ধুর
ঈদ মানে যে কত্ত আনন্দ তা বলার কোন দরকার নাই... সাথে আরো অনেক কিছুই বলা দরকার মনে করছি না। আমার কথায় সরাসরি চলে যাই।
আমাদের বাসার ঈদ একটু ভিন্ন, প্রতি ঈদের চাঁদ দেখার পরপরই আব্বা আর আমি বাজর থেকে প্রায় ২০-২২ কেজি মাংশ (গরু ১৮-২০ এবং মুরগী ২-৪) কিনি, এরপর বাসার সবাই মিলে হাত লাগিয়ে রাত ১২টার মধ্য রান্না শেষ। এত তাড়াহুড়ার কারণ একটাই, ঈদের নামাজ শেষ হতেই প্রায় ৭০-১০০ জন মানুষ আমারদের বাসায় আসেন ঈদের প্রথম খাবার খেতে। আত্বীয়, অনাত্বীয়, পাড়াপ্রতিবেশী, সরকারদলীয়, বিরোধীদলীয়... মোটকথা সবাই।
নামার শেষ হবার মাত্র ১-১:৩০ ঘন্টা পর সব শেষ, এরপর আমরা বেরহই অন্যের বাসায় বেড়াতে।
এই খাওয়া-দাওয়ার মেইন আকর্ষন থাকে গরুর মাংশ। আমার আম্মা অন্য সবকিছু খুব একটা ভাল রান্না না করলেও গরুর মাংশের টেষ্ট অন্য রকম হয়। আর সবার আগ্রহ থাকে ঐটার উপরেই। একবার মনে আছে মাংশে পোড়া গন্ধ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু মাংশ থাকেনাই একটাও।
যাই হোক, আম্মার মাংশ রান্না করার গল্প দিবনা। আসল কথায় যাচ্ছি।
সবাই তো জানেন এনথ্রাক্স এর কথা। এর জন্য এইবার আব্বা ডিসিশন নিছে যে যাই হোক গরু, ছাগল হবে না। হবে মুরগী।
যারাই শুনছে মনখারাপ করছে। আব্বারে কইলাম চল এলাকার কসাই এর সব গরু নিয়া পশু কেন্দ্রে যাই, টেষ্ট করাই। কিন্তু আব্বা রাজি না। তার কথা মানুষের জীবন নিয়া কোন রিস্ক নিবনা।
তাই একটু খারাপ লাগছে।
কি আর করা। আব্বার কথাই মেনে নিলাম।
সবাইকে ঈদ শুভেচ্ছা, আর ধন্যবাদ কষ্ট করে এই রকম একটা পচা পোষ্ট পড়ার জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।