'আমা পানে চাও, ফিরিয়া দাঁড়াও, নয়ন ভরিয়া দেখি'
সকালে খবরের কাগজগুলো হাতে নিয়ে মনটা খুব ভালো হয়ে গেল। অনেকদিন পর একটি খবরের কাগজের যুগপুর্তির সংখ্যা হাতে পেলাম। দেশের প্রথামাফিক ঢাউস বিশেষ সংখ্যা বের করেছে প্রথম আলো। অনেক সংকট আর কষ্ট অতিক্রম করে দেশের একটি সংবাদপত্র প্রচারসংখ্যার শীর্ষে থেকে যুগপুর্তি করছে- খবরটি মন ভালো করে দেয়। অভিনন্দন প্রথম আলো।
অভিনন্দন প্রথম আলোর সব কর্মীকে।
প্রথম আলোর যুগপুর্তির মতো প্রথমেই চোখে পড়ে নি, তবে দ্বিতীয়বারের নজরে কালের কণ্ঠে আবেদ ভাইয়ের মন্তব্য প্রতিবেদনটি দৃষ্টি কাড়ে। সারাদেশের সংবাদকর্মীদের বুকের ভেতরে এতোদিন যে অসহায় আকুতি ছিলো তার অনেকটাই দূর কর দিয়েছে আবেদ ভাইয়ের এই লেখা। ধন্যবাদ, আবেদ ভাই। এমন আবেদ খানকেই আমরা দেখতে চাই।
আপনার লেখায় আপনি ইংরেজি একটি উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছেন। ভীষণ জরুরি উদ্ধৃতি: 'A man who builds wall instead of bridge has no right to complain if he is alone'। মতি ভাই সেই কাজটি অনেক আগেই করেছেন। আমরা অনেক সংবাদকর্মীই মতি ভাইয়ের সেই কাজটির সমালোচনা করি। অনেকেই প্রথম আলো ছেড়েছেন এই একটিমাত্র কারণে।
বলতে দ্বিধা নেই, তারা প্রথম আলো ছেড়েছিলেন বলেই আজ কালের কণ্ঠের এতো ৗজ্জ্বল্য। কিন্তু আবেদ ভাই, সেতুর বদলে দেয়াল আপনিও কি কম রচনা করেছেন? আবেদ খানের মতো সাংবাদিকের চারপাশ ঘিরে দেয়াল তুলে রেখেছেন যারা তারা কি আদৌ তেমন যোগ্যতা রাখেন? আমরা এ নিয়েই উদ্বেগে ছিলাম। কাজেই উদ্ধৃতিটি যখন আপনার কাছ থেকেই এসেছে, তখন মনে হয় নিশ্চিন্ত হতে পারি।
আবেদ ভাই, প্রথম আলোর 'অত্যাচারে' অতিষ্ট হয়ে পাঠক, সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে সবাই যখন বিকল্প খুঁজেছেন, তখন কী কারণে জানি তাদের একটি বড় অংশ আপনার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। আপনি সমকাল ছাড়লেন, তারা তার মধ্যেই যুক্তি খুঁজে পেলেন।
আপনি যখন কালের কণ্ঠ করতে এলেন, যখন বললেন, আমরা আংশিক নয় পুরো সত্য জানাবো, তখন কেউ প্রশ্ন তুলতে যায় নি, সত্যের চেহারাটা কেমন। আপনি যখন সহায়তা চেয়েছেন, তখন পাঠক আপনার প্রতি আস্থা রেখেছে। প্রকাশনার কয়েক মাসের মধ্যেই আপনার কাগজ দ্বিতীয় স্থানে তুলে দিয়েছে তারাই। কেন? আধিপত্যের বিরুদ্ধে তারা সাচ্ছন্দ চেয়েছিলো। কিন্তু সম্পাদক আবেদ খান, আপনি কী করেছেন তার? কী মর্যাদা দিয়েছেন সেইসব আকাঙ্ক্ষার? প্রথম আলোর অনেক কিছু অপছন্দ বলেই তো মানুষ আপনার হাতে মুক্তি খুঁজেছিলো।
আপনি সেই গাড়িটিকে নিয়ে বসুন্ধরার গুহায় ঢুকিয়ে ফেললেন যে! বসুন্ধরার এইসব নোংরা আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য কি আপনি কাগজ করতে গিয়েছিলেন? মতিউর রহমানকে নিয়ে আপনারা যা করেছেন, পারবেন বসুন্ধরাকে নিয়ে তার সিকি আনাও করতে?
আবেদ ভাই, আমরা হতাশ হতে চাই না। আমরা আপনার আজকের মন্তব্য প্রতিবেদনটিকে ঘিরে আশার আলো দেখতে চাই। সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নত শির দেখতে চাই। আমাদেরকে বিমুখ করবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।