আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাল-মন্দ মিলিয়ে ১০/১০/১০



সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হবে ভেবে সময়মত শুয়ে পড়লাম । রাত ১২টার পর লাইট জ্বালিয়ে রেখে এক রুম মেট ঝগরার সৃষ্টি করল । তার অসদাচরণে মেজাজটা এতটাই খারাপ হল যা বলার অপেক্ষা রাখে না ! সারা রাত রাগে দুঃখে ঘুমাইনি । একটা চরিত্রহীন মেয়ের গলার জোড় শুনে সবাই পূনরায় ভীষণ হতাশ । ... ভোর রাতে কোন মতে একটু ঘুমিয়ে আবার খুব সকালে ঘুম ভাঙ্গল ।

মেজাজটা আবার খারাপ হল । কিছুতই আর চোখের পাতা এক করতে পারলাম না । চুপচাপ কিছুকক্ষণ শুয়ে রইলাম । সকাল সাতটার দিকে বিছানা থেকে উঠে চুলায় ভাত বসিয়ে দিয়ে ( আমি পরিক্ষার সময় ভাত খেয়ে যাই যাতে পরিক্ষার মাঝখানে ক্ষুধায় পেট চো চো না করে ) ফ্রেশ হলাম । ৮:৩০ এ তৈরি হয়ে নিলাম পরিক্ষা কেন্দ্রে যাবার জন্য ।

... যথারীতি পরিক্ষা দিচ্ছি । প্রশ্ন বেশ কঠিন এক একজন বলছে পরিক্ষাই দেব না । উহঃ না না জনের না না কথা শুনতে শুনতে কান already অটিষ্ট । প্রশ্নটা সত্যিই খুব কঠিন হয়েছে । কিছু করার নেই পরিক্ষাতো দিতেই হবে ।

অবশেষে শুরু করলাম লেখা । কিন্তু বারবার রাতের ঘটনা মনে পড়ছিল আর রাগে গা জ্বালা করছিল লিখতে গিয়ে অনুভব করলাম বেশ ভাল লিখতে পারছি । সামনে পেছনে এক একজন বেশ দেখাদেখি করে লিখছিল । সত্যিই বিরক্তিকর একজন আর একজনের খাতায় লিখে দেয় :O কি দুঃসাহস ! মাঝে মাঝে কারো কারো মুঠোফোন বেজে উঠে এরা সত্যিই পারেও বটে । মূল খাতায় লিখে শেষ করলাম ।

অতিরিক্ত খাতা দরকার । পেছন থেকে কাগজ চাইব তাই জোড়েই বললাম- স্যার কাগজ লাগবে...। ওরে আল্লহ আমি না জানি কি করে ফেললাম । ঘর ভর্তি ছেলে-মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে অজস্র বাণী ছুড়তে লাগল । বাব্বাঃ এত কি লিখ তুমি ।

লিখতে লিখতে তো ফাটায়া দিলা... আমাদের এখনো যে পরিমাণ কাগজ আছে তা দিয়া ২ দিন লেখা যবো..... ইত্যাদি ইত্যাদি কত কথা । আমি অগত্যা সবার মুখ পানে এক নজর তাকিয়ে বলার মত কিছু খুঁজে না পেয়ে বললাম- আমার এখনো সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন লেখা বাদ আছে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।