সোমবার সকাল থেকে নিলক্ষা চরের গোপীনাথপুর, দড়িগাঁও, বীরগাঁও, হরিপুর, আমিরাবাদ ও সোনাকান্দী গ্রামের দু’দলের সমর্থকরা দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নরসিংদী থেকে ৬০ সদস্যের একটি দাঙ্গা পুলিশের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-সার্কেল) জহিরুল ইসলাম।
বিকালের দিকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে এসব গ্রাম থেকে বেশ কিছু মানুষ সরে গেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
রায়পুরা থানার ওসি (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম জানান, গোপীনাথপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থক জজ মিয়া ও বিএনপি সমর্থক আব্দুর রহিমের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
“এর জেরে ২০১২ সালে হেকিম নামে জজ মিয়ার এক সমর্থক নিহত হন।
গত ২৪ জুলাইও দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এরপর পুলিশ জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। এতে তার সমর্থকরা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ”
ওসি জানান, ঈদের আগের দিন সুধন মিয়া নামে জজ মিয়ার এক সমর্থককে দড়িগাঁও নতুন বাজারে মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। সেদিনও দু’পক্ষের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তখন থেকে পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান করছিল।
“রোববার সেখান থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নেয়া হলে সোমবার সকাল থেকে দু’পক্ষের লোকজন আবারো দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুরো এলাকাই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ”
আহতদের মধ্যে শাহজাহান (৪০), খলিল (৬০), লিয়াকত আলী (৩০), সুজন (১৮), সামাদ আলীর (৩০) নাম জানা গেছে।
গ্রেপ্তার এড়াতে আহতদেরকে নৌকাযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরো জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিকাল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ চলছিল বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।