আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাহাড়িরা কি এভাবে উচ্ছেদ হতেই থাকবে?

সমাজের প্রয়োজনকে ঘিরে যার জীবন আবর্তিত সেই তো প্রকৃত মানুষ
বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২৯৬ নম্বর নাইক্ষ্যং মৌজার ম্রো সম্প্রদায়ের লোকজন এখন ভালো নেই। বংশ পরম্পরায় যে-ভূমিতে তাদের চাষ-বাস সেখান থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। বর্তমান শাসক দলের স্থানীয় কতিপয় নেতা-কর্মী (উল্লেখ্য, তারা সবাই বাঙালি) ম্রোদের ভোগদখলে থাকা জমি জবরদখল করে নিচ্ছে বলে গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ম্রো সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে চুমপং হেডম্যান তাঁর লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২৯৬ নম্বর নাইক্ষ্যং মৌজার ৯০ শতাংশ ভূমি সরকারি তৌজিতে খাস। ইউনিয়ন সদর থেকে অনেক দূরে গহিন পাহাড়ে ম্রো পল্লি।

ম্রো সম্প্রদায়ের ২১৯ পরিবার প্রায় ১ হাজার ১০০ একর পাহাড়ি জমিতে বংশ পরম্পরায় জুম চাষসহ বিভিন্ন ফলজ-বনজ বাগান সৃজন করে ভোগ দখল করে আসছে। ম্রোরা শিক্ষায় পিছিয়ে, তাই ভূমির কাগজপত্র তৈরির নিয়ম-কানুন তাদের জানা নেই। চুমপং হেডম্যান লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করেন, জবর জবরদখলকারীরা ইতিমধ্যে ৪৫ ম্রো পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে। অবশিষ্ট ১৭৪ পরিবারও উচ্ছেদ হওয়ার পথে। ভূমিদস্যুরা ম্রো সম্প্রদায়ের ভোগদখলে থাকা ভূমি রাতারাতি জবরদখল করে সেখানে বাড়িঘর তৈরি পূর্বক বাগান দখল করছে।

জবরদখলে বাধা দেওয়ায় ম্রোদের গৃহপালিত গরু-ছাগল দা দিয়ে এলোপাতাড়ি জখম করে জুম চাষসহ বাগান সৃজনের কাজে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। ভূমিদস্যুদের জবরদখলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর দফ্তরেও অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ম্রোরা জানান।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।