আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমায়ুন আহমেদ এর দৃষ্টিতে সেকালের ছাত্র সংগঠনগুলো-

তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা উনসত্তরের মাতাল সময়ে ছাত্রদের রাজনৈতিক বিভাজন ছিল এরকম- ছাত্র ইউনিয়ন। যারা এই দলে ধরেই নেওয়া হতো তাদের মধ্যে মেয়েলী ভাব আছে। তারা পড়–য়া টাইপ। রবীন্দ্রনাথ তাদের গুরুদেব। এরা পাঞ্জাবী পরতে পছন্দ করে।

গানবাজনা, মঞ্চনাটক জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত থাকে। এদের ভাষা শুদ্ধ। নদীয়া শান্তিপুর স্টাইল। যে কোন বিপদআপদে দ্রুত স্থানত্যাগ করতে এরা পারদর্শী। মিছিলের সময় পালানোর সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে এরা পেছন দিকে থাকে।

এই দলটির আবার দুটি ভাগ। মতিয়া গ্র“প, মেনন গ্র“প। এক দলের ওপর দিয়ে চীনের বাতাস বয়, আরেক দলের ওপর দিয়ে রাশিয়ার বাতাস বয়। ছাত্রলীগ। পড়াশোনায় মিডিওকার এবং বডি বিল্ডাররা এই দলে।

এই সময়ে তাদের প্রধান কাজ এনএসএফ-এর গুন্ডাদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা। ছাত্র ইউনিয়নের ছেলেদের সামনে তারা খানিকটা হীনমন্যতায় ভোগে। মারদাঙ্গায় এবং হলের ক্যানটিনে খাবার বাকিতে খাওয়ায় এরা বিশেষ পারদর্শী। ইসলামী ছাত্রসংঘ। মওদুদীর বই বিলিয়ে ‘দীনের দাওয়াত দেওয়া’ এদের অনেক কাজের একটি।

পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতির হাত থেকে রক্ষা করা, মসজিদভিত্তিক সংগঠন করা এদের কাজ। দল হিসেবে এরা বেশ সংঘটিত। কথাবার্তা মার্জিত। অনেকের বেশ ভালো পড়াশোনা আছে। এনএসএফ।

প্রধান এবং একমাত্র কাজ সরকারি ছাতার নিচে থেকে গুন্ডামী করা। সরকার এদের উপর খুশি। কারণ এদের কারণে অন্য ছাত্র সংগঠনগুলি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। ...................................... আজকে তিনি বেঁচে থাকলে ছাত্রদল, ছাত্রলীগ এবং ছাত্রশিবির নিয়ে আরও ভয়াবহ কিছু পর্যবেক্ষণ পাওয়া যেত। আহা!! তিনি নেই।

আমাকে কোন রাজনৈতিক দলের চেলা ভেবে নিজের অদূরদর্শিতার পরিচয় না দেয়ার অনুরোধ থাকলো। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।