এমন এক সময়ে তিনি এ মন্তব্য করলেন যখন বাংলাদেশ কিছু পণ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের চলমান সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য দেন-দরবার করছে।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি আগামী ১৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে আলোচনা করবেন।
দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে টিকফার বিষয়টিও আলোচনায় আসবে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।
মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘বহুজাতিক, আন্তঃসংস্থা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের ফোরাম হিসেবে পরিচিত এই টিকফা চুক্তি সই করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিলো।
তবে জিএসপি ইস্যু সামনে চলে আসায় তা সমাধান না হওয়ায় বাংলাদেশ এবিষয়ে এগোয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টিকফা চুক্তি শিগগিরই সই হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
এক সেমিনারে তিনি বলেন, “অনেকে টিকফাকে বড় দেখে। বিষয়টি আসলে তা নয়। এটা বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনার একটা সুযোগ তৈরি করবে।
”
গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংগঠন ‘আমেরিকান অর্গানাইজেশন অব লেবার-কংগ্রেস ফর ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন’ (এএফএল-সিআইও) বাংলাদেশের জিএসপি (জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স) সুবিধা বাতিলের আবেদন করেছে।
তাদের অভিযোগ, পোশাক ও চিংড়ি খাত এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রম অধিকার সংরক্ষিত হচ্ছে না এবং অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়।
এএফএল-সিআইও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বাণিজ্য রিপ্রেজেনটেটিভ (ইউএসটিআর) বরাবর আবেদন করার পর বিষয়টি আমলে নিয়েছে সংস্থাটি।
গত মার্চে এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি হলেও জুনের প্রথম সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে এবিষয়ে তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মজিনা।
একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির প্রধান পণ্য তৈরি পোশাক জিএসপি সুবিধা পায় না। জিএসপি সুবিধা পাওয়া পণ্যগুলো শুল্কমুক্ত প্রবেশ সুবিধা পায়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাবে, ২০১১-১২ অর্থবছরের বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বেশি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে মোট রপ্তানির ২১ শতাংশ (৫০০ কোটি ডলার)।
২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপির সুবিধায় বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করেছিল ২ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের।
এ সুবিধায় রপ্তানি হয়েছিল তামাকজাত পণ্য, খেলাধুলা সামগ্রী, রান্নাবান্না সামগ্রী (চায়না কিচেনওয়্যার), প্লাস্টিক পণ্য ইত্যাদি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।