আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহিদ ভায়া। এক মহান (!) ক্রিকেটার।

আমি বিলাত থাকি, কামলা খাটি

বাংলাদেশ সিরিজ জয় করসে। খুব খুশী লাগতাসে। শহিদ ভায়া'রে মিস করতাসি। কারণ হে আছিলো এক মহান (!) ক্রিকেটার। বাংলাদেশ এই বিজয় আরো আগে পাইতে পারত যদি শহিদ ভায়ারে দলে লইত।

এমনকি বাংগালির বিশ্বকাপ মিস খাইসে শুধু শহিদ ভায়া'রে পাত্তা দেয় নাই বইল্যা। আরে বাপ, খেলোয়াড় হিসাবে না নিয়া কমসে কম তো অফিসিয়াল হিসাবে নিতে পারতো। বুজলিনা রে মনা! যাই হোক বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত জিতসে। এই খুশীর সময় শাহিদ ভায়া'র ক্রিকেট মাঠের কিসু মহান (!) কাহিনী বয়ান করতাসি। ১) আরেক পাড়ায় একটা ম্যাচ আছিলো।

ঐদিন আমাগো টিমের রেগুলার প্লেয়ার না আসায় শহিদ ভায়া চান্স পাইসে। মোটামুটি পুরা খেলা ভালা হইসে। কারন শহিদ ভায়ারে এমন জায়গায় দাড় করান হইসে যেই জায়গায় বল সহজে যায় না। নইলে শহিদ ভায়া বল ধরে না মাগুর মাছ ধরে বুঝা যায় না। বল নাকি তার দিকে গেলে সে নার্ভাস হইয়া যাইতো।

যাওগ্গা আমরা আগে ভালা বোলিং কইরা ওগোরে টাইট দিসি। মোটামুটি ব্যাট ধইরা খাড়াই থাকলে জিইত্যা যামু এমন অবস্হা। আমাগো ক্যাপটেন কইলো: ঠিক আছে শহিদ ভায়া তো চান্স পায়না। আইজকা সে আগে ব্যাট করুক। সবাই রাজি।

শহিদ ভায়া নামলো। ওরে আল্লাহ এক বলের মালিক। পরথম বলে বোল্ড। অ্যামপায়ার এক আংগুল দেখাই দিসে। কিন্তু শহিদ ভায়া ক্রিজ ছাড়েনা।

কি রে কি হইসে? শহিদ ভায়া কয়: আরে ঐটা তো নো বল। অ্যামপায়ার ভুল করসে। আমরা কইলাম শহিদ ভায়া চইল্যা আয়। কিন্তু সে শুরু করলো অ্যামপায়ারের লগে ঝগড়া। অন্য টিমের খেলোয়াড়গুলান তো চান্সে আছিলো।

তারাও জয়েন দিলো। আমরা বুঝলাম এইটা বড় হইয়া গেসে, এইবার পলান দরকার। শহিদ ভায়ারে রাইখ্খা আমরা সবাই পলাইলাম। পরে শুনসি তারে নাকি কান ধইরা খড়া করাই রাখা হইসিলো। আর পুরা শরীরে নাকি শুধু একটা হাফ প্যান্ট পড়া আছিলো।

২) একদিন শহিদ ভায়া যথারীতি পরথম বলে বোল্ড। অফ্ স্ট্যাম্পের বেলটা শুধু পড়সে। অমনি সে করসে কি বেলটা তুইল্যা কয়: আইজক্যা মনে হ্য় বাতাস বেশী। শুরু করলো কাইজ্যা। তখখন এক সিনিয়ার ভাই কয়, আরে ওরে আরেকবল খেলতে দিলে কি তোগো কোনো প্রবলেম আছে? বড় ভাই রে সম্মান কইরা দিলাম আরেক বল খেলতে।

এই বলেও ক্লিন বোল্ড, এক্কেরে মিডল স্ট্যাম্প। ৩) শহিদ ভায়া'র একটা বিশ্ব রেকর্ড আছে। ঐটা হইলো এক ওভারে বেশী রান দেয়ার রেকর্ড। রেকর্ড এক ওভারে ৩৯ রান দিসে। পরথম ৩টা বল নো।

এরমধ্য একটাতে বাই ফোর আছে। ০ বলে ৭ রান। জিন্দেগিতে কুনো বোলার দিতে পারসে? আমাগো শহিদ ভায়া পারে। ৪) পাড়ার ছেলেদের কাছে শহিদ ভায়া'র ক্রিকেট - বোলিং: পাত্থর মারা। ব্যাটিং: ডাংগুলি খেলা।

ফিল্ডিং: মাগুর মাছ ধরা। ৫) এক ম্যাচে শহিদ ভায়া ব্যাটিং করতে নামসে। যা হয় তাই হইসে শহিদ ভায়া বোল্ড। ক্রিজ থেইক্যা যাওয়ার সময় বোলাররে কয়: ভাগ্যক্রমে দারুন বোলিং করসো। আমার উইকেটটা পাইসো এর চাইতে বেশী কিছু কি আশা করতে পারতা? বোলার চেইত্যা কয়: আপনেরে যদি মাঠে না দেখতাম, ওইটাই হইতো বেশী আশা।

৬) একবার এক খেলায় শহিদ ভায়া মামুন হুজুরের ওভারে প্রায় ৪/৫ টা ক্যাচ মিস করসে। এইজন্য ম্যাচও গেসে। খেলা শেষে শহিদ ভায়া কয়: আমার তাড়াতাড়ি যাইতে হইবো। ঢাকা যামু ট্রেন ধইরতে হইবো। মামুন হুজুর চেইত্যা কয়: হালার হালা, আমার মনে ঐটাও তোর হাত ফসকায়া যাইবো।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।