http://www.somewhereinblog.net/blog/Paranoid
ফুটবল নিঃসন্দেহে এই গ্রহের জনপ্রিয়তম খেলা। আর তাই ফুটবল নিয়ে ট্রোলিং বা পঁচানির কালচারটাও বেশ জমে উঠেছে। বিশেষ করে এই ইন্টারনেটের যুগে ফেসবুক এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটে নানারকম ছবি এবং মিমিতে, সরস এবং ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যের মাধ্যমে ফ্যানরা ফুটবল ট্রোলিংকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ফুটবলে কখনই বর্ণিল চরিত্রের অভাব ছিলো না। ক্রিকেটের মত এখানে এত নিয়ম মেনে চলার বাধ্যবধকতাও নেই।
তাই কেউ মারমুখী আচরণ করে, কেউ বিদঘুটে ড্রেস পরে, কেউ ডাইভ দিতে গিয়ে ধরা খেয়ে মুখোমুখি হন ট্রোল আদালতের! আজকে পরিচয় করিয়ে দেব ট্রোল ফুটবলের বিশিষ্ট কিছু চরিত্রের সাথে।
Emile Heskey:
সাবধান! আপনি এখন Lord heskey'র মুখোমুখি হয়েছেন। হ্যাঁ, ট্রোল ফুটবলের জগতে তিনি এই নামেই পরিচিত। তার প্রকান্ড শরীর এবং পাথুরে মুখভঙ্গির কারণেই এমন নামের উৎপত্তি। ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন স্ট্রাইকার এখন খেলছেন অস্ট্রেলিয়ার নিউকেসল জেটস টিমে।
হলিউডে যেমন চাক নরিস, বলিউডে রজনীকান্ত, ট্রোল ফুটবলে তেমনই এক মহা মহানায়ক এমিল হেস্কি। উদাহরণ স্বরূপ এই ছবিটি দেখুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন ট্রোল ফুটবলের জগতে সম্রাট হেস্কির প্রতিপত্তি!
Victor Valdes: ভিক্টর ভালদেস গোলকিপার হিসেবে খুব একটু খারাপ না। গত বছরের ফিফা নির্বাচিত সেরা দশ গোলকিপারের তালিকাতেও সে ছিলো। তাহলে কেন এত ট্রোলিং বার্সেলোনার এই গোলকিপারকে নিয়ে? কারণ হচ্ছে তার হাস্যকর সব ভুল।
গত মৌসুমে স্প্যানিশ সুপার কাপে বল রিসিভ করতে গিয়ে পজেশন হারিয়ে গোল খেয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে শিরোপা উপহার দেয়া অথবা চাম্পিয়ানস লীগের ফার্স্ট লেগে পিএসজির বিরুদ্ধে বাউন্স মিস করে গোল খাওয়া, এসব অতুলনীয় কীর্তির কারণে ট্রোল ফুটবলে তার গ্রহণযোগ্যতা কিংবদন্তীর পর্যায়ে চলে গেছে।
ভিক্টর ভালদেস লা লিগা ছেড়ে চলে যেতে চাইলে প্রতিপক্ষের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে দেখুন এই মিমিতে,
Fernando Torres: স্প্যানিশ এই স্ট্রাইকার খেলে থাকেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের বড় দল চেলসির হয়ে। স্ট্রাইকার হিসেবে তার প্রতিভা নিয়ে কোন সংশয় নেই। কিন্তু ট্রোল ফুটবলের জগৎ কখনও কখনও বড় নির্দয়! দীর্ঘ ফর্মহীনতা আর অবিশ্বাস্য এবং হাস্যকর সব মিস তাকে লিজেন্ড না বানিয়ে পারেনি। অবশ্য সমর্থকদেরই বা দোষ দিবেন কিভাবে কেউ যদি নিচের ভিডিও ক্লিপের মত মিস করে!
তাকে নিয়ে একটি জনপ্রিয় মিমি,
John terry: ইংল্যান্ড এবং চেলসির এই নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডারের ওপর সব বিষয়ে নির্ভর করতে গেলে আপনি নির্ঘাৎ ফেঁসে যাবেন! ক্লাব সতীর্থ Wayne bridge যেমন ফেঁসে গিয়েছিলেন! তার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন টেরি।
শেষতক তা এ্যাবর্শনের মত দুঃখজনক ঘটনায় পর্যবসিত হয়। আর ট্রোল ফুটবলের জগতে প্লেবয় হিসেবে স্থান পেয়ে যান টেরি!
Sergio busquets: বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার বিখ্যাত তার অভিনয়কলায় পারদর্শীতার কারণে। পায়ে একটু টোকা লাগলো তো পড়ে গিয়ে কেঁদে ককিয়ে বিপক্ষ দলের কত খেলোয়াড়কে যে কার্ড পেতে বাধ্য করেছেন তার হিসেব নেই। তার সুবিখ্যাত একটি ছবি যার কারণে সে আজ এত বিখ্যাত তা এরকম, দেখেন পড়ে গিয়ে আবার কেমন ফুঁচকি মেরে তাকায়!
Zlatan Ibrahimović: সুইডিশ ফুটবলার। এই মুহূর্তে তিনি ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজিতে খেলছেন।
তবে পরের মুহূর্তে কোথায় যাবেন বলা মুশকিল! ক্লাব বদলানোতে তার এতই আগ্রহ! তার সম্পর্কে সবচেয়ে প্রচলিত বাক্য হল, Loyalty, what the fuck is this? এমনিতে তার ফুটবল প্রতিভা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই। বার্সেলোনা, মিলানের মত বড় বড় ক্লাবে খেলেছেন। করেছেন অসাধারণ সব গোল। গত মৌসুমে চাম্পিয়্যানস লীগে করা তার বাইসাইকেল ব্যাকভলিতে করা গোলটি তো ফুটবল ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে! তিনি প্রসিদ্ধ তার সুদীর্ঘ নাকের জন্যেও!
Luis Suárez: উরুগুয়ের এই প্রতিভাবান স্ট্রাইকারের বর্তমান নিবাস লিভারপুল। ফুটবল মাঠে তিনি কখন কী করবেন বলা মুশকিল।
২০১০ এর বিশ্বকাপে ঘানার বিরুদ্ধে হাত দিয়ে গোল বাঁচিয়ে দলকে পরাজয় থেকে রক্ষা করেছেন। ২০১২ তে প্যাট্রিক এভরাকে বর্ণবাদী গালি দিয়ে নিন্দিত এবং নিষিদ্ধ হয়েছেন। আর এই বছরে তার কীর্তি হল ইভানোভিচকে মাঠের ভেতর কামড়ে দেয়া!
সবশেষে বর্তমান ফুটবলের সবচেয়ে বর্ণিল চরিত্র Mario Balotelli
ইতালিয়ান এই স্ট্রাইকার এখন খেলছেন এসি মিলানের পক্ষে। তার সম্পর্কে স্বল্প পরিসরে কিছু বলা অসম্ভব। ব্লগার শূন্যতানিমের পোস্ট থেকে কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি,
► বালোতেল্লির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ম্যানসিটি কোচ রবার্টো ম্যানচিনি বলেন, "ওর সাথে প্রতিদিন আলাপ করলে আমাকে সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাতে হবে।
"
► গোল্ডেন বয় পুরষ্কার জেতার পর তাঁর অনুভুতিঃ "পুরষ্কার পেয়ে ভালোই লাগছে, তবে আমি ছাড়া জেতার মত আর কেউ আছে নাকি?"
► পুরষ্কার পাবার পর দ্বিতীয় সেরা জ্যাক উইলশেয়ার সম্পর্কে বালোতেল্লি বলেনঃ "কি যেন নাম ওর? উইল... নাহ, ওকে চিনি না। তবে নেক্সট টাইম আর্সেনালের সাথে খেলার সময় ওর ওপর কড়া নজর রাখবো। পারলে ওকে আমার ট্রফিটা দেখাবো আর মনে করিয়ে দেব যে আমিই জিতেছি এটা, ও নয়। "
পুরো লেখাটা এখানে
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। বালোতেল্লির তরফ থেকে আপনাদের জন্যে সামান্য সান্ধ্য আয়োজন,
ফুটবল ট্রোলিং এর স্বর্গে প্রবেশ করতে চাইলে এই পেইজে ভিজিট করুন, Troll Football
হ্যাপি ফুটবল ট্রোলিং! তবে সাবধান, নিজের দল হারলে ভুলেও এই পেইজে যাবেন না।
তারা বলে, Don't come here if your team looses, you are gonna have a bad time!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।