পাখিরা ধর্ষণ জানে না
পাখিদের ধর্মগ্রন্থে ধর্ষণের কথা লেখা নেই। ফিসফিস সুরে এ কথা শুনেছি রোজ জানালার পাশে বসা শালিকের কাছে। ক্রুর হেসে বলেছিল-ধর্ষণের আর্তনাদ শুধু মানুষের কাছ থেকে আসে।
কাকের ঘরে নিভৃতে আসা-যাওয়া করে যে বসন্তের বিনোদী কোকিল, তার সঙ্গে অশ্লীলতার দায়ে পাখিদের সংবাদপত্রে কোনোকালে ছাপা হয়নি কাকেদের নাম। অথচ, পাখিরাও জানে যৌনকলা; থেকে থেকে তাদেরও দেহে জেগে ওঠে কাম, কামের পুলক।
দেখেছিও-দারুচিনি বনে গোপনে গোপনে যৌনতা শেষে ঘামের বদলে কী করে খসে পড়ে পাখির পালক।
পাখিদের এইসব কথা আর ক্রুর হাসি দেখে আমি জ্বলে পুড়ে খাক। তবু সত্যি কী জানো-পাখিরা কখনো স্কার্ট পড়ে না, এমনকি পোশাক।
২.
পাখি বেদনা
প্রিয়হীন যেসব পাখি একা একা উড়ে এসেছে আকাশমনির বন, তাদেরও নাকি জানা আছে যাবতীয় যৌনব্যাকরণ। আর যে পাখি উল্লাসে দিয়েছে সমুদ্র উড়ান, মাঝে মাঝে তাদেরও ভুল হয়ে হয়ে যায় সমুদয় সহজ বানান।
পাখিরাও নাকি একা হয়ে যায়-তাদের প্রিয়জন খুব বেশি প্রিয় থাকে না চিরকাল। এতসব পাখিকথা বহুদূর থেকে সন্ধ্যার মতো উড়ে আসা কুনাল পাখির কাছে শুনেছি গতকাল। কুনালের ঠোঁটে বিষণ্নতার গান; আর আমি এইসব পাখিগানভাষা বুঝে নেব বলে বহুকাল ধরে রপ্ত করেছি পাখিদের অভিধান।
রোজরাতে আকাশমনির বনে প্রিয়হীন পাখিদের কণ্ঠে বেজে ওঠে বিরহী-কাজরীর গান। শুনেছি-কুনালের দেহে নাকি আজও জমে আছে জননের ঘ্রাণ।
পাখিরাও প্রেম জানে, প্রেমাতুর মন নিয়ে তারাও গড়ে তোলে অপূর্ব মায়াজাল। আর প্রিয়রা চলে গেলে বসন্ত ঋতুর মতো তাদেরও ফিরে ফিরে আসে আত্মহত্যাকাল। পাখিদেরও আছে জমানো গোপন ব্যথা। এতসব বলে পাখিটির ঠোঁটে নেমে আসে দীর্ঘ নীরবতা, চোখে জেগে ওঠে বেদনা জোনাক; সুবর্ণ জলটুকু মুছে ফেলে উড়ে গেছে পাখি অরণির দেশে। বলে গেছে—তোমার কাছে শুধু এটুকুই জানা থাক।
৩.
ভেতরে ভেতরে যে গল্পটার কথা ভাবছি, ভাবছি এবার ওই গল্পটার কাছেই ফিরে যাবো, বুঝি যাওয়াও দরকার। আমি নিশ্চিত, ওই গল্পের পথ ধরে হেঁটে হেঁটে বহুদূর গেলে অনেক ঘটনা পেরোতে হবে। আর এতসব ঘটনা পেরোলে কোনো অন্ধ পাখির ঠোঁটে আর কোনোদিন আমার ডাক নামে বেজে উঠবে কোনো মমতার সুর। জানেন, এসব ভাবতে ভাবতে কিন্তু আমি মূলত গল্পের ওই গল্পটার দিকেই ফিরে যাচ্ছি। আর ভাবছি, গল্পের ভেতরে অনেক ঘটনা পেরোনোর সময় কীভাবে যেনো লিখে রেখেছি একটি দূর্ঘটনার কথা...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।