আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পেপারকাটিং -১ ; ' কর্মকর্তাদের ফেইসবুক আসক্তি !!!'

ব্যস্ত হাতুড়ে !!! "টাইম কম, সিরিয়াল বিরাট! কাজেই কথা তাড়াতাড়ি শেষ করেন" "মডুদের কাছ থেকে ভিজিট নেওয়া হয় না"

সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারা সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন। তারা কর্তব্য পালনকালীন অধিকাংশ সময় ব্যয় করছেন ফেসবুক চ্যাট, ফেসবুক-দেয়ালে মন্তব্য করা এবং অন্যের করা মন্তব্যের ওপর মন্তব্য করার পেছনে। অর্থাৎ ফেসবুকে যে সময় তারা ব্যয় করছেন, তা করছেন কাজে ফাঁকি দিয়ে। বাংলাদেশের প্রতিদিনের সামপ্রতিক এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব নানা তথ্য। অনুসন্ধানকালে ফেসবুক ব্যবহার করেন এমন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকারী ৪০ কর্মকর্তার ফেসবুক আইডির ওপর গত এক মাস নজর রাখা হয়।

যাদের ফেসবুক আইডির ওপর নজর রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র যুগ্ম-সচিব, উপসচিব; পুলিশের উপকমিশনার, উপ-সুপার, এএসপি, এসআই; বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডিজিএম অ্যাডমিন, কর্নেল, লে. কর্নেল, মেজর; বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন; বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক, জিএম, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, বেসরকারি মুঠোফোন কোম্পানির পদস্থ কর্মকর্তা, আইন পরামর্শক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত গবেষক, বিদেশে কর্মরত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং বিদেশে বিভিন্ন মিশনে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তা। ফেসবুক ব্যবহারকারী ওই কর্মকর্তারা অফিস চলাকালে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফেসবুকের আইডি সাইন ইন করে রাখেন। এ সময় তারা নিজের ফেসবুক-দেয়ালে বিভিন্ন মন্তব্য লেখেন। অন্যের পাঠানো ছবি ও মন্তব্যের ওপর মন্তব্য লেখেন। আবার নিজের পাঠানো ছবি ও মন্তব্যের ওপর অন্যের পাঠানো মন্তব্যেরও জবাব লেখেন।

ফেসবুক আইডি আছে এমন অনেক কর্মর্কর্তাই অফিস সময়ের বেশির ভাগ ব্যয় করেন ফেসবুক ব্যবহারের পেছনে। ওই কর্মকর্তাদের ফেসবুক বন্ধুতালিকার অধিকাংশই হচ্ছে মেয়েবন্ধু। তারা বেশির ভাগ মেয়েবন্ধুর পাঠানো মন্তব্য ও ছবির ওপর মন্তব্য লিখে পাঠান। এর ভালো-মন্দ দিক সম্পর্কে জানতে চাইলে সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক হাসানুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অফিস সময়ে ফেসবুক ব্যবহার করার ফলে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকারীদের অফিসিয়াল দায়িত্ব পালনের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। এভাবে কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়ার ফলে একসময় অফিসের চেইন অব কমান্ড ভেঙে যেতে পারে।

এ ছাড়া অফিস সময়ে ফেসবুক ব্যবহারের ফলে জনগণ ও রাষ্ট্র ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফেসবুক ব্যবহার করার বিষয়ে কঠোর হওয়া উচিত। তবে বেসরকারি কর্মকর্তারাও এর বাইরে নন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, মানুষ অনলাইনে অবস্থান তৈরি করতে এবং আবেগপূর্ণ বেদনা দূর করতে ফেসবুকের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। ফেসবুক মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে একসময় তারা আসক্তিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বে।

আর ফেসবুক মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে তাদের মস্তিষ্ক-ক্যান্সার, মানসিক রোগী ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যখন কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি ফেসবুকের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়, তখন তার কাজের গতি কমে আসে। সঠিকভাবে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এ থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসা উচিত। সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন,২০১০-০৯-২১ প্রকাশিত খবরের ওয়েব লিঙ্ক


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।