আমার এই লিখার মূলকেন্দ্র সম্মানিত হোমিও চিকিৎসকে বৃন্দকে নিয়ে। শত বছরের অধিককাল সময় ধরে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি চর্চ্চা চলছে। এত কোন সন্দেহ নাই, বাংলাদেশে যারা এই চিকিৎসার শুরু করেছিলেন তাদের উত্তর সুরি হয়ে আমরা আজ এই চিকিৎসার সাথে পরিচিতি লাভ করেছি।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বিজ্ঞানের অনেক উন্নতি হয়েছে। হোমিও চিকিৎসা নিয়ে সমস্ত পৃথিবী ব্যাপী ব্যাপক গবেষণা ধর্মী কাজ চলছে।
এমনকি বাংলাদেশে চমৎকার একটি বাংলা সফ্টওয়্যার তৈরী হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ হোমিও চিকিৎসার সাথে ব্যাপকভাবে জড়িত। তাদের অনেক আর্ন্তজাতিক মান সম্পন্ন গবেষণা মূলক লিখা প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে।
কিন্তু দেশের আপামর জনসাধারনের পাশে বসে যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তাদের চিকিৎসার ধরন দেখলে মনে হয় হোমিও চিকিৎসা পদ্বতি সম্পর্কে তাদের জ্ঞান এতই সীমিত যে সেই মেডিসিন প্রয়োগ,শক্তি,মাত্রা কত যে খিচুড়ীপনা তা কত বিধ্বংসী হতে পারে তা একবার ও কি ভেবে দেখছেন?
ভুল হোমেও চিকিৎসায় কত যে মানুষ আরো খারাপ অবস্থায় যেতে পারে তা মনিটর করার যোগ্য লোক কোথায়?
হোমিও প্যাথিতে উচ্চ শক্তি ব্যবহারে ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন দরকার। শুধু উচ্চ শক্তি কেন প্রতিটি মেডিসিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাপক সতর্কতা প্রয়োজন।
আর এই জন্য আমি গত কয়েক দিন থেকে হোমিও চিকিৎসক বৃন্দের কাছে আবেদন রাখতে চাচ্ছি তারা যেন রোগীর লক্ষণ সংগ্রহে,মিডিসিন, শক্তি,মাত্রা প্রয়োগে ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করেন। তাই প্রচুর পড়া দরকার।
চিকিৎসা কোন হেলা ফেলা বিষয় নয়। হোমিও চিকিৎসায় এক সাথে দুইটা/একের অধিক মেডিসিন প্রয়োগ করার সুযোগ নাই । প্রতিটি মেডিসিনের আলাদা আলাদা বৈশিষ্টি।
সকল চিকিৎসকের প্রতি সম্মান রেখি বলছি আমাদের রোগীর প্রতি সঠিক দৃষ্টি দেওয়া খুবই প্রয়োজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।