নব্বই দশকে বলকান অন্চলে যে যুদ্ধ লাগে তারমূলে কি ছিলো?বাংলাদেশে যেমন মুসলিম, হিন্দু, ক্রিশ্চীয়ান বৈাদ্বরা বাস করে। ঐ এলাকায় ক্রোট, বসনিয়ান মুসলিম ও সার্বরা সুখে শান্তিতেই বসবাস করতেছিল। হঠাৎ করেই যুদ্ধ শুরু হয়। চলে এথনিক ক্লীংসিন, মুসলিম নিধন। শাহবাগী ও হেফাজতে ইসলামের সাপোর্টারাদের জন্যই আজকের পোস্ট।
তখনকার সময়ের যুদ্ধকার অবস্থা,মুসলিমদের উপর অত্যাচার,তাদের প্রতিরোধ,প্রেম ভালোবাসা,সামাজিক অবস্থা, ঐ অন্চলের ইসলামিক কাল্চার ফুটে উঠেছে মুভিগুলোতে। বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শাহবাগী ও হেফাজত দু দলের সাপোর্টারদের মুভিগুলো চিন্তার খোরাক জোগাবে। আর মুভিগুলোর ম্যাকিং, সাউন্ড, ক্যামারার কাজ এক কথায় অসাধারন যা গ্লুড ইউ উইথ ইউর পিসি(glued you with your PC)
১। এ্যাজ ইফ আম নট দেয়ার(As If I'm not there): এটা ক্রোয়েশিয়ান এক লেখকের লেখা বইয়ের গল্পের ভিত্তিতে তৈরী। মুভি শুরু হয় এক নবজাতকের জন্মের সিন দিয়ে।
সামিরা নামের এক মুসলিম মেয়ে টিচার হিসেবে যায় দূর্গম এক গ্রামে। স্কুলে পরিচয় পর্বের পরের দিন সার্বসৈন্যরা এসে ঐ গ্রামের সব নারীদের তুলে নিয়ে যায়। সামিরার নতুন জীবনের শুরু হয়। মুভিতে চরম চরম কিছু 'ডিস্টারবিং' সিন আছে, । সামিরার জীবনের পরিনতি কি হলো তা দেখতে সোজা লিন্কে চলে যান।
Click This Link
Click This Link
২। স্নো ( Snow ): পুরুষ শুণ্য গ্রামে শুধু মহিলা আর বাচ্চাদের বসবাস। যুদ্ধের পরবর্তী সময়কার কাহিনী চিত্র। গ্রামের সব যুবক পুরুষ যুদ্ধে চলে গেছে, তাদের পরিবার জানে না তাদের প্রিয় মানুষদের ভাগ্যে কি ঘটেছে। দাদা ও নাতী নামাজ আদায় করে অন্যান্য মেয়েদের নিয়ে।
এক সময় সার্বেরা এসে তাদের জায়গাটুকু দখল করে নিতে চায়। কাহিনী এগোতে থাকে। এই মুভিতে একটা ক্যামারা শুট আছে যেখানে দেখায় কেন্দ্রীয় চরিত্রের অজু করার সিন। উফ মাইরালা আমারে মাইরালা। মুভিটা একটু স্লো, আর ইংরেজী সাব পাবেন কিনা সন্দেহ আছে।
যাই হউক ইউ টিউবের লিন্ক দিলাম।
http://www.youtube.com/watch?v=PEkAnFcpWs
৩। দা হান্টিং পার্টি ( The Hunting Party ): এই ক্যাটাগরিতে আমার দেখা সেরা ছবি। সাথে চরম একটা সাইন্ড ট্র্যাক আছে। যাই হউক এটা সত্যিকার ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরী।
রিচার্ড গিয়ার অভিনয় করেছে এটাতে। ফক্স নামের এক কুখ্যাত সার্ব মুসলিমদের নৃশংসভাবে হত্যা করার দায়ে মোস্ট অয়ান্টেড হয়। সি আই এ জানে ও কোথায় পালিয়ে আছে কিন্তু এ্যারেস্ট করে না। ঘটনা কাভার করতে যাওয়া এক সাংবাদিক তার ক্যামেরাম্যানকে নিয়ে চলে সে ফক্সকে ধরার জন্য, যার সাথে রেয়েছে তার ব্যাক্তিগত দেনা পাওনা। চরম উত্তেজনাপূর্ণমুভি
৪।
সার্কাস কলাম্বিয়া( Cirkus Columbia): এটা ভিন্ন ধরনের মুভি। অনেকটা লুল টাইপের বলা যায়। প্লট যুদ্ধের শুরুর দিকের। অনেক কাল নির্বাসিত থকার পরে দেশে ফিরে বান্টিক, সাথে পকেট ভর্তি টাকা আর সুন্দরী গার্লফ্রেন্ড। কালো বিড়াল তার পছন্দের,তাই পুষেন তিনি একটা।
যাই হউক তার ছেলে একসময় তার গার্লফ্রেন্ডের প্রেমে পড়ে যায়। কাহিনীর এক সময় যুদ্ধ লাগে, বান্টিক কি করবে এখন গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে পালাবে না দেশেই থাকবে?দারুন একটা লুল সিন আছে
Click This Link
http://www.novamov.com/video/55022beb032ab
৫। ইন দা ল্যান্ড অফ ব্লাড এ্যান্ড হানি ( In the Land of Blood and Honey) : আরেকটা চরম মুভি। বলা যায় শাহবাগি ও হেফাজতির প্রেমের কাহিনী। যুদ্ধের আগে এক সার্বের সাথে মুসলিম এক মেয়ের পরিচয় থাকে।
যুদ্ধ লেগে গেলে ঐ মেয়ে যে ক্যাম্পে বন্ধী থাকে তার প্রধান থাকে তার পূর্বপরিচিত সার্ব ঐ একই লোক। কি হয় তাদের সম্পর্কের পরিনতি?একজন আরেকজনকে কিভাবে দেখে?মুভিটা দেখে দারুন লেগেছিল,মুভিটি মুক্তি পায় যখন তখন ডির্যাক্টরের নাম ছিল ভিন্ন, । এখন শুনছি এর ডির্যাক্টর নাকি এ্যান্জেলিনা জলি আফায়। মুভিটা নিয়ে কন্ট্রোভার্সীও হচ্ছে,একদল বলছে এটা রেইপ, বন্দী রেখে রেইপ করলে সেটা প্রেম হয় না। ধুর।
জলি আফারে শাবাগি শাবাগি মনে অয়;-) দেখলেই বুঝবেন।
Click This Link
বাই দা ওয়ে; ২১ বয়েসের এর নীচে শাবাগি ও হেফাজতীরা মুভিগুলো দেখবেন না।
ইনজয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।