কানাডীয়ান সরকারের অত্যন্ত সম্মানজনক পদক ‘সিটিজেনশীপ এওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশি কানাডীয়ান ড, কাজী সদরুল হক। কানাডার ফেডারেল সরকারের সিটিজেনশীপ এন্ড ইমিগ্রেশন মন্ত্রণালয় সারা কানাডার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের অবদান যাচাই বাছাই করে চলতি ২০১০ সালের জন্য মোট ১২ জনকে এই পদকে ভূষিত করেছেন। তার মধ্যে ড. কাজী সদরুল হক বিরল এই সম্মানে ভূষিত হলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. কাজী সদরুল হক দীর্ঘদিন ধরেই কানাডায় নাগরিকদের অধিকার ও সচেতনতা নিয়ে কাজ করছেন।
গত ১৯ অক্টোবর ফেডারেল সরকারের সিটিজেনশীপ এণ্ড ইমিগ্রেশন মন্ত্রী জেসন ক্যানি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১০ সালের সিটিজেনশীপ এওয়ার্ড প্রাপ্তদের নাম ঘোষনা করেন।
ওইদিনই অটোয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়।
কানাডার সিটিজেনশীপ এন্ড ইমিগ্রেশন মন্ত্রণালয় বলেছে, সেটেলমেন্ট এসিস্ট্যান্স এন্ড ফ্যামিলি সাপোর্ট সার্ভিসেস এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে গত আট বছর ধরে ড. কাজী সদরুল হক কানাডায় নতুন আসা অভিবাসী পরিবার ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের কানাডার মূলধারার সাথে একাত্মকরনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। সেই অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই সরকার ড. কাজী হককে সিটিজেনশীপ এওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, সাফস এর কর্মসূচী এবং কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি আন্ত:সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া তৈরি এবং নাগরিকদের দায়িত্বশীলতার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অসাধারন ভূমিকা রেখেছেন। সংগঠনটি প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার নবাগতকে নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকে।
সংগঠনটি এর আগে সাউথ এশিয়ান ফ্যামিলি সাপোর্ট সার্ভিসেস নামে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
এছাড়াও ড. হক কমিউনিটির উন্নয়ন ও সেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত। বিশেষ করে কানাডীয়ান ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশি-কানাডীয়ান কমিউনিটি সার্ভিসেস এবং দি নিউকামার ওমেন সেন্টারের সঙ্গেও সম্পৃক্ত থেকে নাগরিকত্ব,সামাজিক অধিকার ও দায়িত্ববোধ এবং কানাডার মৌল মূল্যবোধ জাগ্রত করার ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। হাজার হাজার নবাগত অভিবাসী কানাডার সামাজিক বাস্তবতায় সম্পৃক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ড. হকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে সিটিজেনশীপ এন্ড ইমিগ্রেশন মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে।
প্রতি বছরই ‘সিটিজেনশীপ উইক’ চলাকালে এই সিটিজেনশীপ এওয়ার্ড দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালযের তৈরি করা সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা থেকে সারা কানাডা থেকে বাছাই করা সিটিজেনশীপ জাজদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্যানেল এই এওয়ার্ডের জন্যে মনোনীতদের চূড়ান্ত করে। এওয়ার্ডপ্রাপ্তদের কানাডার প্রতীক সোনার ম্যাপল লিফ এর পিন এবং একটি সনদপত্র দেওয়া হয়।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে এওয়ার্ডপ্রাপ্তদের অসাধারন ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত করে বলেন,এরা নতুন অভিবাসীদের কানাডায় জায়গা করে নিতে সহায়তা করছেন,নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখতে উজ্জীবিত করেছেন, নাগরিকদের তাদের দায়িত্বপালনে প্রেরণা জুগিয়েছেন। তাদের হাতে এই পদক তুলে দিতে পেরে আমি নিজেকেও গর্বিত মনে করছি।
এওয়ার্ড পাবার প্রতিক্রিযা জানতে নতুনদেশ ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ড. কাজী সদরুল হক বলেন, ফেডারেল সরকারের সম্মানজনক স্বীকৃতিতে তিনি খুবই আনন্দিত।
তিনি বলেন, এই সম্মান এবং স্বীকৃতি তাকে প্রবাসে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশিদের অবস্থান ও ইতিবাচক ভাবমূতি তুলে ধরতে আরো বেশি অনুপ্রণিত করছে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।