অস্ট্রেলিয়ার আসন্ন নির্বাচনে স্পর্শকাতর আশ্রয়প্রার্থী ইস্যুতে গতকাল শনিবার আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছেন দেশটির
প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে তাঁর এ অবস্থানকে সম্প্রতি ঘোষিত কঠোর ও বিতর্কিত
শরণার্থী নীতির ওপর একটি ধাক্কা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে কেভিন রাডের তথাকথিত ‘পাপুয়া নিউগিনি সমাধানে’ নৌকায় করে অস্ট্রেলিয়ায় আসা লোকজনকে প্রশান্ত
মহাসাগরীয় দরিদ্র এই দেশটিতে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তারা সত্যিকারের উদ্বাস্তু হলেও তা করা হবে।
তবে গতকাল শনিবার পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী পিটার ও’নীল ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগে এ রকম ইঙ্গিত দেওয়া হলেও ওই
চুক্তি একচেটিয়া নয়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ফেয়ারফ্যাক্সের সংবাদপত্রগুলোকে ও’নীল বলেন, ‘সব প্রকৃত শরণার্থীকেই পাপুয়া
নিউগিনিতে পুনর্বাসন করা হবে—এ রকম কোনো চুক্তি হয়নি। শরণার্থীদের যেভাবে সহায়তা করতে সমর্থ হব বলে আমরা মনে
করব, সেভাবেই পদক্ষেপ নেব। ’
পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে কেভিন রাডের পরিকল্পনায় অনিশ্চয়তার ছায়া পড়েছে।
রাড বলেছেন, তিনি শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী ও’নীলের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাপুয়া নিউগিনির এই নেতা তাঁকে ওই চুক্তির বিষয়ে
‘পূর্ণ এক শ ভাগ’ সমর্থন দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
চুক্তিটির ভাষা ব্যাপক অর্থবোধক এবং অস্ট্রেলিয়াগামী সব শরণার্থীকে পাপুয়া নিউগিনিতেই পুনর্বাসন করা হবে—এমন কোনো কথা
এতে নেই।
অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে বলা হয়েছে, উদ্বাস্তু হিসেবে গণ্য হওয়া ব্যক্তিদের পাপুয়া নিউগিনি এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয়
বিভিন্ন দ্বীপদেশসহ চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী এই অঞ্চলের অন্য রাষ্ট্রগুলোতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ’
আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে রক্ষণশীল নেতা টনি অ্যাবটও কঠোর নীতি ঘোষণা করেছেন। এএফপি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।