আমি এবং আরণ্যক ছাইরংয়া বধ্যভূমিতে দাড়িয়ে দেখছি শেষ সূর্যাস্ত
এলোপাথাড়ি বৃষ্ঠিতে পথঘাট ভিজে গেলে
বোটাছেড়া গোলাপেরা লাল রঙ মুছে ফেলে
মুখে তুলে নেয় নিষিদ্ধ আরক,
ঘাম জবজবে পোষাকে পীতবর্ণিল শরীর ঢেকে
সাদামাটা উপন্যাসের অবর্ণনীয় অংশটুকু
কাঁধে নিয়ে হেঁটে যায় কয়েকটি লজ্জিত পা ।
পাথুরে দেয়ালের্ জমকালো তৈলচিত্রগুলো
বিভৎস মূর্তিতে আবির্ভূত হলে,
রাস্তার বিপরীতে ক্লান্ত কয়েকজোড়া চোখ
গ্রীষ্মের লাল কৃষ্ণচূড়ায় খোঁজে স্বস্তির ঠিকানা ।
বাঁধাধরা সময়ের পর্যাবৃত্ত গতিতে হাঁপিযে ওঠা
কয়েকটি ফ্যাকাসে প্রাণ অর্থহীনতায় নিথর হতে গেলে,
অন্যমেরূতে অপেক্ষাণ কযেকটি নির্ঘুম চোখ
জীবনের জন্য অহর্নিশী লড়াই করে চলে।
দেয়ালের দু’পাশের শ্রেণীসংঘাতে মুগ্ধ
আকাশের নিভৃতচারী ছায়ারা প্রাগৈতিহাসিক
হাসিতে মুখরিত হয়,
উত্তরের ঠান্ডা গোলাপী বাতাসে ইঁটচাপা ঘাসের মত
সমস্ত সজীবতা বিবর্ণ হয় প্রকৃতির আরোপিত
স্বৈরাচারী দ্বান্দ্বিক সংঘাতে ;
উদাসীনতার খোলস এটে দিয়ে সর্বংসহা ঝিনুকেরা
নির্দ্বিধায় মেনে নেয় সহস্রাব্দের আদিম নরকবাস ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।