This is not rape out of control. It is rape under control. It is also rape unto death, rape as massacre, rape to kill and to make the victims wish they were dead. It is rape as an instrument of forced exile, rape to make you leave your home and never want to go back. It is rape to be seen and heard and watched and told to others: rape as spectacle. It is rape to drive a wedge through a community, to shatter a society, to destroy a people. It is rape as genocide
অনেক দিন আগে ভেবেছিলাম এই বাক্যগুলোর অনুবাদ করবো। তবে এমন মর্মান্তিকতার কোনো অনুবাদ হয় না আসলে, যুদ্ধে নিগৃহীত এবং নিষ্পেষিত নারীদের উপরে সহিংসতার নানাবিধ মাত্রা থাকে। যুদ্ধাপরাধ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে একটা লেখা লিখবার ইচ্ছা থেকে খুঁজছিলাম কিছু উপাত্ত, সেই খোঁজ থেকেই পাওয়া গেলো ডালিয়া গিলোবার এই গবেষণাপত্রটি।
মূলত বসনিয়া যুদ্ধে নারীর প্রতি নৃশংসতার উপরে লিখিত কয়েকজন লেখকের কিছু অংশ পড়ে শিউড়ে উঠতে হয়। যেমনটা ডালিয়া বর্ণনায় বলছেন-
বসনিয়ায় যা হয়েছে তা অন্যান্য যুদ্ধাকালীন ধর্ষণের তুলনায় ব্যতিক্রম, অনন্য একটি বিবেচনায়-
"There is a difference between the kind of genocidal rape that ends in murder
and the kind that ends in pregnancy: victims of the second kind of genocidal
rape must be able to become, and remain, pregnant. Being a female,
therefore, is a necessary condition for receiving this kind of treatment."
আমি একই সাথে ফিরে দেখতে পাই ১৯৭১, পূর্ব পাকিস্তানের অন্ত্যজ এবং প্রায় হিন্দু হয়ে উঠা বাঙালী মুসলিমদের ধর্মীয় শোষণের জন্য পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কতৃক নিয়মতান্ত্রিক ধর্ষণ এবং নিয়াজীর ঔদ্ধত্বপূর্ণ বক্তব্য- আপনি কি আশা করছেন আমার জাওয়ানেরা যুদ্ধ করবে পুর্ব পাকিস্তানে এবং শরীরের চাহিদা মেটাতে যাবে পাকিস্তানে?
সুতরাং যুদ্ধকালীন বাস্তবতায় এই ধর্ষণগুলো বৈধ।
তবে এই ধর্ষণের অন্য একটি উদ্দেশ্য ছিলো বিদ্রোহী ও স্বাধীকারকামী বাংলাদেশে পাকঔরসজাত এমন কিছু সন্তান উৎপাদন যাদের মায়েরা অনুগত হবে, নৃশংসতায় শিউড়ে উঠে বশ্যতা স্বীকার করে নিবে, যেখানে পুরুষেরা এইসব শিশুদের দেখে আত্মগ্লানী এবং অসহায়ত্বে ভুগবে। এবং নিজেদের মৃত্যু কামনা করবে।
নারীর শরীরের ভেতরে ভ্রুণ প্রবিষ্ট করে দীর্ঘমেয়াদী একটি জিঘাংসা চরিতার্থ করার প্রক্রিয়াটি অনন্য বোধ হয় নয়। যুদ্ধের নির্মমতার স্বীকার হবে নিশ্চিত ভাবেই যারা প্রতিরোধঅক্ষম তারা, তবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ, যেখানে সামাজিক ভাবনায় বসবাস করে নারীর প্রতিরক্ষা পুরুষের দায়িত্ব, যে সমাজে এই বোধ সব সময় চলমান, আমাদের নারীগুলো অবলা, দুর্বল এবং শুধুমাত্র লৈঙ্গিক বিভেদেই তারা এত বেশী প্রতিরোধঅক্ষম যে আমাদের বয়স্ক নারীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা এমনকি পুরুষশিশুকে রক্ষক হিসেবে পাঠাতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করি না, যেকোনো সহিংস পরিস্থিতিতে আদৌ সেই পুরুষ শিশু নারীর নিরাপত্তা রক্ষা করতে সক্ষম কি না?
"There are many women…and many females…who do not qualify, so to
speak, for this particular, and particularly Serb, atrocity because, for any
number of reasons, they do not get pregnant. They may be too young or too
old. They may not ovulate. They may miscarry immediately. "(Allen 121).
তবে বসনিয়ার সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মিলমিশ খুঁজতে গিয়ে একটি বিষয়ে হতবাক হয়ে যাই। প্রত্যক্ষদর্শী এবং আহত ও নির্যাতিতদের ভাষ্য অনুসারে এমন কি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরাও নির্দ্বিধায় তাদের ধর্ষণ করেছে, তাদের সাথে সঙ্গমদৃশ্যের চিত্রায়ন করেছে এবং বিভিন্ন ভঙ্গীদের সঙ্গমের সময় তারা বিন্দুমাত্র বিবেকের দংশনে ভুগে নি।
The spectacle of the United Nations troops violating those they are there to protect adds a touch of the perverse…some UN troops are participating in raping Muslim and Croatian women taken from Serb-run rape/death camps… "the UN presence has apparently increased the trafficking in women and girls through the opening of brothels, brothel-massage parlors, peep shows, and the local production of pornographic films." There are also reports that a former UNPROFOR commander accepted offers from a Serbian commander to bring him Muslim girls for sexual use (MacKinnon 192).
ডালিয়ার বক্তব্যটা চমৎকার, সেখানে ভুক্তভোগী নারীদের অনেকের কাছেই পুরুষমাত্রই শত্রু, সাম্ভাব্য ঘাতকের ভুমিকায় পুরুষ। সার্ব, ক্রোয়েট, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য কেউ আদতে পৃথক সত্ত্বা নয়, প্রত্যেকেই ধর্ষণক্ষম এবং সাম্ভাব্য ধর্ষক।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরাঙ্গনা অধ্যায়ে অনেক কথাই অকথিত। অনেক সাক্ষাৎকার অসম্পূর্ণ, সেখানেও এমন চিত্রায়ন বিরল নয়, শুধুমাত্র শত্রুশিবিরের পুরুষ হওয়ার কারণেই যখন নারী লাঞ্ছনার স্বাভাবিক অধিকারবোধ জন্মে যায় , যুদ্ধকালীন সময়ে যখন শংকর একটি জাতি যারা পিতৃরক্তের প্রতি অনুগত হবে এমন উপজাতীয় ভাবনায় মগ্ন হয়ে যখন নিয়মতান্ত্রিক ধর্ষণ চলতে থাকে, তখন আমার অবাক লাগে। নিজেকে মানুষ ভাবতেও কষ্ট হয় সময় সময়।
Another reason survivors of genocidal rape often wish not to name their rapists even when they are able to do so is that they fear reprisals. These may well occur not only against family members but also against the women still being held in rape/death camps and concentration camps. Such reprisals are expected whenever outside forces are awakened against the genocide. They happened on a large scale in other cities when NATO intervened to lessen temporarily the Serb siege of Sarajevo. No one knows the mortal reality of the threat better than the women themselves (Allen 71).
নিজের পরিবার ও নিজের পরিজনদের লজ্জিত না করবার দোহাই দিয়ে যখন নির্যাতিত সাক্ষ্য দিতে চায় না, তখন বসনিয়ার মানুষদের আমার নিজের দেশের মানুষের মতোই অসহায় মনে হয়, মনে হয় মাঝের কয়েক হাজার মাইলের ব্যবধান সব কিছু নয়, মনঃসত্ত্ব এবং সাংস্কৃতিক ঐক্য আছে, আমাদের সাথে এই সমাজের একটা অলিখিত মিতালী আছে।
নির্যাতিত মেয়েদের অবস্থাই এমন, যদি তারা নিজেদের লাঞ্ছনার কথা বাইরের মানুষের কাছে প্রকাশ করে, তবে নিজের লাঞ্ছনা অ নির্যাতনের অনুভব পুনরায় ফিরে আসবে, এবং যদি এটা সে পরিবারের সম্মতিতে প্রকাশ করতে চায় তবে তার পরিবার আক্রান্ত বোধ করবে এবং যদি নারী বিবাহিত হয় তবে তার বৈবাহিক সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে।
যত বার পড়ি, তত বার ১৯৭২এর কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে একই সময়ে কত নির্যাতিত নারীর সাময়িক আশ্রয় হয়ে উঠেছিলো রাজপথ, কত মানুষ নিজের শহর আর গ্রাম ছেড়ে ভিন্ন কোনো নগরের ফুতপাতে আশ্রয় নিয়েছিলো, কত মেয়েরা পরিবারকতৃক পরিত্যাক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছিলো পতিতালয়ে, এবং এদের ভেতরে কিছু ভাগ্যবতী আশ্রয় পেয়েছিলো ভিনদেশে, এবং তাদের সন্তানদের দত্তক দেওয়া হয়েছিলো।
প্রতিটা যুদ্ধই এমন অনেক ক্ষত রেখে যায়, দিন যায়, ক্ষতের দাগ মলিন হয়ে গেলেও সেই স্মৃতি কখনই মলিন হয় না। আমাদের নির্যাতনপ্রবন পুরুষতান্ত্রিকতা ও সচেতন উপেক্ষা নিয়েই আমাদের ভেতরে এইসব মেয়েরা ঘুরে।
আমাদের কাছে হয়তো ন্যায় বিচারের প্রার্থনা করে, কিংবা ন্যুনতম সহানুভুতি চায়, তাদের উপরে হয়ে যাওয়া নির্যাতন আমরা রোধ করতে পারি নি, কিন্তু আমাদের প্রথা ওসংস্কৃতির দোহাই দিয়ে তাদের বরং নিজেদের ভেতরে গুটিয়ে যেতে বাধ্য করেছি, তাদের এই পরিধির বাইরে চলে যাওয়াটা আমরা রোধ করতে পারি নি। আমরা এখনও ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি নি, আমাদের রাষ্ট্র এখনও প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ন.
অন্তত একবার কি বাংলাদেশ নিজের ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে? যারা যুদ্ধে সরাসরি নারীর সম্ভ্রম লুণ্ঠন করে নি কিন্তু যারা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দোসর ছিলো, তাদের প্রতিকী বিচারও আমরা করতে পারি নি এখনও। অন্তত একজনের বিচার হলেও এই ৪ লক্ষ নির্যাতিত মেয়েরা ভাববে তাদের উপরে সহিংসতার প্রতিকার না হলেও, অপরাধীরা তার অপরাধের শাস্তি পাচ্ছে।
Bibliography
Allen, Beverly. Rape Warfare: The Hidden Genocide in Bosnia-Herzegovina and Croatia. Minneapolis: University of Minnesota Press, 1996.
Arendt, Hannah. Eichmann in Jerusalem: A Report on the Banality of Evil. Middlesex: Penguin Books, 1994.
Dizdarevic, Zlato. Sarajevo: A War Journal. New York: Fromm International, 1993.
Filipovic, Zlata. Zlata’s Diary: A Child’s Life in Sarajevo. New York: Viking, 1994.
MacKinnon, Catherine A. "Turning Rape into Pornography: Postmodern
Genocide" in Alexandra Stiglmayer, ed. Mass Rape: The War Against Women in Bosnia-Herzegovina. Lincoln, University of Nebraska Press, 1994. 73-81.
MacKinnon, Catherine A. "Rape, Genocide, and Women’s Human Rights." Mass Rape: The War Against Women in Bosnia-Herzegovina. Ed. Alexandra Stiglmayer. Lincoln, University of Nebraska Press, 1994. 183-196.
Maass, Peter. Love Thy Neighbor: A Story of War. New York: Vintage Books, 1996.
Silber, Laura and Allan Little. Yugoslavia: Death of a Nation. New York: Penguin Books, 1997.
Stiglmayer, Alexandra. "The Rapes in Bosnia-Herzegovina." Mass Rape: The War Against Women in Bosnia_Herzegovina. Ed. Alexandra Stiglmayer. Lincoln, University of Nebraska Press, 1994. 82-169.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।