আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুচকিশদের জন্য ফিজিক্স, না বুঝলে হাত তুলো মাগার আঙ্গুল মুখে দিবার পারবা না!পড়নের বয়সসীমা ৫ হইতে ১৪ বছর!৩য় পর্ব!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

পয়লা পর্ব দ্বি্তীয় পর্ব হঠাৎ একজন আমারে হাইসা কইলো,"আইনস্টাইন যেইটা কইছে সেইটা অনেক আগেই একজন কইয়া গেছে, আইনস্টাইন আইসা তাতে জিওম্যাট্রি ঢুকাইছে!" আমি কইলাম,"মামা, আপনে কি ডপলারের কথা কন নি?" এইটা নিয়া তার বিশাল বক্তৃতা শুনতে হইলো, আমার কান পইচা গেলো, তার মুখে থেবড়ি উইঠা গেলো কিন্তু উনি উনার বক্তৃতা শেষ করলো না। আমিও বাইচা গেলাম, ভাবলাম জীবনে এই ব্যাটা যেই রাস্তা দিয়া আমি সেই রাস্তা দূরে থাক ঐ শহর দিয়া হাটুম না। আল্লা রহম করো! স্হান এবং কালের সংজ্ঞায়িতকরন স্ট্রিং থিওরীর বেশ কয়েকটা ভার্সনে দেখা যায় যে অতিরিক্ত মাত্রাগুলান এমুন ভাবেই ঢুকানো আছে যে এই গুলান খুবই পুচকা হওনের কারনে ডিটেক্ট করন যায়। যেহেতু স্টিরং থিওরী কোয়ান্টাম লেভেলে কাজ করে সেহেতু এই স্হান কালের মাত্রাটা একটু বেশী ধাধার সৃষ্টি করে কারন আমরা অখনো আইনস্টাইনের দেখানো রিলেটিভিটিতেই পইড়া আছি।

আইনস্টাইনের রিলেটিভিটিতে দেখা দৈর্ঘ্য প্রস্হ উচ্চতার সাথে আরেকখান মাত্রা সেইটা কালের মা্ত্রা। কোয়ান্টাম লেভেলের স্টিং থিওরীতে দেখা যায় খুবই নিম্ন মানের এনার্জীতে স্হানীক মাত্রা নিয়া খুব বেশি সমস্যা দেখা না দিলেও এই টাইম থাকা না থাকাটাও এর ফলাফলরে খুব বেশী প্রভাবিত করে না। এখন প্রশ্ন হইলো আইনস্টাইনের রিলেটিভিটিতে এই তিনখান স্হানিক মাত্রা আর একখান সময়ের মাত্রা যতটা প্রভাব ফেলছে স্ট্রিং থিওরী এই মৌলিক লেভেলে সেই পরিমান প্রভাব ফেলবে কি না যদিও এই পুরা ইুনিভার্সের তুলনায় কোয়ান্টাম লেভেলে এর প্রতিক্রিয়া আসলেই ধান্ধা বাজীটাইপ মনে হয়! তবে এর কোনো সঠিক ব্যাখ্যাও জানা যায় নাই এখনও! লুপকোয়ান্টাম গ্রাভিটি দিয়া যদিও অনেকে ব্যাখ্যা দেওনের প্রচেষ্টা করেন, তবে সেইটা নিয়াও সন্দেহবাদীদের ভ্রূকুচকানী দেখার মতো! কোয়ান্টাম গ্রাভিটি নিয়া একটু বিশদ আলোচনা: উপরে আলোচনা থিকা মনে হয় ধারনা পাওয়া গেছে একই বাক্সে আইনস্টাইনের জেনারেল রিলেটিভিটি থিওরী আর কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে আটানো বড়ই মুশকিল। তবে এই মুশকিল কাজটা করতাছে হইলো কোয়ান্টাম গ্রাভিটি থিওরী। পরথমে আসেন জাননের চেস্টা করি গ্রাভিটি কি? বাংলা ছবির নায়ক নায়িক দেখছো নি? একজন দুই হাত দুইদিকে করলে ভুটকি নায়িকা কই থিকা জমিন কাপাইয়া দৌড়াইয়া আইসা নায়কের বুকে জাপটাইয়া ধরে? আইসো বলি আস্তাগফিরুল্লাহ।

এই যে টান, কোনো কিছুর প্রতি একখান অদৃশ্য টান, ধইরা বান, যেইটা দুইটা বস্তুরে কচলাকচলিতে বাইন্ধা রাখে যতদূরে থাকুক না কেন, সেইটাই হইলো গ্রাভিটি। অখন বাচ্চে লোক, এ্যাডাল্ট দেখবা না! তো এই গ্রাভিটি সবার আগে আবিষ্কার করে নিউটন মামা একদিন আপেল গাছে বইসা আপলে খাওনের ধান্ধা করতে গিয়া। তার সূত্রানুসারে দুইখান বস্তুর মধ্যে আকর্ষন বল হইলো উহাগো ভরের গুনফলরে তাগো মধ্যকার দূরত্বের বর্গের ভাগ দিয়া দেয়া। তাইলে দেখা যাইতাছে যখন বস্তু দুইটা নিজেগো থিকা দূরে সরতে থাকে তখন গ্রাভিটি কমতে থাকে আবার যখন কাছে আইতে থাকে তখন উহা অনেক শক্তিশালী হইয়া যায়। এইটা অবশ্য আমাগো দেখা পৃথিবীতে খুব বেশী দেখা না গেলেই পার্টক্যাল লেভেলে ইহা খুবই শক্তিশালী।

ঐ যে কথায় আছে না, আউট অফ সাইট আউট অফ মাইন্ড, জামাই দূরে গেছে তো বৌ ভাগছে টাইপ কিছু! অখন যারা আবার পাকনা পুলাপান তারা আবার কিছু প্রশ্ন আমারে প্রায়শই জিগায় দুইখান ডিব্বা অথবা একখান চালের বস্তা আরেকখান তুলার বস্তা যদি ছাদের থিকা ফেলাই তাইলে তো দুইটা একসাথে পড়নের কথা না। কারন দুনিয়ার ভর ঠিক আছে মাগার বস্তু দুইটার ওজন সমান না। তাইলে গ্রাভিটি এক লগে টাননের কথা না, তাইলে গ্যালিলিও মামা ধান্ধা বাজ? পরথমেই একখান চটকানা দিয়া কই ছাদের থিকা বস্তা ফেলাবি কেন ? কারো মাথায় পড়লে তো রাম নাম সত্য হইয়া যাইবো। পরের কথা হইলো এইখানে আসল ব্যাপারটা হইলো ঐ গ্রাভিটি যেইটার ব্যাখ্যা নিউটন দিয়া গেছে। আসলে যখনই দুইটা অসম ভরেটর বস্তু বিল্ডিং এর ছাদের থিকা ফেলাইবা (বাতাসের বাধা আমি ধরলাম না) তাইলে তাগো ত্বরন হইবো সমান : ৯.৮মিটার/ সেকেন্ড যদিও তাগো দুইটার উপরই ভিন্ন ভিন্ন বল ক্রিয়া করবো কিন্তু তাতে ত্বরনের কুনো সমস্যা নাই! বুঝছো মামু? তয় এইখানে নিউটন মামা একটু টেনশনে আছিলো এই কারনে যে উনি নিজেও ঠাহর করতে পারতাছিলো না এই গ্রাভিটি মামা আইলো কই থিকা? আইনস্টাইন মামার গ্রাভিটি: ভিতরে ঢুকছে জিওম্যাট্রি! আইনস্টাইনের গুরু হাইম্যান মিকোস্কি যখন বুঝানো শুরুর করলো আসলে সবকিছুর ব্যাখ্যা ঐ স্হান-কাল মাত্রা দিয়া ই হওন উচিত তখনই আইনস্টাইন ভাবলো আসলে বস্তুর ভরই সেই বস্তু যখন তার পাশ দিয়া থাকা এই স্হান-কাল একটু বাকা হইয়া যায়।

এইখানে গ্রাভিটিরে একখান বল হিসাবে না ধইরা ধরা হইছে স্হান কাল জিওম্যাট্রির বৈশিষ্ট্য হিসাবে। কি টাস্কি খাইলেন? টাস্কি টা একটু পরে খান কারন টাস্কির অখনও অনেক কিছু বাকি আছে! বস্তুর ব্যাখ্যা: বাহ্যিক এবং শক্তিতে ভরপুর- খাও ডানো! আসলে আইনস্টাইন মামারে একখান ধন্যবাদ জানানোর দরকার কারন উনি আমাগো শিখাইছেন যতকিছু দেখি সবগুলাই এনার্জী দিয়া তৈরী এমনকি ভরও। এইটা এখন আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের দিলে গাইথা গেছে, আমাগো ব হুপ্রাচীন ধ্যান ধারনা হইতে মুক্ত হইতে পারছি বইলা আসলে আমরা অনেকদূর হয়তো আগাইতে পারছি। আর যেহেতু বস্তু যা অনুপারমানু দিয়ে তৈরী তাদের মধ্যকারের এই ইন্টারেকশনই হইলো গ্রাভিটি সেইটার উপরই কোয়ান্টাম গ্রাভিটি খাড়াই আছে! পুরানো ধারনার ম্যাটার: জিনিসে ভরা চীজ! আগেকার দিনের দার্শনিকরা খালি ভাবতো আসলে এই সকল কিছু কিসের দ্বারা তৈরী সেইখান থিকাই হয়তো বিজ্ঙানের মূল ভিত্তি হইয়া দাড়াইয়া আছে এইযে আমরা যাবতীয় ম্যাটার বা বস্তু দেখি এগুলো আসলে ছোট ছোট পার্টিক্যাল বা কনার সমস্টি। পুরোনো গ্রীকদের ধারনা ছিলো যেখানেই কোনো বস্তু থাকিবে উহাই এই কনা বা এটমের সমস্টি।

কালের পরিবর্তে পদার্থবিজ্ঞানে থার্মোডিনামিক্স জায়গা করে নিলো, যদিও তার আগেই মানুষ বুঝতে শিখলো এসব বস্তু ভাংতে থাকলে পাওয়া যাবে নিউক্লিয়াসের চারপাশে ঘোরা ইলেক্ট্রন, তখন তারা এটাও বুঝতে শিখলো এই তাপ ব্যাপারটাও এটমের ব্যাপার। আস্তে আস্তে বসিহাল বিশাল যান্ত্রিক বিপ্লব ঘটলো, মানুষ সিদ্ধহস্ত হলো এসব তত্বের প্রায়োগিক জ্ঞানের আর তখনই মনে এক অদ্ভুত জোর পাওয়া গেলো এতদিনের ধ্যান ধারনা আসলেই সত্য ছিলো। আর এভাবেই ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সে ম্যাটারের ধারনা বেড়ে উঠলো! চলবে... আর আইজকার রেফারেন্স তেমন কিছু নাই, জানা জিনিস আবার ফাও প্যাচালের লিগা লেখছি, ডিটেলস জানতে চাইলে উইকি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.