"A little knowledge of science makes man an atheist, but an in-depth study of science makes him a believer in God." Francis Bacon.
কল্পণা করেন হঠাত করে মনুষ্যবিহীন একটি বিমান আপনার বাড়ীর উপর দিয়ে উড়ে গেল এবং মিসাঈল দিয়ে আপনার বাড়িটিকে টুকরো টুকরো ধ্বংস্তুপে পরিণত করে দিয়ে গেল । এরূপ প্লেনের কোন পাইলট নেই , যা ১১০০০ কি.মি. এর মত দূর থেকে ভিডিও গেমস এর মত জয় ষ্টিক দ্বারা পরিচালিত ।
মনে করেন মার্কিন সেনাবাহিনী আপনার একমাত্র আবাসস্হল বাপ দাদার ভিটাকে ধ্বংস করার জন্য এই বিমান প্রেরণ করেছিল । এরূপ মিসাঈলের আঘাতে একটি এলাকার এক সাথে কয়েকটি বাড়ী ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় । প্লেনের মিসাঈলের আঘাতে আপনার পরিবারের সকল সদস্য ও প্রতিবেশীর সদস্য সহ অনেকে জীবন্ত পূড়ে কয়লায় পরিণত হয় ।
আপনি ঘরে না থাকায় ভাগ্যগুণে বেচে যান । কি কারণে তারা আপনাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করল এবং আপনাকে হত্যা করতে গিয়ে এত বাড়ী ধ্বংস এবং এতগুলো নিরীহ নারী পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করল, তারা এর কোন কারণ বা ব্যাখ্যা দিল না কারো কাছে ।
কেউ কিছূ বলতেও অস্বীকার করল। এমনকি মার্কিন সেনাবাহিনী এটাও স্বীকার করল না যে এটা তাদের-ই পাঠানো বিমান । সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে খবর পেয়ে বা যে কোন উতস থেকে সংবাদ পেয়ে মার্কিন সংবাদ পত্রে এই খবর প্রকাশিত হলো যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একজন সন্দেহবাদী সন্ত্রাসীকে হত্যা করার জন্য পার্শ্ববর্তী একটি দেশের ঘাটি থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আক্রমণ করা হয়েছে ।
বাংলাদেশ সরকারের এত বড় বুকের পাটা নেই যে মার্কিন সরকারের কাছে এর জবাবদিহি চাইবে ।
আপনাদের কাছে মনে হতে পারে যে এটা একটা ছবির কাহিনী । বাস্তবে আধুনিক বিশ্বে এও কি সম্ভব ?? কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য । পাকিস্তানে ও গাজায় এরূপ আক্রমণ এখন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা । ২০০৯ সালে এরূপ মনুষ্যবিহীন বিমানের আক্রমণে পাকিস্তানে ৭০০ নিরীহ সিভিল নারী, পুরুষ ও শিশু হত্যা করা হয় ।
এমনকি গত বন্যার সময় এই আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়া হয় । যদিও মিডিয়ায় ফলাও করে আমেরিকার সাহায্য পাঠানোর হেলিকাপ্টার দেখানো হয় আর বলা হয় তালেবানরা আমেরিকার সাহায্য নিতে নিষেধ করেছে , আর এ অভাবের সুযোগ নিয়ে রিক্রুট করছে । হায় ! দিনকে রাত ও রাতকে দিন বানিয়ে দেয়া হয়েছে । এই বিমান আক্রমণে বৈমানিকের মৃত্যুর ঝুকি না থাকায় এর উতপাদন বর্তমানে পূর্বের তুলনায় বহুগুন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে । যা পরিণাম হবে আরো নিরীহ মানুষের মৃত্যু ।
এই প্রযুক্তি প্রথমে ইসরাঈল উদ্ভাবন করে । যা দিয়ে তারা নিয়মিত গাজায় আক্রমণ চালায় । গাজা অধিবাসী অনেকে ই চোখের সামনে মা, বোন , বাবা ও ভাই এর বীভতস লাশ দেখে প্রতিশোধ র্স্পৃহাহ গুমরে মরে আর মৃত্যু ভয় ভুলে জিহাদের খাতায় নাম লেখায় ।
এই জিহাদ-ই হল পশ্চিমাদের চোখে সন্ত্রাস । প্রতিদিন এভাবে পুতুলের মত মানুষ হত্যা মিডিয়ায় আসে না ।
কিন্তু তালেবান কোথায় কোন মেয়েকে বেত মারল, নাক কেটে দিল, ইরান কাকে পাথর ছুড়ে হত্যা করল এবং কোথায় বোমা পাওয়া গেল তা নিয়ে সমস্ত পশ্চিমা মিডিয়ায় হইচই পড়ে যায় । সবাই ধিক্কার জানায় । যদিও প্রকৃত অপরাধী এভাবে অট্টহাসি হাসে আর আড়ালে থেকে যায় ।
কে সন্ত্রাসের সূচনা করল ? কাদের কারণে সন্ত্রাসের এত বিস্তার এবং কেন শান্তির ধর্ম আজ বিশ্বে অশান্তির প্রতীক ----এর অর্ন্তনিহিত রহস্য কয় জনে উপলব্ধি করতে পারে ?
...........এর শেষ কি কোন দিন হবে ? কিভাবে হবে ?
সুত্র: দি আষ্ট্রেলিয়ান উইক এন্ড নিউজ, ৩০-৩১ অক্টোবর - ২০১০
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।