আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

NCTB Book ) চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম ধর্ম ২য় অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর

শহীদের খুন লেগে, কিশোর তোমার দুই হাতে দুই, সূর্য উঠেছে জেগে। -------হাসান হাফিজ আরবী আমার পাঠ্য বিষয় ছিল না, কিন্তু আমার এক আত্মীয় খুব পীড়াপীড়ি করল চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম ধর্ম বইয়ের ১ম ও ২য় অধ্যায়ের প্রশ্নগুলোর উত্তর তৈরি করে দিতে। কথায় আছে না,"পড়েছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে"-শত ব্যস্ততার মাঝে তাই করে দিতে হলো । আর আপনাদের সাথে তা শেয়ার করলাম, যদি কারো উপকারে আসে। আমার জন্য দোয়া করবেন।

************************************************** ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা চতুর্থ শ্র্রেণি দ্বিতীয় অধ্যায়--------------------এবাদত সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন ১) পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম লেখ। উত্তর ঃ আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে সর্বপ্রধান ইবাদাত হল- সালাত । দিনে-রাতে পাঁচ বার সালাত আদায় করতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম হল- সালাতের নাম ফজর( ) যোহর( ) আসর ( ) মাগরিব( ) ইশা ( ) ২) তাহারাত সম্পর্কে মহানবি (স.) কী বলেন? উত্তর ঃ তাহারাত অর্থ পবিত্রতা। পাক-পবিত্র থাকাকেই তাহারাত বলে।

যেমন- উযূ করা, গোসল করা, তায়াম্মুম করা ইত্যাদি। তাহারাত সম্পর্কে মহানবি (স.) বলেন, “পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ। ” ৩) “ আস্সালাতু খাইরুম মিনান নাঊম” - এর অর্থ কী? উত্তর ঃ আস্সালাতু খাইরুম মিনান নাঊম ( ), অর্থ : ঘুম থেকে নামায উত্তম; ঘুম থেকে নামায উত্তম। ৪) মাগরিব নামাজের ওয়াক্ত কখন শুরু ও শেষ হয়? উত্তর ঃ আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে সর্বপ্রধান ইবাদাত হল- সালাত । পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের মধ্যে মাগরিব হল সান্ধ্যকালীন সালাত।

সূর্য ডোবার পর মাগরিব শুরু হয়। পশ্চিম আকাশে আলোর লাল আভা মুছে যাওয়ার সাথে সাথে তা শেষ হয়। ৫) ঈদের দিনের সুন্নত কাজ গুলো কী কী? উত্তর ঃ ঈদের দিন যে সম¯ত কাজ সুন্নত তা হল : ১. সকালে গোসল করা, ২. খোশবু মাখা, ৩. পরিষ্কার কাপড় পড়া, ৪. মিষ্টি জাতীয় কিছু খাওয়া, তবে ঈদুল আযহার দিন নামাযের আগে কিছু না খাওয়া উত্তম। ৫. ঈদের নামায মাঠে আদায় করা। ৬. তাকবীর পড়া বর্ণনামূক প্রশ্নোত্তর: ১) এবাদত শব্দের অর্থ কী? এবাদত কাকে বলে ? উত্তর ঃ এবাদত: এবাদত অর্থ গোলামি করা, আমল করা, কাজ করা।

আল্লাহর হুকুম মানা, তাঁর কথামত ও রাসূলের দেখানো পথে চলাকে এবাদত বলে। প্রধান এবাদত হল : সালাত (নামায), যাকাত, সাওম (রোযা), হজ। আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদে বলেছেন,"আমি সৃষ্টি করেছি জিন এবং মানুষকে এজন্য যে, তারা শুধু আমারই এবাদত করবে। " এর অর্থ হলো- ১। আমরা কেবল আল্লাহ তায়ালার গোলামি করব, অন্য কারো নয়।

২। আমরা কেবল আল্লাহ তায়ালার আদেশমতো চলব, অন্য কারো নয়। ৩। কেবলমাত্র তাঁরই সামনে মাথা নত করব, অন্য কারো নয়। ৪।

কেবলমাত্র তাঁকেই ভয় করব অন্য কাউকে নয়। ৫। কেবলমাত্র তাঁর কাছে সাহায্য চাইব, অন্য কারো কাছে নয়। এই পাঁচটি জিনিসকে আল্লাহ তায়ালা বুঝিয়েছেন এবাদত শব্দ দ্বারা। এছাড়া আরও ইবাদাত আছে।

যেমন- সালাম দেওয়া, আব্বা-আম্মার কথা শোনা, জীবে দয়া করা, সৃষ্টির সেবা করা, রোগীর যতœ নেয়া, ক্ষুধার্তকে খাদ্য দেয়া, ইয়াতীম-মিসকিনকে সাহায্য করা, সত্য কথা বলা, ভাল কাজে আদেশ ও মন্দকাজে নিষেধ করা ইত্যাদি। ইবাদাত করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। তাই আমরা আল্লাহ হুকুম মানব, তাঁর রাসূলের দেখানো পথে চলব । ২) ওযুর ফরয কয়টি ও কী কী? উত্তর ঃ মহান আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে সর্বপ্রধান ইবাদাত হল সালাত (নামায)। নামায পড়ার আগে পাক-পবিত্র হতে হয়।

পাক-পবিত্র হওয়ার একটি উপায় হল উযূ। প্রতি দিন অন্তত পাঁচ বার আমাদের উযূ করতে হয়। ওযুর ফরয ঃ উযূতে ৪টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। এদের কোন একটি বাদ গেলে উযূ হয় না। এগুলোকে উযূর ফরয বলে।

ফরয অর্থ অবশ্য কর্তব্য বা পালনীয়। উযূর ফরয ৪টি যথা : ১. মুখমণ্ডল ধোয়া। ২. কনুইসহ দুই হাত ধোয়া। ৩. মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসহ করা। ৪. গিরাসহ দুই পা ধোয়া।

উযূর ফরযগুলো সম্পর্কে আমাদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। উযূর জন্য যে যে অঙ্গ ধোয়া ফরয সেগুলোর কোন অংশ যেন শুকনো না থাকে। শুকনো থাকলে উযূ হবে না। উযূ না হলে নামায হবে না। বাড়িতে আমাদের আব্বা-আম্মা উযূ করেন।

শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম সাহেব ভালভাবে উযূ করেন। আমরা তাঁদেরকে দেখে ভালভাবে উযূ করা শিখব। ৩) গোসলের ফরয কয়টি ও কী কী? উত্তর ঃ কুরআন মাজীদে আছে- “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক-পবিত্র লোকদের ভালবাসেন”। আমাদের মহানবি (স) বলেছেন- “পাক-পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। ” পেশাব-পায়খানা, ময়লা-আবর্জনা ইত্যাদি নাপাক জিনিস হতে পাক সাফ থাকাকেই পাক-পবিত্রতা বলে।

পাক-পবিত্র হওয়ার একটি উপায় হল গোসল । পানি দিয়ে সারা শরীর ধোয়াকে গোসল বলে। গোসল করলে গায়ের ঘাম দূর হয়। দুর্গন্ধ দূর হয়। দেহমন পবিত্র হয়।

মন ভাল থাকে এবং কাজে উৎসাহ জাগে। আমরা গোসলের শুরুতে দুই হাত ধুয়ে নেব। শরীরে নাপাকি বা ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার করব। গড়গড়াসহ কুলি করে মুখ পরিষ্কার করব। পানি দিয়ে নাক সাফ করব।

পরে সারা শরীর ভাল করে তিন বার ধুয়ে ফেলব। এভাবে গোসল করব। গোসলের ফরয ঃ গোসলের অবশ্য করণীয় কাজ বা ফরয ৩টি যথা : ১. গড়গড়াসহ কুলি করা। ২. পানি দিয়ে ভালভাবে নাক সাফ করা। ৩. পানি দিয়ে সারা শরীর ধোয়া।

এর কোনটিতে ত্র“টি থাকলে গোসল হয় না। খেয়াল রাখতে হবে শরীরের একটা চুলও যেন শুকনো না থাকে। নিয়মিত গোসল করলে শরীর ভাল থাকে। গোসল করা মহান আল্লাহর হুকুম। এটাও একটা ইবাদাত।

৪) আযানের গুরুত্ব বর্ণনা কর। উত্তর ঃ আযান অর্থ ঘোষণা। নির্দিষ্ট কতকগুলো বাক্যের মাধ্যমে নামাযের জন্য আহ্বান করাকে আযান বলে। যিনি আযান দেন তাকে বলে মুয়ায্যিন। সালাত (নামায) জামাআতের সাথে আদায় করতে হয়।

মহানবী (স) জামাআতে নামায পড়তে তাকিদ দিয়েছেন। কিন্তু জামাআতে নামাযের জন্য কীভাবে ডাকতে হয় তা প্রথমে জানা ছিল না। মহানবী (স) সাহাবীদের নিয়ে এক দিন পরামর্শে বসলেন, আলোচনা চলল। কেউ বললেন, নামাযের সময় হলে ঘণ্টা বাজান হোক। কেউ বললেন, শিঙ্গায় ফুঁ দিয়ে ডাকা হোক।

অন্য এক জন বললেন, আগুন জ্বালান হোক। আরও অনেকেই অনেক কথা বললেন। মহানবী (স) কোনটাই পছন্দ করলেন না। সেদিন রাতে সাহাবী হযরত আবদুলল্লা ইব্ন যায়েদ (রা) ও হযরত উমর (রা) স্বপ্ন দেখেন এক জন ফেরেশতা আযানের বাক্যগুলো শুনাচ্ছেন। বাক্যগুলো মহানবী (স)-এর খুবই পছন্দ হল।

তিনি বুঝলেন, এটা মহান আল্লাহরই নির্দেশ। তিনি হযরত বিলাল (রা)-কে আযান দিতে বললেন। হযরত বিলালের কণ্ঠে ধ্বনিত হল প্রথম আযান। আযানের এই মর্মস্পর্শী ডাক শুনে কোনো মুমিনব্যক্তি বসে থাকতে পারে না। প্রকৃত মালিকের দরবারে হাজির হযে তাঁর সামনে মাথা নত না করে সে কিছুতেই শান্তি পায় না।

তাই জামাতে নামাজ আদায়ে আজানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫) সালাতের আহকাম কয়টি ও কী কী? উত্তর ঃ সালাত শুরুর আগে সাতটি ফরয কাজ করতে হয়। এগুলোকে বলে নামাযের আহকাম। আহকামগুলো ঠিকমত পালন না করলে নামায হয় না। সালাতের আহকামগুলো হলো ঃ ১. শরীর পাক, ২. কাপড় পাক, ৩. জায়গা পাক, ৪. সতর ঢাকা (কাপড় পরা), ৫. কিবলামুখী হওয়া, ৬. নিয়ত করা, ৭. ওয়াক্ত মত নামায পড়া।

সতর ঢাকা মানে পুরুষের নাভির ওপর থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা। আর মেয়েদের মুখমণ্ডল, হাতের কব্জি ও পায়ের পাতা ছাড়া সারা শরীর ঢেকে রাখা কেবলামুখী হওয়ার অর্থ কাবা শরীফের দিকে মুখ করে নামায আদায় করা। আমাদের দেশ থেকে কাবা শরীফ পশ্চিম দিকে। তাই আমরা পশ্চিম দিকে মুখ করে নামায পড়ি। নিয়্যাত অর্থ ইচ্ছা করা, স্থির করা।

তকবির-ই-তহরিমার সময় প্রত্যেক নামাযের নিয়্যাত করতে হয়। যেমন, মনে মনে স্থির করা ‘আমি আল্লাহর ওয়াস্তে ফজরের দুই রাকাআত ফরয নামাযের নিয়্যাত করলাম”। এমনিভাবে যুহরের সময় যুহর, আসরের সময় আসর, মাগরিবের সময় মাগরিব এবং ইশার সময় ইশার ইত্যাদি নামাযের নাম মনে মনে বলতে হয়। জামাআতে নামাযের সময় “আমি এই ইমামের পিছনে নামায পড়ছি” এই কথাও ভাবতে হয়। প্রত্যেক নামাযের জন্য নির্দিষ্ট ওয়াক্ত রয়েছে।

ওয়াক্তমত নামায পড়তে আল্লাহ আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ওয়াক্তমত নামায না পড়লে নামায হয় না। ৬) সালাতের আরকান কয়টি ও কী কী? উত্তর ঃ নামাযের ভিতরে সাতটি ফরয কাজ আছে। এগুলোকে নামাযের আরকান বলে। যথা : ১. তকবির-ই-তহরিমা বা ‘আল্লাহু আকবার” বলে নামায শুরু করা।

২. কিয়াম অর্থাৎ দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা। তবে কোন কারণে দাঁড়াতে অক্ষম হলে বসে, এমনকি শুয়েও নামায আদায় করা যায়। ৩. কিরাআত অর্থাৎ কুরআন শরীফের কিছু অংশ তিলাওয়াত করা। ৪. রুকূ করা। ৫. সিজদাহ করা।

৬. শেষ বৈঠক। ৭. সালামের মাধ্যমে নামায শেষ করা। এর কোন একটি বাদ পড়লে নামায হয় না। তাই এগুলো আদায়ের ব্যাপারে আমরা খুবই সাবধান থাকব। ৭) সালাতের সামাজিক গুণাবলি বর্ণনা কর।

উত্তর ঃ আমরা সালাতের আজান শোনামাত্রই সব কাজকর্ম, খেলাধুলা ছেড়ে দিব। পাক-পবিত্র পানি দিয়ে অযু করব। পাক-সাফ কাপড় পরে মসজিদে যাব। মসজিদে সবাই সোজা হয়ে কাতার করে দাঁড়াব। সবাই ইমামের সাথে সালাত আদায় করব।

এভাবে সালাত আদায় করলে মানুষের মনে আল্লাহ তায়ালার ভয় সৃষ্টি হয়। এই ভয় থেকে মানুষ সকল অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকে । চরিত্রবান হয়। প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদে জামাত হয়। পাড়ার, মহল্লার লোকজন একসাথে সালাত আদায় করেন।

এতে পরস্পর দেখা-সাক্ষাত হয়, কুশলাদি জানা যায়। সুখে-দুঃখে একে অন্যের সাহায্য-সহযোগিতার সুযোগ হয়। মসজিদে গিয়ে আমরা বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার, বিভিন্ন অবস্থার মানুষ দেখতে পাই। কেউ গরীব, পুরাতন ও ছেঁড়া কাপড় পড়ে আছে। কেউ ক্ষুধার্ত, কেউবা অক্ষম, পংগু, অন্ধ।

আমাদের মধ্যে যারা ধনী তারা এসকল গরীব-দুঃখীদের দুঃখ-কষ্ট বুঝবে। অভাবী ও অসহায় লোকেরা ধনীদের কাছে তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা বলার সুযোগ পায় । ধনীরা তাদের সাধ্যমত তাদের সহায়তা করবে। জামাতে সালাত আদায়ের মাধ্যমে এভাবেই ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ও মমতাবোধ গড়ে উঠবে। গড়ে তুলবে একটি শ্রেণীহীন, বৈষম্যহীন সাম্যের ভিত্তিতে সমাজ এবং সামাজিক ঐক্য।

৮) ঈদের সালাত আদায়ের নিয়ম লিখ। উত্তর ঃ ঈদের সালাত আদায়ের নিয়ম প্রথমে কাতার করে ইমামের পিছনে দাঁড়াব। নিয়ত করব। আল−াহু আকবার বলে কান পর্যšত হাত উঠিয়ে তহরিমা বাঁধব। সানা পাঠ করব।

এরপর কান পর্যšত হাত উঠিয়ে ইমামের সাথে তিন তাকবীর দেব। প্রথম দুই বার হাত না বেঁধে ছেড়ে রাখব। তৃতীয় তাকবীর দিয়ে নামাযে হাত বাঁধার মত দুই হাত বাঁধব। পরে ইমাম সাহেব অন্যান্য নামাযের মত সূরা ফাতিহা ও অন্য যে কোন সূরা পাঠ করবেন। রুকূ ও সিজদাহ করবেন।

আমরাও ইমামের সাথে রুকূ-সিজদাহ করব। দ্বিতীয় রাকআতে ইমাম সাহেব আলহামদু ও অন্য একটি সূরা পাঠ করবেন। এরপর উচ্চস্বরে তিন তাকবীর দেবেন। আমরাও তিন বার আল্লাহু আকবার বলব। তিন বারই কান পর্যšত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেব, হাত বাঁধব না।

পরে চতুর্থ বার আল্লাহু আকবার বলে রুকূ করব। এরপর অন্যান্য নামাযের মত সিজদাহ করব। তাশাহহুদ, দরূদ, দু‘আ মাসূরা পাঠ করে ইমামের সাথে সালাম ফিরাব। নামায শেষে ইমাম সাহেব দুইটি খুতবা দেবেন। খুতবা শুনা ওয়াজিব।

৯) ঈদের সালাতের সামাজিক তাৎপর্য লিখ। উত্তর ঃ ঈদ অর্থ আনন্দ। ঈদ হলো খুশির দিন । বিশ্বের মুসলিমগণ দুটি ঈদ উৎসব করেন। একটি রোজার শেষে ঈদুল ফিতর ।

আরেকটি হলো কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা। ঈদের দিন সারা এলাকার মুসল্লিরা ঈদগাহে একত্রিত হন। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর একে অন্যকে কাছে পেয়ে আপ্লুত হয় । ঈদের সালাতে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ায়। এখানে ধনি-গরীব, উঁচু-নিচু, জাত-পাত, ছোট-বড় ইত্যাদি ভেদাভেদ করা হয় না ।

ঈদ নিছক উৎসবের দিন নয়। এদিন পাড়া-প্রতিবেশী, গরিব-দুঃখীর খোঁজখবর নিতে হয়। বিধবা, এতিম, সকলের মুখে সাধ্যমতো হাসি ফুটানোর চেষ্টা করতে হয়। কারণ আনন্দের দিনে যাতে কেউ অভুক্ত না থাকে। কোরবানির গোশত তিনভাগ করে একভাগ নিজের জন্য রাখব, একভাগ আত্মীয়দের মাঝে বিতরণ করব, আরেকভাগ গরিবদের মাঝে বন্টন করব।

এভাবে ঈদের খুশিতে সবাই শরিক হতে পারে। এতে সমাজে মধুর সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ঈদের সালাত ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ও মমতাবোধ ফিরিয়ে আনে। গড়ে তোলে একটি শ্রেণীহীন, বৈষম্যহীন সাম্যের ভিত্তিতে সমাজ, গড়ে তোলে সামাজিক ঐক্য। আমরা ঈদের এ মহান শিক্ষা নিজেদের জীবনে বাস্তবায়িত করব।

সবার সংগে মিলেমিশে ঈদের আনন্দ উপভোগ করব। ঈদের এ শিক্ষাকে সমাজে ছড়িয়ে দেব। ********************************************* চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম ধর্ম ১ম অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ধর্ম ১ম অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ধর্ম ২য় অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।