আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাঁচ কোটি টাকায় সুন্দরীকে কিনতে চেয়েছিলেন আশিয়ানের নজরুল

একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাস করা সুন্দরী যুবতী ইশারা মাহিমা জাহান সিদ্দিকী (২২)। বাবা মৃত ডা. কামরুল আনাম সিদ্দিকী। বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের পলাশ আবাসিক এলাকায়। নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছিলেন আশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হিসেবে। চাকরি করেছেন মাত্র ১১ দিন।

এরই মধ্যে নজরুল ইসলামের চোখ পড়ে তার ওপর। আসতে থাকে একের পর এক কুপ্রস্তাব। ইশারার মন গলাতে নজরুল ইসলাম জোরপূর্বক তাকে উপহার হিসেবে কিনে দেন দামি ব্র্যান্ডের মুঠোফোন (আইফোন-৫)। দেওয়া হয় আশিয়ান গ্রুপের পরিচালক এবং বিয়ের প্রস্তাব। এতেও কোনো কাজ না হওয়ায় পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে ইশারাকে কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার ভাই মারুফ আনাম সিদ্দিকীর কাছে।

সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর গত ৪ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থানায় ইশারার বিরুদ্ধে ঠুকে দেওয়া হয় তিনটি মুঠোফোন ও দুটি ল্যাপটপ চুরির মামলা। মামলার বাদী আশিয়ান গ্রুপের ডিএমডি জাকির হোসেন।

মামলা রুজুর মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে উপরের তদবিরে ইশারাকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তবে র্যাব-১ এর হস্তক্ষেপে ওই যাত্রায় হয়রানি থেকে বেঁচে যান ইশারা। পরে ৮ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থানায় আশিয়ানের এমডিকে আসামি করে নারী নির্যাতন মামলা করেন ইশারার ভাই মারুফ।

মামলা নম্বর-১৩। তবে ওই যাত্রায় বেঁচে গেলেও বন্ধ হয়নি একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি। ইশারা ও তার পরিবারকে দেখে নেওয়ার জন্য নজরুল ১০০ কোটি টাকা বাজেট করেছেন বলে হুমকি দেওয়ার ফোন রেকর্ড রয়েছে ভুক্তভোগী ওই মেয়েটি এবং র্যাবের কাছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কিসমত হায়াৎ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সত্যিই বিষয়টি অমানবিক। একের পর এক নজরুল ইসলাম কর্তৃক হয়রানির বিষয়টি সম্পর্কে র্যাবের কাছে অভিযোগ দিয়েছিল ভুক্তভোগী মেয়েটি।

বর্তমানে মেয়েটি ও তার পরিবারের সদস্যরা মুঠোফোন খুলতেও ভয় পাচ্ছে বলে র্যাবকে জানিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই মেয়েটিকে আটকের প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা পুলিশ প্রথমে গুলশান থানার রিক্যুইজিশনের বিষয়টি বলেছিল। তবে ওই বিষয়টি অস্বীকার করে গুলশান জোন পুলিশ। পরে একপর্যায়ে বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে সাতক্ষীরা থানা পুলিশ মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়। মেয়েটি ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি এবং বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব সংক্রান্ত ফোন রেকর্ড রয়েছে।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, নজরুল এবং ইশারা দুজনই জামিনে রয়েছেন। তবে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইশারার ভাই মারুফের মুঠোফোনে গতকাল কয়েক দফা চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।