কিছুই বলার নেই
কল্পনাও করিনি ধ্বংসস্তূপ থেকে বের হতে পারব: রেশমা
ধ্বংসস্তূপের নিচে দীর্ঘ ১৭ দিন আটকে থাকার পর জীবনে ফেরা রেশমা বেগম বলেছেন, “আমি কখনো কল্পনাও করিনি বেরোতে পারব। সব সময় আল্লাহরে ডাকছি। ”
সোমবার বিকেলে সাভার সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিজের বেঁচে থাকার কথা জানাতে প্রথম বারের মতো সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হন তিনি। নিজের মুখে তার সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার অলৌকিক কাহিনী বর্ণনা করেন।
নিজে থেকে দুঃসহ ১৭ দিনের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি।
এসময় তার পাশে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রেশমা বলেন, “বিল্ডিং ভেঙে পড়ার সময় আমি মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পাই। এরপর আমার কিছুই মনে নেই। জ্ঞান ফেরার পর আমি হামাগুড়ি দিয়ে স্থান বদল করতাম। আমার জামা-কাপড় সব ছিঁড়ে গিয়েছিল।
”
রেশমা বলেন, “উদ্ধারের দিন আমি একটু আলো দেখতে পাই। সেই আলো দেখে চিৎকার করি, আমি বাঁচতে চাই, আমাকে বাঁচান। উদ্ধারকারীরা আমাকে একটি টর্চ দেন। সেটা দিয়ে আমি একটি জামা বের করি। সেটা পরে নেই।
সেখানে মার্কেট ছিল। ”
‘সবই আল্লাহর ইচ্ছা’
১৭ দিন যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার জন্য রেশমা কৃতজ্ঞতা জানালেন মহান সৃষ্টিকর্তার ওপর। তিনি বলেন, সবই আল্লাহর ইচ্ছা। তা না হলে বেঁচে থাকতে পারতাম না।
তিনি বলেন, “১৭ দিন শুধু পানি খেয়েই বেঁচে ছিলাম।
অন্য কোনো খাবার পাইনি। তবে কয়েকটি বিস্কুট খেয়েছি। ”
ভবন ধসের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এই সাহসী নারী বলেন, “আমি প্রথমে মাথায় আঘাত পাই। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে কিছু মনে নেই। ”
পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরে আসলে আশেপাশে বেঁচে থাকা অনেকেই তার কাছে একটু পানির জন্য আকুতি করেছেন।
তবে সেও ছিল অসহায়। পানি না পেয়ে তার আশেপাশে অনেকই মরতে দেখেছেন রেশমা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।