বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি এক বিষন্ন আলোর বিকেলে গুলিস্তানের ফুটপাথে হাঁটছিল মোজাফফর। বেশ ভিড় । হঠাৎই চোখে পড়ল মুনিরার বাবা আলী আহমেদ ঝুঁকে টুপির দরদাম করছেন।
মোজাফফরের হার্টবিট কয়েক সেকেন্ডের জন্য যেন থেমে যায়। ভদ্রলোকের ঠিক পাশে গিয়ে দাঁড়াল সে; একটু পর মোজাফফর কে দেখে আলী আহমেদ সোজা হয়ে দাঁড়ালেন, তারপর মোজাফফর কে জড়িয়ে ধরলেন ভদ্রলোক, আবেগে থরথর করে কাঁপছেন, বয়েস হয়েছে তো ... চোখে পানি এসে গেল বৃদ্ধর।
দু’জনে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকল।
মোজাফফর কে পারিবারিক বিপর্যয়ের কথা খুলে বললেন আলী আহমেদ। আলী আহমেদের শরীরের অবস্থা বিশেষ ভালো না, ব্লাড প্রেশার হাই, রক্তের সুগারও নিয়ন্ত্রনে থাকছে না-তার ওপর বিয়ের দু’বছরের মাথায় আলী আহমেদ-এর মেয়ে মুনিরার স্বামী শামসুল হক হার্টের অসুখে মারা যায়।
এই কথাটা শুনে মোজাফফরের হার্টবিট আবারও যেন কয়েক সেকেন্ডের জন্য থেমে যায়। মোজাফফরের চাকরির কথা শুনে আলী আহমেদ অবশ্য খুব খুশি হলেন।
রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে একটা রিকশা নিয়ে দু’জন পুরানা পল্টনে চলে এল।
অনেক দিন পর মুনিরাদের বাড়ির সামনে এসে প্রবল হৃদকম্পন টের পেল মোজাফফর।
ড্রইংরুমে মোজাফফর কে বসিয়ে আলী আহমেদ ভিতরে চলে গেলেন।
ভিতরে একটা ঘরে পর্দা ফেলে বিছানায় শুয়ে ছিল মুনিরা। আলী আহমেদ মেয়েকে বললেন, তোর, মোজাফফর স্যার এসেছে। যা, দেখা কর।
কথটা শুনে মুনিরা ধড়মর করে উঠে বসল। তারপর বাথরুমে গেল।
আলী আহমেদও ভীষণ উত্তেজনা বোধ করছিলেন । কতদিন পর মোজাফফর এসেছে, রাত্রে না খাইয়ে ছাড়া ঠিক হবে না। এত ভালো চাকরি করে যখন ...
বসার ঘরে বসে চারিদিকে তাকায় মোজাফফর । দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে। এই ঘরটা ওর খুব পরিচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময় মুনিরাকে পড়াত সে । কলেজে পড়া শ্যামলা মেয়েটিকে প্রথম দর্শনেই ভালো লেগে গিয়েছিল তার। স্বভাবে মুখচোরা ধরণের মোজাফফর, মনের কথা ঠিক মতো গুছিয়ে বলতে পারে না। প্রতিদিনই মুনিরাকে একটা কিছু বলবে বলে পণ করে, সামনে এসে বলতে পারে না। কলেজ জীবনে পলাশপুর গ্রামের শাপলাকে মনে-মনে পছন্দ করত মোজাফফর, চমৎকার লালনের গান গাইত শাপলা- তো, সেই শাপলার বিয়ে হয়ে যায় মোজাফফর এর চাপা স্বভাবের কারণেই ।
মুনিরার বাবা আলী আহমেদ আলাপী মানুষ। মোজাফফরের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলাপ করতেন ভদ্রলোক। ভদ্রলোকের দেশের বাড়ি চাঁদপুরে। গ্রামের বাড়ির গল্প ছাড়াও রাজনৈতিক আলাপও উঠে আসত আলোচনায় । মোজাফফরের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর-যেখানে সর্বহারা পার্টির চরম উপদ্রপ।
মোজাফফর স্বল্পভাষী হলেও সমাজবিষয়ক তার ধ্যানধারণা আলী আহমেদকে খুলে বলত।
অবশেষে মুনিরার বিয়ে হয়ে যায়।
তখন মোজাফফরের এম. এ ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। সুতরাং শোক, দুঃখ কিংবা বিরহ করার অবকাশ ছিল না।
পরীক্ষার পর আবার মুনিরার বিরহ চরমে পৌঁছল; কোনওমতে সেসব দুঃখকষ্ট চেপে হল ছেড়ে মেসে উঠে বি.সি.এস-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগল মোজাফফর; রেজাল্ট বেরুনোর পরপরই মা মারা গেল।
সেই অসহনীয় হা-হা শোক মুনিরার বিরহকে সামান্য সময়ের জন্য হলেও চাপা দিয়েছিল। মোজাফফরের ছোটবেলায় বাবা মারা গিয়েছিলেন; মা ছাড়া মোজাফফর এর বড় এক বোন ছিল, সেই বোনের বিয়ে হয়ে গেছিল, শ্বশুরবাড়ি কুমারখালী । কাজেই আর পিছুটান থাকল না। দৌলতপুরের জায়গাজমি সব বেচে যে ক’লক্ষ টাকা হাতে পেল তা থেকে শরীয়ত মোতাবেক বোনের পাওনা মিটিয়ে দিয়ে বাকি টাকা ঢাকায় একটা ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখল। তবে কাজটা সহজে হয়নি।
এখানে-ওখানে দরখাস্ত করে একটা প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি পেয়ে যায় মোজাফফর । তারপর তার দিনগুলি একা-একা দিন কাটতে থাকে। মুনিরার ডাগর চোখের শ্যামলা মুখটি বড় জ্বালায়। ভীষণ জ্বালায়।
একদিন রাস্তায় হাঁটছিল।
বিজয় সরকারের একটি গান শুনে থমকে যায়:
যেমন কাষ্ঠযোগে দাবানল পোড়ে কত বনজঙ্গল
মনপোড়া আগুন বন্ধু তাহা না
বিরহিনীর অন্তরতলে বিনা কাষ্টে আগুন জ্বলে
জল দিলে বাড়ে দ্বিগুন নিভে না ...
বিজয় সরকারের বিরহের গভীর উপলব্দি ও প্রকাশের বিস্ময়কর ক্ষমতায় বিস্মিত হয়ে যায় মোজাফফর।
কেবল সময় ভালো কাটে অফিসে । অফিস থেকে বেরুলে বিষন্নতা গ্রাস করে। কেবল মুনিরার মুখই নয়, মায়ের ভরাট স্নিগ্ধ মুখটিও মনে পড়ে। মোজাফফরের মা ছিল মৃদুভাষিনী এবং প্রজ্ঞাবান।
চমৎকার লালনের গান গাইত :
আশা পূর্ণ হল না আমার মনের বাসনা ...
অবসর সময়ে লালনের গান শুনে কেটে যাচ্ছিল সময়; কখনও ঢাকার রাস্তায় একা-একা ঘুরে বেড়াত মোজাফফর । মুনিরার শ্যামলা নিষ্পাপ মুখটি বড় জ্বালায়। ভীষণ জ্বালায়। নিজেকে অভিশাপ দেয় মোজাফফর । মুনিরার বাবার সঙ্গে এত ভালো সম্পর্ক ছিল, ভদ্রলোককে কিছু একটা ইঙ্গিত দিলেই হত।
কিন্তু, কি লাভ হত ? বিশ্ববিদ্যালয়ের বেকার ছেলের হাতে কে মেয়ে তুলে দেবে? শহরের রাস্তায় হাঁটতে- হাঁটতে কখনও এক পলক ওপরের ধূসর আকাশের আকাশের দিকে তাকাত মোজাফফর । লোকে বলে ওই মহাকাশে বাস করেন মহাকাল। জীবন ও বিশ্বজগতের ঘটনাপুঞ্জ সবই তার লীলা ...
স্যার! কেমন আছেন?
মোজাফফর চমকে ওঠে।
ভালো। বস।
হৃৎকম্পন টের পায় মোজাফফর।
মুনিরা বসল। বসার ঘরটা পারফিউমের গন্ধে ভরে গেছে। ভীষণ সেজে এসেছে মুনিরা, যেন বিয়েবাড়ি যাবে, দাওয়াত আছে। তবে মুনিরা আগের মত আর ছিপছিপে নেই।
বরং মোটা হয়ে গেছে। তারপরও সাহস করে মুনিরার চোখের দিকে তাকায় মোজাফফর। সে এখন আর বেকার প্রাইভেট টিউটর নয়, বিখ্যাত একটি প্রাইভেট ব্যাংকের সম্ভাবনাময় তরুণ কর্মকর্তা।
দিন কয়েক পর আলী আহমেদ নিজেই বিয়ের কথা তুললেন। আলী আহমেদ-এর শরীর ভালো না।
মুনিরা বাবাকে ছেড়ে দূরে কোথাও যাবে না। মোজাফফরও এ বাড়িতে থাকবে না। সেগুনবাগিচায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিল মোজাফফর । সিঁড়ি ভাঙলে আজকাল মুনিরা হাঁপিয়ে ওঠে। যে কারণে ফ্ল্যাট নীচের দিকে নিতে হল।
ফ্ল্যাট দেখে ফিরে আসার সময় রিকশায় মুনিরা বলল, এ্যাই, শোন।
বল।
বিয়ে কিন্তু ঘরোয়া ভাবে হবে। কমিউনিটি সেন্টারে হবে না। আজকাল আমার লোকজনের ভিড় সহ্য হয় না।
ঠিক আছে।
অফিস আর কলিগদের কাছ থেকে সব মিলিয়ে লাখ তিনেক টাকা লোন নিল মোজাফফর ।
ডিসেম্বর মাসের গোড়ায় রামপুরার মেস ছেড়ে সেগুনবাগিচার ফ্ল্যাটে উঠে এল।
মুনিরাই দু’ বেলা এসে সাজিয়ে তুলল ভবিষ্যতের ঘরদোর।
বিয়ের দিন মায়ের কথা মনে পড়ছিল মোজাফফরের।
কুমারখালীতে ফোন করে বড় বোনকে খবর দিয়েছিল; আসতে পারবে না, শ্বশুরের অসুখ। দিনটা ছিল শুক্রবার। দুপুরের আগেই কয়েকজন কলিগকে নিয়ে বরের বেশে মুনিরাদের বাড়ি যায় মোজাফফর । জুম্মার নামাজের পর আধ ঘন্টার ভিতরেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যায়। ড্রইংরুমের ফার্নিচার সরিয়ে মেঝেতে চাদর বিছিয়ে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল।
খাওয়ার পর্ব শেষ হলে মুনিরাকে নিয়ে সবাই যখন সেগুনবাগিচার ফ্ল্যাটে ফিরে এল- তখনও শীতবেলার আলো জ্বলজ্বল করছিল। কয়েকজন কলিগের স্ত্রী আগেই ফ্ল্যাটে চলে এসেছিল, বাসরঘরটি তারাই ফুলে-ফুলে সাজিয়ে তুলেছিল; তাদেরই একজনের দুর্দান্ত রান্নার হাত-চিকেন বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়াল। কে একজন বাইরে গিয়ে বোরহানির কয়েকটি বোতল নিয়ে এসেছিল। এক কলিগের স্ত্রী- চুলে লাল রং করা, ফরসা, সুন্দরী- আকারে-ইঙ্গিতে নানা রকম ইরোটিক কথাবার্তা বলে মোজাফফর কে রীতিমতো লজ্জ্বায় ফেলে দিল । সবাই রাত ন’টা দশটা পর্যন্ত থেকে হইচই করল।
মোজাফফরের জন্য এসব অভিজ্ঞতা একেবারেই নতুন।
সে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানায়।
স্বপ্ন পূরণের সেই রাতেই মুনিরাকে ছুঁল মোজাফফর । যেন এক অধরা স্বপ্ন কে ছুঁল এক অপেক্ষমান এক তৃষ্ণার্ত পুরুষ, হয়তো এঁটো-বাসী আর সেকেন্ডহ্যান্ড স্বপ্ন, তবুও স্বপ্ন তো ...তবে বিছানায় মুনিরাকে সেরকম স্পর্শকাতর আর রেসপনসিভ মনে হল না ...যে রকম পারস্পারিক উন্মাদনা নিষিদ্ধ নীল ছবিতে দেখা যায়। মোজাফফর কে হতাশা গ্রাস করে।
তবে নতুন বৌয়ের পাশে শুয়ে নগ্ন নারী শরীরের ঘামের গন্ধে ডুবে থেকে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হল তার।
বছরটা প্রায় শেষ হয়ে আসছিল।
হানিমুন না হলেও-মুনিরাকে নিয়ে ঢাকার বাইরে কোথাও যাওয়া দরকার। অফিসে ক’দিনের ছুটি পাওনা ছিল মোজাফফরের। আসলে অফিসে জয়েন করার পর এক দিনের জন্যও অফিস কামাই করেনি মোজাফফর ।
বছরের শেষের দিকে কক্সবাজারে হোটেলের রুম পাওয়া মুশকিল। এক কলিগের মাধ্যমে কলাতলিতে একটি মনোরম হোটেলের একটি রুমের রিজার্ভেশন পায়। মুনিরাকে নিয়ে নাইট কোচে কক্সবাজার চলে আসে । এরপর ক’টা দিন কাটে সমুদ্রপাড়ে হাঁটাহাঁটি করে, সন্ধ্যায় কোনও স্বল্প আলোর রেঁস্তোরায় খেয়ে, এবং অনেক রাত অবধি হোটেলের বারান্দায় বসে থেকে। নিজেকে অসম্ভব ভাগ্যবান মনে হয় মোজাফফরের।
গভীর কিছু ভাবনাও মোজাফফরকে ছুঁয়ে যায়। যদি সেই বিকেলে মুনিরার বাবার সঙ্গে আমার দেখা না হত তাহলে কি আমি মুনিরাকে ফিরে পেতাম? ঘটনাটি কি কাকতালীয়? নাকি মহাকালের ইঙ্গিত? শীতের পূর্ণিমার আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবে মোজাফফর । লোকে বলে ওই আকাশে বাস করেন মহাকাল; জীবন ও বিশ্বজগতের যাবতীয় ঘটনাপুঞ্জ সবই তার লীলা। লালনের গানের একটি চরণ মনে পড়ে যায়:
আত্মতত্ত্ব জানে যারা শাঁইর নিগূঢ় লীলা দেখছে তারা ...
সত্যিই কি তাই ? মোজাফফর দীর্ঘশ্বাস ফেলে। সত্যিই কি আত্মতত্ত্ব জানে যারা শাঁইর নিগূঢ় লীলা দেখছে তারা? পাশে বসে-থাকা মুনিরার চুলের জলপাই গন্ধ পায়।
চেয়ে দেখে শীতরাত্রির আকাশের নীচে শীতের জোছনার অথই রুপালি সমুদ্র। এখন জোয়ারের সময় বলেই লোনা পানির আর্তনাদ এত দূর থেকে শোনা যায়। মুনিরাকে হারিয়ে ফিরে পেলাম ... এটা কি শাঁইর নিগূঢ় লীলা? ভেবে ভেবে কূলকিনারা পায় না মোজাফফর ।
যে শাঁই আমাকে দুঃখ দিলেন, সেই শাঁই-ই আবার আমাকে সুখি করে তুললেন?
আশ্চর্য!
ঢাকায় ফিরে আসার ক’দিন পর বুকের তীব্র ব্যাথার অচেতন হয়ে পড়ে মুনিরা।
মোজাফফর উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে।
মুনিরা কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে কলিগদের সঙ্গে পরামর্শ করে মুনিরাকে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যায়। অনেক ক’টা টেস্ট করার পর মোজাফফর কে আলাদা করে ডেকে সেই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বললেন, অ্যাজ সুন অ্যাজ পসিবল আপনার স্ত্রীর বাইপাস করাতে হবে।
শরীর অবশ হয়ে আসে মোজাফফর এর।
যদি সম্ভব হয় তো বিদেশে নিয়ে যেতে পারেন। অবশ্য এখানেও করাতে পারেন ... আই মিন ...
মোজাফফর-এর নিঃশ্বাস আটকে আসে।
বাইপাস তো অনেক টাকার ব্যাপার। বিয়ের সময় অফিস থেকে লামসাম অ্যামাউন্ট লোন নিয়েছে, তা ছাড়া কলিগদের কাছেও পারসোনাল লোন আছে, এখন শ্বশুরের কাছে টাকা চাওয়া কি ঠিক হবে? ভবিষ্যতের অবলম্বন ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙাতে হবে। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে মোজাফফর বলে, আমার স্ত্রীর অবস্থা কেমন বুঝলেন ডাক্তার ?
সত্যি কথা কি - আপনার স্ত্রীর অবস্থা ভালো না। হার্টে অনেক ক’টা ব্লক ...আই মিন ...
মোজাফফরের শরীর ঘামে ভিজে যায় সেই সঙ্গে দু’চোখে অন্ধকার নেমে আসে । যে শাঁই আমাকে সুখি করে তুলে ছিলেন- সেই শাঁই-ই আবার আমাকে দুঃখ দিলেন? আশ্চর্য! মনিরার এই দুরূহ অসুখটি তা হলে মহাকালের নিগূঢ় লীলা?
বাস্তবতা ভুলে লীলার পরবর্তী পর্বে নিজের ভূমিকা ঠিক কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে মোজাফফর ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।