শাফি হুজুর একটা ওয়াজে নারীদের কে তেতুলের সাথে তুলনা করে বক্তব্য দিলেন। তার সেই ওয়াজ শুনেছিল বড়জোর দুইশ থেকে তিনশ মানুস। আর বিলিভ মি সেই সব মানুশের বেশির ভাগই বাসায় যেতে যেতে ওয়াজে কি শুনেছিল সব ভুলে যাবে। কিন্তু সেই বক্তব্যের একটা ভিডিও আসলো ইউটিউবে। আর যায় কোথায়।
আমাদের সুশীল সমাজের ধর্ম নিয়ে খুব এলারজি না থাকলেও ইসলাম নিয়ে তাদের এলারজির অভাব নাই।
সুতরাং শুরু হল শাফি হুজুরকে নিয়ে পচানো। অনেকে বিশ্লেষণধর্মী কিছু পোস্ট দিয়ে শাফি হুজুরের সমালেচনা করলেও বেশির ভাগই মজা করে পচানো শুরু করলো। মানুষ জন মেমে বানানো শুরু করলো মহিল্লাদের ছবি দিয়ে ক্যাপশন “আমি দেখি এখানে মহিল্লা আর আমাদের শাফি হুজুর দেখেন তেঁতুল (তেতুলের ছবি দিয়ে)”। আরও নানাভাবে মেয়েদের কে তেতুলের সাথে তুলনা করা নিয়ে মজা তামাশার ছলে পচানো শুরু হল শাফি হুজুরকে।
কিন্তু এর ফল কি? মেয়েদের এখন আর কেও মেয়ে হিসাবে দেখেনা। সবাই এখন তেতুল হিসাবেই দেখে। আপনি প্রমান চান? ফ্যান্টাসি কিংডমের ওয়াটার ল্যান্ডে গিয়ে ঘুরে এসে মানুষ এখন স্ট্যাটাস দেয় “আজকে অনেক সুন্দর সুন্দর তেতুল দেখে আসলাম”, ভার্সিটিতে এসে স্ট্যাটাস দেয় “ভার্সিটিতে অনেক তেতুল”, কোথাও বেড়াতে গিয়ে ফেসবুকে এখন স্ট্যাটাস দেয় “অনুষ্ঠানে অনেক তেতুল দেখে আসলাম। অনেক সুন্দর সুন্দর তেতুল”, অথবা “আজকে একজায়গায় গিয়ে দেখি অনেক তেতুল, পুরা অনুষ্ঠানে এত তেতুল দেখে আর কিছু করতে পারলাম না”কয়দিন পর হয়তো বা দেখা যাবে বাংলা ব্যাকারনে মেয়ে শব্দের প্রতিশব্দ হিসাবে তেতুল যোগ করা হবে।
এইগুলা কি একটাও নারী জাতির জন্য সম্মানজনক হয়েছে?
হুমায়ুন আজাদ গর্ভবতী নারীকে পশুর সাথে তুলনা করেছেন? এখন কেও কারো বাসায় ঘুরতে গিয়ে দেখে কেও গর্ভবতী সেটা নিয়ে স্ট্যাটাস দেয় “আজকে একটা নারী দেখলাম পশু হয়ে গেছে” বা কেও যদি এরকম স্ট্যাটাস দেয় “আমার এক আত্মীয় পশু হয়েছে, তাও আবার জমজ” তাহলে কেমন হবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।