ক’দিন ধরে ব্যস্ত শিমুল আলুর চাষীরা। আগাম আলুর দাম বেশি। তাই অনেকে ঝুঁকে পড়েছে শিমুল আলু তোলায় । মাত্র আড়াই একর জমিতে শিমুল আলু চাষ করে রংমালা ৪ বছরের ব্যবধানে আমুল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন সংসারের। জীবন সংগ্রামে জয়ী আদিবাসী এ রমনী শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার সিংগাবরনা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকার চুকুচুকি গ্রামের বাসিন্দা।
কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষের বাড়িতে কাজ করতে পারিনা। খারাপ কথা কয়। অনেক লোকই আমারে কষ্ট দিছে। মাসির ( খালা ) কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা ধার (ঋণ) নিয়ে পাহাড়ের ২৫ শতাংশ জমিতে শিমুল আলু চাষ করি। প্রথম বছর জমির লিজের টাকা আর ধার শোধ করে লাভ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা।
চলতি বছর রংমালা সাড়ে ৪ একর জমিতে শিমুল আলুর চাষ করেছেন। আলু চাষের আয় দিয়ে চলে তার সংসার। তিনি জানান, এ আয়ের টাকা দিয়ে দু’ছেলে মেয়েকে পড়া লেখা করাচ্ছেন। রংমালার মতো তার পার্শ্ববতী গ্রাম রাঙাজানের শিমুল আলু চাষী জুলিয়াস মারাক, ফিলিপ মারাক ও মিনাল মারাকসহ অনেকে জানান, শিমুল আলু চাষ লাগে সামান্য। চৈত্র বৈশাখ মাসে আলুর ডগা লাগাতে হয়।
১ / ২ বার নিরানি আর সামান্য সার ব্যবহারেই এর ফলন হয় বিপুল পরিমানে। আশ্বিন কার্তিক মাসে তোলা হয় এসব আলু। অতিবৃষ্টি বা খরাতে গাছের কোনো তি হয়না। তাই এলাকার আদিবাসীসহ শতশত দরিদ্র কৃষক এখন শিমুল আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছে। তবে অনেক কৃষকই জানান, এ ব্যাপারে এনজিও বা সরকারিভাবে ুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা হলে গারো পাহাড়ে শিমুল আলু চাষাবাদে বিপ্লব ঘটবে।
এ এলাকার কৃষি খাতে আয়ের উৎসে যোগ হবে নতুন মাত্রা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এফএম মোবারক আলী জানান, পাহাড়ি মাটিতে শিমুল আলু চাষে উৎপাদন হয় বেশি। নিচু ও সমতল জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে এর চাষ হয় কম। এবার গারো পাহাড়ে ১৩/১৪টি গ্রামে কমপে ৭’শ একর জমিতে শিমুল আলুর চাষ হয়েছে। শিমুল আলু ব্যবসায়ীরা জানান, এ আলু আগে শুধুমাত্র স্থানীয়ভাবে চাহিদা ছিল বেশি।
এখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেই এর চাহিদা রয়েছে।
বিডি ন্যাশনাল নিউজ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।