বুধবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে তাকে আংশিক জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
জেরা শেষ হওয়ার আগে বিচারক মো. নূরুল ইসলাম আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখেন।
মামলার একাদশ সাক্ষী মঞ্জুর গত ১১ জুলাই এই আদালতে সাক্ষ্য দেন। ওই দিনই তাকে জেরা শুরু করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
এই মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বিমান বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার কেনার আবেদন করেন।
জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দুটি লো লেভেল রাডার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সাবেক সামরিক শাসক এরশাদসহ অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা ক্ষতি করেছেন।
এরশাদর পতনের পর ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ১৯৯৫ সালের ১২ অগাস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন হয়।
বুধবার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এরশাদ আদালতে ছিলেন না।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের পক্ষে তার আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম হাজিরা দেন।
আসামিদের মধ্যে বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদ আদালতে ছিলেন। অন্য আসামি একেএম মুসা পলাতক রয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।