হেফাজতে ইসলামকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। চলতি বছরের গোড়াতে গণজাগরণ মঞ্চ যাত্রা শুরুর পর আলোচনায় আসা এ দলটি ছাড়াও মহাজোট ও ১৮ দলীয় জোটের বাইরে থাকা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে নতুন জোট গড়ার পরিকল্পনা এঁটেছেন তিনি।
এরশাদ মনে করছেন, ঈদের পরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও প্রবল। আর এমনটি হলে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতি মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে বলেই বিশ্বাস এরশাদের।
তাই এ সুযোগটিকেই কাজে লাগাতে উঠে-পড়ে লেগেছেন তিনি।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি মনে করছেন, হেফাজতে ইসলামের সারা দেশে বিশাল জনসমর্থন রয়েছে। হেফাজত নিয়ন্ত্রিত মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্ররা এলাকাবাসীর কাছে সুপরিচিত। নানা কারণে তাদের সঙ্গে এলাকাবাসীর রয়েছে ঘনিষ্ঠ যোগায়োগ। তারা যদি ভোটের প্রচারে নেমে পড়েন, তাহলে পরিস্থিতি বদলে যাবে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। সময় যতো গড়াবে, অনেক কিছুই ঘটতে পারে।
প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের মুখপাত্র কাজী ফিরোজ রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তবে আমরা ইসলাম রক্ষার জন্য তাদের পাশে ছিলাম। ইসলাম ধর্মপ্রেমী লোকজন হেফাজতের সঙ্গে আছেন।
তিনি বলেন, জোট গঠনের বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। তবে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির পাশে হেফাজত থাকতে পারে।
সুত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।