সত্যেই হোক মোদের লক্ষ্য
এনথ্র্যাক্স’ নাম গ্রিক শব্দ থেকে উত্তপত্তি। যার অর্থ কয়লা। কারণ এনথ্র্যাক্স রোগীর চামড়ায় যে ক্ষত হয় তা কালো ছাইয়ের মতো দেখায়। বিংশ শতাব্দীর আগে ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ ভিয়েতনামে প্রতি বছর হাজার হাজার প্রাণী ও মানুষ এই রোগে মৃত্যুবরণ করেছে, এর মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্প ও উত্তর আমেরিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ রোগের জন্য দায়ী ব্যাসিলাস এথ্যাসিস (Bacillus anthracis) নামের এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া।
এই ব্যাক্টোরিয়া বিশেষ ধরনের কিছু টক্সিন বা বিষ তৈরি করতে পারে। এ টক্সিন প্রাণীদেহে প্রবেশের দুই থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে প্রাণীদেহের নিউট্রোফিলকে দুর্বল করে ফেলে। নিউট্রোফিল হচ্ছে এক ধরনের শ্বেতকণিকা যা বাইরে জীবাণুর আক্রমণ করে দেহকে রক্ষা করে। টক্সিন নিউট্রোফিলের ফিলামেন্ট তৈরিতে বাধা দেয়, ফলে নিউট্রোফিল চলৎ-শক্তি হারিয়ে ফেলে। আক্রান্ত ক্ষত স্থানে যেতে পারে না, ব্যাক্টোরিয়াকে ধ্বংসও করতে পারে না।
এনথ্র্যাক্স জীবাণু আবিষ্কারের পর শুরু হয় একে অস্ত্র হিসেবে যুদ্ধে ব্যবহার করার মহাপরিকল্পনা। ১৯৩০ সালে প্রথম জাপানের মানুচরিয়ার জাপানিজ কোয়ান্টাং আর্মি যুদ্ধে বন্দিদের উপর এটি প্রয়োগ করে হাজার হাজার বন্দিকে মেরে ফেলা হয়। এরপর থেকে একে যুদ্ধকালীন জীবাণু অস্ত্র হিসেবে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড প্রভৃতি দেশ বিভিন্ন নামে (যেমন, এন এজেন্ট, এন বোমড) ব্যবহার করতে থাকে। এছাড়াও ১৯৪৪ সালে পঞ্চাশ লাখ ক্যাটল কেকসকে এনথ্র্যাক্স জীবাণূর স্পোর সম্পৃক্ত করে তা ‘অপারেশন ভেজেটরিয়ান’ নামে এন্টি লাইভস্টোক ইউপনস হিসেবে জার্মানিতে নিক্ষেপ করার জন্য রয়েল এয়ার ফোর্স জমা করে রাখে। কিন্তু' তা শেষ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়নি এবং ১৯৪৫ সালে তা সম্পূর্ণভাবে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এনথ্রাক্স জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারকারীরা ইতঃপূর্বে কিছু সংখ্যক লোককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিলো। কিন্তু' এদেশে এবার এনথ্রাক্স ব্যবহারকারীরা-
এদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের ইসলামী অনুভূতি নষ্ট করার তথা কুরবানীর মত মৌলিক আমল বাধাগ্রস্ত করার পাশাপাশি এদেশের গরু-ছাগল ভিত্তিক অর্থনীতি এদেশের চামড়া শিল্প নষ্ট করাসহ গোটা অর্থনীতি তথা বাজারই ভারতনির্ভর করে দিতে চাইছে।
অতএব, দেশের চৌদ্দকোটি মুসলমান! ইসলাম বিরোধীদের সব ষড়যন্ত্র থেকে সাবধান।
View this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।