প্রথমতঃ
গত চার মাস হলো ২ জনকে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হলেও বির্তকের কারণে তাদের শপথ পড়ানো হয়নি। সাবেক প্রধান বিচারপতি তাহলে কি শপথ ভঙ্গ করেছেন? যদি তাই হয় তাহলে রাস্ট্রপতি কোন ব্যবস্থা নিতে পারলেন না কেন? সংগত কারণে বুঝা যায় সাবেক প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। বিচারপতিগণ আদালত বহণ করেন তাই সাবেক প্রধান বিচারপতির শপথ না পড়ানোর বিষয়টি আদালতের সিদ্ধান্ত বলে প্রতীয়মান হবে বলে মনে করছি। এর পড়ও যদি প্রমানিত হয় সাবেক প্রধান বিচারপতি শপথ না করিয়ে ভুল করেছেন তাহলে আমিও তার বিচার দাবি করছি।
দ্বিতীয়তঃ
সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিল হবার পর সরকার ভেবে কোন কুলকিনারা পাচ্ছিলনা যে, সংবিধান সংশোধন নিয়ে তারা কি করবে? সুরন্জিতদের গলদঘর্ম অবস্থা।
সংসদে যাবে নাকি ভিন্ন উপায়? এরই মাঝে শপথ নিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি। তিনি শপথ নিয়েই ফরমুলা দিলেন সংবিধান পুর্ণমুদ্রণের। ব্যস, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হলো। লেগে গেলেন সংবিধান পুর্ণমুদ্রণে। প্রধান বিচারপতিও জানেন একক সংখ্যা গরিষ্ট হলেও সংবিধান সংশোধনে সরকারকে অনেক কাঠখড়ি পোড়াতে হবে।
তাই নিয়ে এলেন নতুন ফরমুলা, কাজও হলো।
তৃতীয়তঃ
একটি কথা আমার মনে বারবার উকি দেয় তা হলো- সংসদ ও সুপ্রিমকোর্টের মধ্যে কোন টি বড়? স্বার্বভৌমত্ব কার হাতে? যদি জবাব সংসদ হয় তাহলে সংবিধান নিয়ে সংসদেই যেতে হবে। আর যদি কোর্ট হয় তাহলে আইন প্রনয়নের ক্ষমতা কোর্টকে দিতে হবে।
শেষ পর্যন্তঃ
যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন তাদের আজ্ঞা বাহক হয়ে পড়ে প্রশাসন,কোর্ট সবাই।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ওই দুই বিচারপতিকে শপথ পড়িয়েছেন বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন।
তিনি বলেছেন, সংবিধান সমুন্নত রাখার স্বার্থে তিনি ওই দুই বিচারপতিকে শপথ পড়িয়েছেন। তারই ফরমুলায় সংবিধান পুর্ণমুদ্রণ হচ্ছে, তিনি আলোচিত দুই বিচারপতিকে শপথ পড়ালেন, সুতরাং আমরা কি বলতে পারি না যে তিনি পাক্কা দলীয় লোক? আমরা চাই সব দলমতে উর্ধে থাকুক আদালত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।