কমেডি করে মানুষকে হাঁসাতে ভালোবাসি
পুরাই একখান জিনিস আমাদের এরশাদ কাক্কু । বাংলার ইতিহাসে এমন জিনিস হয়ত আর জন্মাবেনা । আমার মতে কাক্কু একজন ব্রিলিয়ান্ট কমেডিয়ান । রাজনীতির সাথে কমেডি যোগ করে কাক্কু আমাদের যে নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছেন তা কোনদিন কোন রাজনীতিবিদ পারেনি আর ভবিষ্যতেও পারবেনা । তবে ইদানিং কমেডির মাত্রাটা একটু বেশী হওয়ায় ফেইসবুকের মধ্যমনি হয়ে গেছেন আমাদের এরশাদ কাক্কু ।
কাক্কু কে নিয়ে বেশ মজার মজার কিছু পোস্ট চোখে পড়ায় আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।
----------------------------------------------------------
আগামীতে গালাগালির ধরন এমন হতে পারেঃ- (সিলেটি )
# ঐ বেটা যাও খরছ না খেনে খালি এরশাদের লাখান অইছনা ।
# তুই দেকি আস্থা একটা এরশাদ ।
# তুই বেইমান জানতাম কিন্তু এখবারে এরশাদের লাখান অইজিবে ইকান জানা আছলনা ।
# খারাপ অইছত ত অইছত এখবারে এরশাদের লাখান অইগিছত ।
# দূর মিয়া তুমি মানুষ অও নায় পুরা এরশাদ ।
# তুমি গাইল দিছ বালা খতা, কিন্তু এরশাদ খওয়া টিক অইছেনা ।
# তর অত বর সাওস আমারে এরশাদ খইয়া গাইল দেছ ?
# খারাপ অইছত ত অইছত এখবারে এরশাদের লাখান অইগিছত ।
# তুই কিতা মনে খরছত ? আমি খারাফ অইতাম ফারি কিন্তু এরশাদ অইছিনা ।
-------------------------------------------
এরশাদ যদি ক্রিকেট খেলতো তাহলে কেমন হতো...
সকালে > আমি ball করমু
দুপুরে > আমি ball করমু না bat করমু
বিকেলে > আমি bat, ball দুইটাই করমু মাগার
ফিল্ডিং করমু না
সন্ধা > আমি আর খেলমু না, আমি umpire
রাতে > সব বাদ, আজ থেকে আমি বিসিবি সভাপতি।
------------------------------------------------
- স্যার, কাল রাতে ঠিক কি হয়েছিল বলবেন কী?
- আমি মরতে চেয়েছিলাম!
- কেনো মরতে চেয়েছিলেন?...
- দেশে বেঁচে থাকার পরিবেশ নেই, তাই মরতে চেয়েছিলাম।
- ঠিক কিভাবে মরতে চেয়েছিলেন?
- গুলি করে। গুলি করে মরতে চেয়েছিলাম। আমার পিস্তলে চারটা গুলি ছিল!!
- তো গুলি করলেন না কেনো?
- করেছিলাম। তিনটা গুলি করেছিলাম. . . এক দুই তিন!
- কোথায় করেছিলেন?
- মাথায় ! ডান পাশে।
- তো মরলেন না কেনো?!!!! ( )
- প্রায় মরেছিলাম। তবে শেষ মুহুর্তে আমি আমার গুলি ফিরিয়ে নিয়েছি।
- বলছেন কি স্যার! একটা প্রবাদ আছে না- বন্দুকের গুলি এবং মুখের বুলি একবার বেরোয় গেলে আর ফেরানো যায় না। আপনি কিভাবে ফেরালেন?
- রাবিশ ! ঐসব প্রবাদ আমার কাছে প্র- বাদ। আমি সব ফেরাতে পারি!!
- স্যার, আপনি কি মানুষ !!
- না, আমি এরশাদ!! হু.মু. এরশাদ. . . হুহু হাহা হা. . . . . .
----------------------------------------------
একদা এরশাদ কাকু নীলক্ষেতে গেছেন বায়ো-ডাটা টাইপ করাতে.....
- স্যার আপনার নাম কি?
-এরশাদ
-ওকে।
আপনার পিতার নাম?...
-দাড়াও দাড়াও। আমার নাম মোহাম্মদ এরশাদ।
- আচ্ছা ঠিক আছে।
- ওয়েইট! আমার নাম হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ।
- আচ্ছা লিখলাম হুসেইন মোহা......
- খাড়াও মনে পড়ছে।
আমি তো আর্মিতে আছিলাম। আমি আসলে লেফট্যানেন্ট জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ।
- স্যার নামটা তো একবারেই বলতে পারতেন।
- তুমি মনে হয় আমাকে চিনো নাই বালক। আমি এরশাদ, লেজেহুম এরশাদ।
আর এরশাদরা কখনো এক কথায় কাজ সারে না। মু হা হা....
দোকানদার এবার মনে মনে বলল, "শালা কনফিউশনের বাচ্চা! তুই এক কথার মানুষ না হইলে কি হইবো? আমি ঠিকই এক কথার মানুষ। "
- স্যার আপনার পিতার নাম?
- মকবুল হোসেইন। শুনো বালক আমার বায়ো-ডাটার মধ্যে কিন্তু আমার বিবিদের নাম-ও থাকবে।
- ওকে আপনার স্ত্রীর নাম বলেন।
- রওশন এরশাদ।
-আচ্ছা এবার আপনার ঠিকানা....
- আমার যে আরেকটা বিবি আছে তার নাম জিগাইলা না মিয়া?
- ওকে বলেন।
- বিদিশা।
- আচ্ছা লেখছি।
- দেখি তো কি লেখছো।
এবার দোকানদার বায়ো-ডাটা টা এরশাদ কাকুকে দেখালো। বায়ো-ডাটা পড়ার পর এরশাদ কাকু ঐখানেই অজ্ঞান হইয়া গেলো।
বায়ো-ডাটা টা এরকম:
নাম: লেফট্যানেন্ট জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ
পিতার নাম: লেফট্যানেন্ট জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ মকবুল।
১ম স্ত্রীর নাম: লেফট্যানেন্ট জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ রওশন এরশাদ।
২য় স্ত্রীর নাম: লেফট্যানেন্ট জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ বিদিশা।
। ।
--------------------------------------------------------
সবচেয়ে পেরাশানির ভিতরে আছে এরশাদের বাসার কাজের লোকেরা!
স্যার টেবিলে রাতের খাবার দেওয়া হয়েছে.
--ভাত খাইতাম না আজকে সব গুছায়া ফালা.
১০ মিনিট পর.
--তরকারী গরম কর কয়ডা ভাত খাই, নাইলে শইল খারাপ করবো খাইতে বসে ,
--ভাত খাইতাম না আজকে রে ,ডায়বেটিকস ইদানিং সমস্যা করতেছে, দুইটা রুটি বানা.
...
রুটি বানানোর পর হঠাৎ?
--একজন সৈনিক ,মাঠের বীর
যুদ্ধা ডায়বেটিকস এর ভয়ে ভাত না খেয়ে রুটি খাবে ?
ওই ভাতই দে ,ডায়বেটিকস ডরে না বীর.
অর্ধেক খাওয়ার পর!
""ভাত খাইয়া কি ভুল করলাম ?
রুটি খাইলে মনে হয় ভালা আছিলো
— feeling confused
-----------------------------------
এরশাদের বাসায় রান্নার লোকটা সব থেকে বিপদে আছে। এরশাদ সকালে বলল,
আমি দুপুরে গরুর মাংস খাব। সাথে বড় বড় আলু দেবে।
ঝোল পাতলা হয় যেন। বেশি মশলার ঝোল আমি খেতে পারি না।
যে এরশাদ সকালে গরুর মাংস নিয়ে এত কথা বলল, তাকেই যখন দুপুরে গুরুর মাংস খেতে দেয়া হয় তখন তিনি বলেন, হ্যা আমি বলেছিলাম গরুর মাংস খাব। তবে গরুর মাংস খাওয়ার
মত পরিস্থিতি এখন নেই। না বুঝেই
রান্না করলে তো হবে না।
আমি লাল শাক দিয়ে ভাত খাব। কই ...গরুর মাংস আর কই লাল শাক। ।
তার চেয়ে বিপদে আছে এরশাদের ড্রাইভার।
গাড়িতে উঠে সে বলে হাতিরঝিল যাও।
হাতির ঝিল আসা মাত্র বলে গাড়ি উ টার্ন নাও। হাতি বাদ। বাঘের হাট চল...।
পাগলা কখন কি করে নিজেও জানে না।
-------------------------------------
একটী এরশাদীয় প্রেমের চিঠিঃ
" ওগো তুমি কিভাবে এত্ত পরিবর্তন হয়ে গেলে...... কিভাবে তুমি এক মুখে দুই কথা বলো......তোমার পরিবর্তন দেখে ভাবছি আমিও পরিবর্তন হয়ে যাবে......তবে একটা কথা মনে রাখবে-ঘন ঘন পরিবর্তন হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ"
ইংরেজি অনুবাদঃ...
"Hello, How can you become so much ERSHAD??? How can you Talk like ERSHAD???? I am thinking, You become ERSHAD, I also become ERSHAD.... But mind it, So much ERSHAD is not good for health"
--------------------------------------------
সকাল ১০টায় এরশাদ তার গাড়িতে বসে আছে.
ড্রাইভার : স্যার, কোথায় যাব??
এরশাদ :...
খালেদার বাসায় চল.
কিছুক্ষণ পর,
না না হাসিনার বাসায় চল.
হাসিনার বাসার কাছাকাছি আসার পর,
খালেদার কাছেই চল.
খালেদার বাসায় আসার পর,
খালেদার বাসায় নয় আমার কার্যালয়ে চল.
ড্রাইভার : স্যার, ভাল করে বলেন কোথায় যাব?
এরশাদ :
আমার কার্যালয়েই চল.
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আসার পর-
ড্রাইভার :
স্যার নামেন, এসে পড়েছি .
এরশাদ : কোথায়??
ড্রাইভার : আপনার কার্যালয়ে.
এরশাদ :
রাত ১২ টা বেজে গেছে, আমাকে আমার বাসায়ই নিয়ে চল
এরশাদ কাক্কু একটা হেব্বি চীজ...
------------------------------------------
এরশাদ ইজ টোটালি রাবিস - আবুল মাল
অবরোধকারীরা এরশাদকে ধরে নাড়া দিয়েছে - মখা আলমগীর
তিনি গনতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রে ফিরে গেলেন- ইনু
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র- সুরঞ্জিত...
গুজব ছড়িয়ে লাভ নেই।
বাংলার মাটিতে নির্বাচন হবেই- শেখ হাসিনা
বেগম জিয়া, এরশাদকে ছাড়িয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন - হানিফ
এরশাদের এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল- কামরুল
ষড়যন্ত্রের মূলে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা -সৈয়দ আশরাফ
এরশাদের বক্তব্য সঠিক নয় - জনৈক জনগণ
যে উদ্যোশ্যে সরকার ছেড়েছেন তা কবুল করুন : আল্লামা শফি
বদদোয়া কার্যকর হয়েছে - বাবুনগরী
উনি ফিরে এসেছেন, আর থুতু দিয়েন না - কাজী জাফর
শান্তিপূর্ন প্রস্থানকে স্বাগত জানাই- ভিডিও বার্তায় বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন
আমার কাছে তথ্য আছে। বড় মামা ফিরে আসবেন- জয়
বাঘা বাঘা নেতাদের এমন মুখরোচক মন্তব্যের অপেক্ষায় টিভি স্ক্রিনের দিকে হা করে তাকিয়ে আছি।
----------------------------------------------
নায়িকার বাপ- বেত্তমিজ ধানমন্ডির ছেলে হয়ে, পল্টনের মেয়ের সাথে প্রেম করিস
ঘোচু- চৌধুরী সাহেব, মুখ সামলে কথা বলুন আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু আমাদেরো হৃদয় আছে
নায়িকার বাপ- তুই জানিস, আমার মেয়ের হাত খরচ কত ? মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা। পারবি দিতে
ঘোচু- আমি দরকার হলে রিকশা চালাব, তাও আপনার মেয়েকে রাজকন্যার মত রাখব।
[ ডিরেক্টর: কাটtttttttttt... তোমাকে না, কতবার বলেছি ওভারএক্টিং করবা না।
রিকশা চালায়া মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা কি বলদের পাছা দিয়ে আসবেো? স্ক্রিপ্টে যা লেখা আছে তা বল]
ঘোচু- আপনি দেইখেন,আমি পড়ালেখা করব, নিজের পায়ে দাঁড়াব, ভালো চাকরি করব
নায়িকার বাপ- ইশ, পড়ালেখা করবেন তিনি? ৩ বছর ধরে মেট্রিকই পাশ করতে পাড়ল না যে, তার আবার পড়া লেখা
ঘোচু- আপনি আমার ভালোবাসার কি দেখেছেন, আমি রিচির জন্য দরকার হলে কিডনি বিক্রি করে দেব
নায়িকার বাপ- একজন বিশিষ্ট ডাইলখোরের আধা নষ্ট কিডনী কোন পাগলেও কিনবে না
ঘোচু- ঠিক আছে , বিয়ে দিবেন নাতো আপনার মেয়েকে আমার সাথে,আমি ... আমি আত্মহত্যা করব
নায়িকার বাপ- থাক বাবা। তুমি কিডনিই বিক্রি কর। পারলে আমারটাও বিক্রি কইরা দাও। তাও এরশাদ হইও না :#
----------------------------------------------------
হাসিনাঃ সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে..
এরশাদঃ সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ
দিলেম...
হাসিনাঃ কেমন করে এত অচেনা হলে তুমি...
এরশাদঃ কিভাবে এত বদলে গেছি এই
আমি....
খালেদাঃ বুকেরই সব কষ্ট দুহাতে সরিয়ে..চল
বদলে যাই...
হাসিনাঃ তুমি কেন
বুঝো না তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়.....
এরশাদঃ আমার অপরাধ ছিল যতটুকু তোমার
কাছে,
তুমি জেলে ভইরা দিওনা আমায়....
হাসিনাঃ তুমি কেন
বুঝোনা তোমাকে ছাড়া আমার দল
অসহায়...
এরশাদঃ তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়...
--------------------------------------------
বল্টু একদা এক চেরাগ পরে পেলো! অদ্ভুত দেখতে সেটা! সে আলাদিনের চেরাগের নাম শুনেছে! তাই এমনিতেই আনমনে চেরাগে দিলো এক ঘষা!
আর ওমনি মুহাহাহা হাসি দিয়ে এক বিশালাকার দৈত্য হাজির হলো! সে বল্টুকে বললো,
- আপনি আমাকে এতদিন পর মুক্ত করেছেন! আজ আমি আপনার তিনটা ইচ্ছা পুরন করবো! বলুন কি আপনার ইচ্ছা!
- আমারে #কুটিকুটি_ট্যাকা আর সাত মহাদেশে সাতটা আলিশান বাড়ি বানাইয়া দে!
- আরে ধুর...পারুম না! ম্যালা কষ্ট! অন্য কিছু চান!
- আমারে মেয়েদের মন বুঝার ক্ষমতা দে তাইলে!
- খাইছে রে! মাফ চাই! তার থেইকা কন কয় কোটি টাকা আর সাত মহাদেশে বাড়ির সাথে গাড়িও লাগবে কি না?
- ওই দাড়া দাড়া! আমার বাড়ি গাড়ি লাগবো না! মাইয়াগো মনও তো বুঝার ক্ষমতা দিতে পারবিনা! কি এমন দৈত্য তাইলে তুই? এক কাজ কর তাইলে অন্তত আমাগো এরশাদ কাক্কুর মন বুঝার ক্ষমতা আমারে দে!
- ওস্তাদ! আপনি কোন মেয়ের মন বুঝতে চান তার নাম কন! তবুও এরশাদ বসের মন বুঝতে বলিয়েন না! হাজারটা মাইয়ার মন বুঝতে পারুম বাট এরশাদ বসের জিলাপি মার্কা মনের ধারেকাছেই যাইতে পারুম না!
----------------------------------------------------
ছোটবেলায় ...
"এই ছেলে, কি নাম তোর?"
"এর-শাদ"
কিছুক্ষণ পর ...
"এই, তোর নাম যেন কি বলসিলি?" "ওর-
শাদ"
আরো কিছুক্ষণ পর ...
"ধুরো, তোর নামটা আবার ভুলে গেসি,
কি যেন বল্সিলি?"
"তার-শাদ"
"এহ্হ, একটু আগে না অন্য নাম কইসিলি?"
"জ্বি স্যার, একটু আগে আমি 'এর" ছিলাম,
তারপর 'ওর' হইসিলাম, এখন 'তার'
হইসি।
"মাইর চিনোস? নাম আবার পাল্টায়
ক্যামনে?"
"স্যার ... জীবন যেখানে পোলটিময়,
নামে কি বা আসে যায়!!!"
"ফাতরামি করোস ব্যাটা।
ঠিকমত নাম
ক। "
"কার-শাদ লেখেন স্যার। এই
মোমেন্টে যে আমি কার,
সেইটা নিয়া একটু কনফিউজড আছি। "
-----------------------------------------
-----------------------------------------
এরশাদ-এর কিছু দুঃখের কথা:
"একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহালের
সুপারিশ করেছি- তার জন্যও মামলা হয়েছে। ইরাকের
প্রেসিডেন্টের দেয়া একটি শো-পিস পিস্তল শো-
কেসে রেখেছি- তার জন্য অস্ত্রআইনে আমার
বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এরশাদ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন,
‘তোমরা আমার সম্পর্কে অনেক কথা বলো,
আমি নাকি সকালে এক কথা, বিকালে অন্য কথা বলি। তোমাদের
এ কথার কিছুটা সত্যতাও রয়েছে। কিন্তু তোমরা এর কারণ
উপলব্ধি করো না। সব কষ্টের কথা বলা যায় না।
আমি শৃঙ্খলিত রাজনীতিবিদ।
আমি যুদ্ধ করে চলেছি মামলার
বিরুদ্ধে। ৬ বছর ২ মাস জেলে ছিলাম।
ইফতারে একটা মিষ্টি চেয়েছিলাম। আমাকে মিষ্টি দেয়া হয়নি।
অসুস্থ ছিলাম আমার তৈরি করা হাসপাতালে আমাকে চিকিৎসার
ব্যবস্থা করা হয়নি।
আমি ৮ বছর সেনাপ্রধান ছিলাম। আমার
সেনানিবাসের হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার অধিকার আছে।
আমি সেনাকুঞ্জ, অডিটরিয়াম, আর্মি স্টাফ কলেজ
তৈরি করেছি। আমাকে ২০ বছর সেনানিবাসে যেতে দেয়া হয়নি।
আমার নামে ৭৪টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিল।
তিনি আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, আমার ক্ষমতা ছাড়ার পাঁচ বছর
পর মঞ্জুর হত্যা মামলা করা হয়েছে। অথচ মামলার রায় এখনও
হয়নি। আশা করেছিলাম গত মাসে মামলার রায় কবে। কিন্তু
মামলার রায় দুই মাস পিছিয়ে ২১শে জানুয়ারি পর্যন্ত
ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার ১৪ বছর পর যখন কোন মামলায়
আমাকে আটকানো যাচ্ছিল না, তখন মঞ্জুর
হত্যা মামলা করা হয়।
সেই মামলা ১৮ বছর ধরে চলছে। ১৩ জন
জাজ বদলি হয়েছেন। কিন্তু মামলার গতি বদল হয়নি। অর্থাৎ
আমাকে ঝুলিয়ে রাখতেই হবে। কোন সাক্ষী আমার
বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেনি।
এবার চুপ থাকবো না।
এরশাদ
বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বলছি-
‘আমি স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে চাই। আমি মৃত্যু ও জেলের
ভয় করি না। কারও কাছে হাত পাতি না। কারও কাছ
থেকে টাকা নিয়ে রাজনীতি করি না।
আমার নিজের বলতে কিছু
নেই। নেই কোন সম্পদ। নিঃস্ব হয়ে গেছি রাজনীতি করে। "
এখনো নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবার পর ও শেখ
হাসিনার বক্তব্য অবাদে বাংলাদেশ টেলিভিশন বাংলাদেশ
বেতারে প্রচার করা হলে ও এরশাদ মাত্র ৩৫ মিনিট সময়
বাংলাদেশ বেতারে চেয়েছিল । তথ্যমন্ত্রলায় থেকে তা দেয়া হয়
নি ।
আসলে সবাই আমরা এরশাদকে নিয়ে মজা লুটছি ।
ভিতরে খবর আমরা কেউ জানি না, কতটা অসহায় হলে মানুষ
আত্মহত্যার কথা ভাবে । একটু ভেবে দেখবেন !
-----------------------------------------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।