আমি খুবই উদ্বিগ্ন। আমার দীর্ঘ দিনের সহকর্মী বহুল আলোচিত রিপোর্টার কামরান করিম সকাল থেকেই নিখোজঁ। সারাদিনেও তার সন্ধান মেলায় মনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
শীর্ষ নিউজের খবর :
বৈশাখী টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার কামরান করিমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সকালে অফিসে আসার পথে তিনি নিখোঁজ হন।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সকালে অফিসে যাওয়ার আগে একটি ফোন কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকেই তার খোঁজ মিলছে না। তিনি অফিসেও যাননি বলে জানা যায়। বর্তমানে তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। সমপ্রতি বৈশাখী টেলিভিশনে রাজনৈতিক বিষয়ে তার একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই তাঁকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হচ্ছিলো।
মাদারীপুরে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কাজ শেষ করে সোমবার ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি। এ ব্যাপারে থানায় জিডি এবং র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে।
কামরান করিম নিখোজ হওয়ার পর থেকে সারাদেশ থেকে সহকর্মীরা সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে ফোন করছেন। কামরান করিম নিখোজঁ হওয়ার পিছনে যেসব কারণ থাকতে পারে বলে সহকর্মীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে সে গুলো হলো:
১। গতকাল কামরান মাদরিপুর থেকে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরে আসে বলে জানাগেছে।
বরিশাল থেকে রাতে এক সহকর্মী জানান,ঐ রিপোর্টটি নাকি স্থানীয় রেবের এক বড় কর্মকর্তা কতূর্ক গৃহপরিচারিকা নির্যাতন করার বিষয়ে। টেলিভিশনে এখনো প্রচার না হলেও, এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট আজকের দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায়ও নাকি ছাপা হয়েছে বলে জানান তিনি। কামরান করিম নিখোজঁ হওয়ার পছিনে রেবের ঐ কর্মকর্তার হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
২। চ্যানেল ওয়ানে থাকা অবস্থায় কামরান করিম ইন্ডিয়ান হাই কমিশনের নিরাপত্তায় তাদের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ নিয়ে একটি বিশেষ রিপোর্ট করেছিলেন।
সে সময় রিপোর্টটি নিয়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। তখন অনেক সহকর্মীই মনে করতো এই রিপোর্টের কারনে কামরানকে একদিন অসুবিধায় পড়তে হবে। আজ নিখোজঁ হওয়ার পর এক সহকর্মী মোবাইল ফোনে সে কথাইটিই মনে করিয়ে দেয় এবং তিনি মনে করেন নিখোজঁ এ কারণেও হতে পারে।
৩। এছাড়া কয়েকদিন আগে রাজনৈতিক বিষয়ে বৈশাখী টেলিভিশনে তার একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচার হয়।
এর পর থেকে কামরানকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হচ্ছিল বলে বৈশাখী অফিস সূত্রে জানাগেছে। এ কারনেও কামরান নিখোজঁ হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বি:দ্র: বুঝতেই পারছেন মানসিক অবস্থা ভাল নয় তাই ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।