একটা মোবাইলের ব্যাটারীও তো তৈরী করতে পারেন না। পারেন না তো একটা এ্যন্টি ভাইরাস তৈরী করতে, পারেন না তো এটা সফট্ওয়ার তৈরী করতে।
অন্য দেশের মানুষ কম্পিউটার তৈরী করে আপনারা তো তার একটা মাউস কি-বোর্ড পর্যন্ত তৈরী করতে পারেন না। ভাল একটা দুধের ফিটারও তো নিজেরা তৈরী করতে পরেনা না ওটাও অন্য দেশ থেকে ভিক্ষা করে আনতে হয় । আমার একটা ল্যাপটপ নষ্ট হইছিল কই ওটা তো ঠিক করে দিতে পারলেন না সেটাকে সিংগাপুর পাঠাইলেন ঠিক কারার জন্য শেখান থেকে ১৪ বছরের এক পিচ্ছি ৩০ মিনিটের মধ্য ঠিক করে দিল। আপনাদের মত এত জ্ঞনী, বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান লোক থাকতে কেন আপনারা ওটা ঠিক করতে পরলেন না। আপনারা এত জ্ঞানী তাহলে কেন সামান্য একটা হাতঘরড়িও তৈরী করতে পারে না তাও বিদেশ থেকে আনতে হবে কেন.? মাথার মধ্য এত বুদ্ধি তো ভাল ভাল লেটেস্ট মডেলের গাড়ি তৈরী করে জাপনের কছে বিক্রি করন যায় না.? বাঙালির কালো মথায় নাকি অনেক বুদ্ধি, তো ওই বুদ্ধি খাটায়া ক্ষেপানো অস্ত্র তৈরী করে আমেরিকারে ভয় দেখান না কেন? কেন ওদের গোলামি করেন পা চাটেন? যারা বলে বাঙালির মাথায় বুদ্ধি বেশি তাদের মুক্খান একবার দেখতে মুঞ্চায়।
এত বুদ্ধই তবে কেন আপনারা অন্যদেশে ভিক্ষা করতে গিয়ে, মুরুভুমির বালু ঝড়ে, সাগরের নোনা পনিতে ডুবে, সাইবেরিয়ার বরফে, আফ্রিকার জংঙ্গলে না খেয়ে ধুকতে ধুকতে শিয়াল কুকুরের মত মারা যান। আপনাদের মাথায় এত বুদ্ধি তাহলে কেন কানাডার একজন লোককে আপনার কাজের লোক হিসাবে রাখতে পারেন না। যদি পারতেন তাহলে বালা যেত যে না বাঙালির মাথায় আসলেই বুদ্ধি আছে, অন্যদেশের মানুষ আমাদের কাজ করে দেয়। তখন আপনারা সামুতে সারাদিন বসে বসে আরামসে ফুটুস, ফাটুস ফুটুস ফাটুস করতে পরতেন। আর নতুন নতুন আজগুবি টপিকস বের করে তর্কের ঝড় তুলতে পারতেন।
আর টপিকস গুলে হতো এরকম
- কি ভাবে আরেকটা পৃথিবী তৈরি করা যায়,
- সুর্যটা ঠিক সময় উঠে না তাই সুর্যকে কিভাবে সায়েস্তা করা যয়।
-এলিয়েনদের সাথে কিভাবে যুদ্ধে জয়লাভ করা যায়।
-বর্তামন স্রষ্টা খুব একটা কাজের না তাই এখনই তাকে গদি থেকে কিভাবে নামানে যায়। এরকম হাজারো আজগুবি টিপিকস নিয়ে আলোচনার তর্কের বন্যা বাসইয়া দিতে পারতেন।
তাতো আর পরবেন না, বসে বসে খালি পুদ্দারী ঢাল নেই তলোয়ার নেই টেম্পোরারীর নাতি।
এখানে এত বুদ্ধিমান লোকের ছড়াছড়ি আমাকে জাষ্ট একটা সমস্যার সমাধান কারে দেন, আর তা হল ছোট্র একটা বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করেন যেখান থেকে সারা বাংলাদেশর না হোক অন্তত ঢাকা শহরের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো যাবে। আচ্ছা ওটা না পারলে ঢাকার একপ্রন্ত থেকে আরেক প্রান্তে একটা ফ্লাই-ওভার করে দেন। কি পারবেন না? না পারলে আজকে সবকটাকে ধইরা পাবনা পাগলা গারদে পাঠামু।
যত্তসব ফালতু সেন্টিমেন্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।