I reclaim my life...
প্রায় ১৫/২০ বছর আগের কথা। তখন নতুন একটা হিন্দি গান বাইর হইসিলো, "হাওয়া হাওয়া, ও হাওয়া মুঝকো মিলাদে,.."। পোলাপান থিকা শুরু কইরা বুড়া সবার মুখে ঐ গান। গানটা এতো জনপ্রিয় হইলো যে, নতুন একটা মুভিই তৈরী হইয়া গেলো, "ডন-২"। কিন্তু আমার লাইফে অত বাজে হিন্দি মুভি আমি আর দেখি নাই।
কাহিনী, চিত্রায়ন সবই বমি করানোর জন্য উপযুক্ত।
Hunt to kill ২০১০ ছবিটা অতটা বাজে না হইলেও কাহিনীটা হইসে অনেকটা বাংলা গাঁজাখুরি ছবির মতই। স্টিভ অস্টিন এইখানে মূল আকর্ষন। কাহিনী শুরুটা হইসিলো ভালোই। একটা সফল ডাকাতি আর তারপর এক ডাকাতের (লওসন) সব বন্ড নিয়া পলায়ন।
পলায়নের আগেই তার কোটে আবার আরেক পন্ডিত ডাকাত (ব্যাংকস) বাগ প্লান্ট করে। এই পর্যন্ত ঠিকই আসিলো।
তারপরই শুরু হইলো ধাওয়া আর সব গাঁজাখুরি গল্পের শুরু! ভিলেন শালা কমার্শিয়াল/ চার্টার প্লেন থুইয়া পলাইলো বাই রোড, জংগলের মধ্য দিয়া!!! যাইবো কানাডা! স্টিভ বর্ডার পেট্রোল ফোর্সের সদস্য। স্টিভের মাইয়ারে কিডন্যাপ করলো চেজিং পার্টি। বাধ্য হইয়া স্টিভরে যাইতে হইলো ওগো লগে।
ও ভালো ট্রেকিং জানে কিনা তাই। শুরু হইলো সবার একত্রে মিল্লা ধাওয়া। ধাওয়া পার্টির হেড ব্যাংকস। স্টিভের মাইয়া আহামরি সুন্দর না হইলেও ওর লগে বিটলামি করতে গিয়া দলের দুইজন মরলো! মজার ব্যাপার, দুইটাই মরে ভিলেন গ্রুপরে দিয়াই!
ঐদিকে যে বেটা মাস্টারপ্লান কইরা সব বন্ড লইয়া পলাইলো (লওসন) ঐ বেটা দেহা গেলো জন্গলে আধামরা হইয়া পইড়া রইসে!! বেটা কেমনে যে এত বড় বেকুবে পরিনত হইলো, আল্লাহ মালুম! ওরে ট্রেকিং কইরা বাইর করলো আবার স্টিভ। এখন বেটা মরার আগেই ব্যাগ দিসে ফালাইয়া পাহাড়ের নীচে।
স্টিভ প্রস্তাব দিলো ও তুইলা আইনা দিবো মাগার ওর মাইয়ারে ছাইড়া দিতে হইবো। যেহানে জানা কথা যে, স্টিভ আর ওর মাইয়ারে ভিলেনদের জীবিত ছাড়ার কথা না!
যা হওয়ার তাই হইলো, ব্যাগ তুইলা আনার সাথে সাথে স্টিভরে ব্যাংকস গুলি কইরা ফুটা কইরা ফালায়া দিলো নদীতে। কিন্তু ও কি আর মরতে পারে! বাইচ্চা উইঠা শুরু করলো আবার ধাওয়া। এক ভিলেন গ্রুপ থিকা কিছুটা পিছায়া পড়সিলো। স্টিভ ওরে একলা পাইয়া শুরু করলো ফাইট।
আজব ব্যাপার হইলো কিছুটা দুরে হইয়াও বাকীরা এইটা টেরও পাইলো না! শেষ পর্যন্ত রইলো ব্যাংকস আর স্টিভের মাইয়া।
ব্যাংকস কানাডা বর্ডার পেট্রোলের তিন মেম্বাররে মাইরা একটা গাড়ী লইয়া পলাইলো। আর দুইটা গাড়ী রাইখা গেলো স্টীভ আর ওর মাইয়া যাতে ওরে ফলো করতে পারে সেজন্য!!! কি আজীব ব্যাপার!
শেষ পর্যন্ত স্টীভ ব্যাংকসরে ধইরা ওর ওয়ানওয়ে টিকিট কাইট্টা দিলো। আর মাইয়ারে নিয়া ফিরলো বাড়ী!
পুরা ছবিতে দুর্বল একটা কাহিনী থাকলেও কাহিনীতে স্মুথনেস কিংবা বিশ্বাসযোগ্যতা তেমন একটা ছিলো না। "স্টোন কোল্ড" স্টিভ অস্টিন প্রেমীরা ইচ্ছে হলে এখান থেকে ছবিটা ডাউনলোড করতে পারেন।
Hunt To Kill {2010}
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।