আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিতাবাঘের গায়ে ফোঁটা ফোঁটা দাঁগ কেন? আমুন জেনে নেই এখনই

আমি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি মনুষত্বে

চিতাবাঘের গায়ে ফোঁটা আর বাঘের গায়ে ডোরাকাটা দাগ—এসবই হয়ে থাকে তাদের বাসস্থানের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী। ব্রিটেনের একদল গবেষক জানিয়েছেন এমন তথ্য। সম্প্রতি তারা ৩৭ প্রজাতির বুনো বেড়ালের ওপর গবেষণা চালিয়ে বিভিন্ন বর্ণের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এমন মন্তব্য করেছেন। তারা বলেছেন, যেসব বাঘ গাছে থাকে এবং কম আলোয় বিচরণ করে, তাদের গায়ের রঙ সাধারণত জটিল ও অস্বাভাবিক হয়ে থাকে।

খবর বিবিসি। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা চিতাবাঘের গায়ে ফোঁটা এলো কীভাবে—শীর্ষক তাদের গবেষণাকর্মটি প্রকাশ করেছেন রয়্যাল সোসাইটি জার্নালে। বুনো বেড়ালের গায়ের নানা ধরনের বর্ণ দরকার হয় বনে জঙ্গলে, মরুভূমির বালিতে কিংবা বরফঢাকা পাহাড়ে নিজেদের লুকিয়ে রাখার জন্য। এটা অবশ্য নতুন কোনো তথ্য নয়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তাদের গায়ের বর্ণ বা দাগের প্যাটার্ন বা ধরন সম্পর্কে।

বলা হয়েছে, নিজেদের নিরাপত্তার প্রয়োজনে তাদের গায়ে রঙের এসব ধরন বা প্যাটার্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। এসব প্যাটার্নের ওপর পর্যবেক্ষণ চালানোর জন্য তারা ইন্টারনেটে বাঘের ছবি সংগ্রহ করে সেগুলোকে গাণিতিক প্রক্রিয়ায় বিশ্লেষণ করেন। ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের প্রফেসর উইলিয়াম অ্যালেন বলেন, ‘এদের কিছু কিছু প্রজাতির শরীরের ফোঁটা বা ডোরা দাগগুলো সত্যিই জটিল ধরনের। এই ধরন নির্ভর করে তারা কোথায় বসবাস করে এবং কী ধরনের আচরণে অভ্যস্ত তার ওপর। এরা যদি রাতে চরতে বেরোয় এবং যদি গাছে বাস করে তাহলে এসব দাগ বা ফোঁটা একটু জটিল ও বিচিত্র ধরনের হবেই।

’ তিনি বলেন, যেমন চিতাবাঘের গায়ে ফোঁটার দরকার হয় গাছের কাণ্ডের স্বাভাবিক রঙের সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে রাখার জন্য। সম্ভবত খুব সাধারণ ও সরল জেনেটিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের গায়ের ফোঁটাগুলো পুরুষানুক্রমে চলছে। বিজ্ঞানীরা অবশ্য এখনও এর মেকানিজম সম্পর্কে সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তবে প্যাটার্নের উপযোগিতা সম্পর্কে বলতে পেরেছেন। ড. আ্যাালেন বলেন, জীবের টিকে থাকার ক্ষেত্রে এগুলোর প্রয়াজনীয়তার কারণ আমরা ব্যাখ্যা করতে পেরেছি।

এটার গুরুত্বও কম নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এর পেছনে রয়েছে একটা জটিল গাণিতিক প্রক্রিয়া। এইখানে লিংক আছে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।