আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হোমিও ওষুধের নামে স্পিরিট বিক্রি!



ড্রাম থেকে পরিশোধিত (রেকটিফায়েড) স্পিরিট প্লাস্টিকের নলের সাহায্যে কাচের বোতলে ভরা হচ্ছে। এরপর বোতলের গায়ে সেঁটে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন হোমিওপ্যাথিক কোম্পানির মোড়ক। র‌্যাবের ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল রোববার পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে অভিযান চালাতে গিয়ে নকল কারখানাটির খোঁজ পেয়েছেন। সকাল ১০টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত মিটফোর্ড রোডের এস আহমেদ কেমিক্যাল মার্কেটের দোতলায় হিরুর মালিকানাধীন নকল ওষুধ তৈরির কারখানায় অভিযান চালান। সেখানে পাঁচজন শ্রমিক ওষুধ তৈরির কাজ করছেন।

তাঁদের একজন নলের সাহায্যে বোতলে ভরছেন রেকটিফায়েড স্পিরিট। বোতলের ছিপি আটকাচ্ছেন একজন। আরেকজন যন্ত্রের সাহায্যে ছিপিগুলো স্থাপন করছেন। আরেকজন বোতলের গায়ে বিভিন্ন হোমিওপ্যাথিক কোম্পানির মোড়ক লাগানোর কাজ করছেন। সব কাজ তদারক করছেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন।

র‌্যাব-১০-এর কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পের উপপরিচালক হারুন-উর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁদের একটি দল নকল ওষুধের কারখানার খোঁজ পান। পরে সাদা পোশাকে তাঁদের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন। পরে ওষুধ প্রশাসনে যোগাযোগ করে সেখানকার প্রতিনিধি নিয়ে তাঁরা অভিযান শুরু করেন। ড্রামগুলোর ভেতরে রেকটিফায়েড স্পিরিট রয়েছে। এগুলো ফেনসিডিলের বিকল্প নেশা হিসেবে ব্যবহূত হয়।

ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকিব বলেন, এগুলোর ভেতরে ইথানল কিংবা মিথানল রয়েছে। এগুলো সুস্থ কিংবা অসুস্থ যেকোনো ব্যক্তির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এগুলো মাদক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এগুলো দাহ্য পদার্থও। আগুনের সংস্পর্শে গেলে এর তীব্রতা বেড়ে যাবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী র‌্যাবের নির্বাহী এ এইচ এম আনোয়ার পাশা প্রথম আলোকে বলেন, কারখানা ও এর কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-এর গ ধারায় মামলা করার জন্য র‌্যাবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নকল ওষুধ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকায় আদালত ওই কারখানার ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন, কর্মচারী আলমগীর, নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও মাইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় সাত হাজার বোতল ও ১৮ ড্রাম রেকটিফায়েড স্পিরিট জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো র‌্যাব কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহায়তা করে র‌্যাব-১০-এর একটি দল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।