আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইমাম মেহেদীর অপেক্ষায়.........মুলঃ হারুন ইয়াহিয়া (পর্বঃ৪)

। । ..জানে না তো কেউ পৃথিবী উঠছে কেঁপে,ধরেছে মিথ্যা সত্যের টুঁটি চেপে.। । পূর্ববর্তী পর্বসমূহ ধর্মীয় আলামতসমূহ 1. আল্লাহ্ কে প্রকাশ্যে অস্বীকার করা।

2. মসজিদের ধ্বংসসাধন। 3. মুসলিমদের উপর ক্রমবর্ধমান অত্যাচার। 4. ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ বিষয়গুলোর জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া। 5. পবিত্র কাবা শরীফে রক্তপাত। 6. ব্যক্তি স্বার্থে ধর্মের ব্যবহার।

7. ভণ্ড নবীদের উদ্ভব। ইমাম মেহেদীর অপেক্ষায়ঃপবিত্র কাবা শরীফে রক্তপাত যে বছর ইমাম মেহেদী আবির্ভূত হবেন, লোকজন সবাই মিলে হজ্জ করবে এবং ইমাম(নেতা) বিহীন ভাবে একত্রিত হবে। হাজীরা লুটতরাজের শিকার হবেন এবং মিনাতে সংঘর্ষ সংগঠিত হবে যেখানে অনেকে মৃত্যুবরণ করবেন এবং জামর-আল-আকাবা পর্যন্ত রক্তস্নাত হবে। [জামরঃ একটি মিনার যাতে শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। ] (আমর ইবন শু’ইয়াব, আল হাকিম এবং নুয়া’ইয়ম ইবন হাম্মাদ কতৃক বর্ণিত, রাসুল বারযানজি, আল – ইশাআহ লি আসরাত আস সা’আহ, পৃঃ ১৬৯) মানুষ ইমাম ছাড়া হজ্জ যাত্রা করবে।

যখন তারা মিনাতে আসবে তখন বড় যুদ্ধ সংঘটিত হবে এবং কুকুর বেঁধে রাখার মত করে তাদেরকে বেঁধে রাখা হবে এবং এক গোত্র আরেক গোত্রের উপর আক্রমণ করবে। দ্বন্দ্ব এতটাই প্রকট হবে যে পা রক্তের নদীর মধ্যে গেঁথে যাবে। (আল-মুত্তাকী আল হিন্দি, আল বুরহান ফি আলামাত আল মেহদী আখির আল জামানা, পৃঃ৩৫) প্রথম বর্ণনাতে উল্লেখিত “যে বছর ইমাম মেহদী আবির্ভূত হবেন” কথাটি একটি ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত প্রদান করে যা ইমাম মেহদীর আবির্ভাবের বছর সংঘটিত হবে। ২০শে নভেম্বর ১৯৭৯ সাল যেটি ঘটনাক্রমে ১৪০০ হিজরির হজ্জ মৌসুমের প্রথম দিন, সেদিন হাদিসের বর্ণনা মত একটি রক্তাত্ত ধ্বংসযজ্ঞ সূচিত হয় কাবা শরীফের ভেতর। মিলিশিয়া এবং সৌদি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ জনের মত মানুষের প্রানহানী হয় এবং হাদিসের বর্ণনা মত রক্তের নদী প্রবাহিত হয়।

এই আক্রমনের ৭ বছর পরে আরও রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটে কাবা শরীফের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। ১৪০৭ হিজরি সনে প্রায় ৪০২ জনের মত মানুষের প্রানহানী ঘটে। যা হাদিসের বর্ণনার সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। কাবা শরীফে রক্তপাত ১ কাবা শরীফে রক্তপাত ২ কাবা শরীফে রক্তপাত ৩ ইমাম মেহেদীর অপেক্ষায়ঃব্যক্তি স্বার্থে ধর্মের ব্যবহার। যখন জ্ঞানী ব্যক্তিরা তাদের জ্ঞান ধনসম্পদের সাথে বিনিময় করবে......... যখন তারা ধর্মকে পার্থিব লাভের জন্য বিক্রয় করবে ............ যখন তারা আইন কানুন বিক্রয় করে............ তখন শেষ দিবস আসন্ন হবে (আশ-শারানি, মুখতাসার তাযকিরাহ আল কুরতুবি পৃঃ ৪৮০) শেষ সময়ে এমন ব্যক্তিদের উদ্ভব ঘটবে যারা পার্থিব মুনাফার জন্য ধর্মকে পণ্য বানাবে।

(তিরমিযি, যুধ,পৃঃ৬০) এর উদাহরণের জন্য আমাদের খুব বেশি দূর যেতে হবে না। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে এই শ্রেণীর মানুষের কোন কমতি নেই যারা সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় আবেগকে পূঁজি করে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। ইমাম মেহেদীর অপেক্ষায়ঃভণ্ড নবীদের উদ্ভব ইমাম মেহেদীর আত্মপ্রকাশের পূর্বে নবী দাবীকারী ভণ্ডদের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু পবিত্র কোরআনের সুরা আযহাবের ৪০ নম্বর আয়াতে হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) শেষ নবী এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে। শেষ দিবস ততক্ষণ আসবেনা যতক্ষণ না পর্যন্ত ত্রিশজনের মত মিথ্যুকের আবির্ভাব হবে যারা সকলেই নিজেদেরকে আল্লাহ্‌র বার্তাবাহক হিসাবে দাবী করবে (মুসলিম, কিতাবুল ফিতনা পৃঃ ৪৩; সুনান আবু দাউদ) নিচের লিংকে এর উদাহরণ আছে।

এছাড়া আমাদের উপমহাদেশে একজন বিখ্যাত নবী দাবীকারী ব্যক্তি আমাদের সবার পরিচিত গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী। ভণ্ড নবী ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৪২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.