.
সবাই বলে চাঁদনী রাতে ভালোবাসা জেগে ওঠে
আমার তো চাঁদ-সূর্য নাই রে, সবসময়েই পুষ্প ফোটে
ভোররাত্রে ঘুম ভেঙ্গে যায়, তোমায় স্বপ্ন দেখার পরে
আধো-ঘুম আর জাগরণে উন্মাদনা মন-শরীরে
কোনক্রমে সূর্য উঠলে দীর্ঘশ্বাস হৃদয় জুড়ে
সূর্য তো নয় তোমার মুখটি দেখতে চাই প্রতিটি ভোরে
তোমার বুকের মধ্যে জেগে উঠবো একটু একটু আমি
স্নিগ্ধ সকাল রৌদ্র ছোঁবে তোমার অবাধ্য পাগলামি
শুদ্ধ স্নানের স্নিগ্ধ পরশ দিনের শুরু উষ্ণ চা-য়ে
প্রার্থনাতে কৃতজ্ঞতা, কারণ আমি তোমার বায়ে
কাজের ভীড়ে ব্যস্ত তুমি, গৃহে আমি ঘরকণ্যায়
কেউ জানে না তোমায় ভেবে ভিজতে থাকি ঝড়-বন্যায়
রোদের আকাশ মাথায় করে ক্লান্ত হয়ে তোমার ফেরা
স্বল্প-সময়-শেষে কর্মক্ষেত্রে আবার; নয়নতারা
আমার শান্ত, ঐটুকুক্ষণ তোমায় পরাণভরে দেখি
শ্রদ্ধাজনের আড়ালসীমায় প্রবল তৃষ্ণা মেটায় আঁখি
এমন দিন আর কাটবে কবে এখন দুপুর একা একা
অসহ্য-ক্ষণ মন উচাটন, ফোনের স্বরে কেবল দেখা
কবে পাবো শান্ত বিকেল আচ্ছন্ন তোমার নেশায়
ঘরের টুকিটাকির ফাঁকে বিকেল নামবে রাতের আশায়
রান্নাঘর আর টেলিভিশন, কখোনো বা বই-এর পাতায়
চোখ রাখি, আর মন পড়ে রয় টিক টিক টিক ঘড়ির কাটায়
বাবা-মা-এর সাথে গল্প চলতে থাকে বিরামহীন; আর
ঘর-গুছানোর অবসরে, শব্দ পেলাম তোমার আসার ।
পরিশ্রান্ত শরীর ধুয়ে সতেজ তুমি সবার সাথে
আহার শেষে, হালকা কথা শান্ত স্বরে, কফি হাতে ।
সকল-শেষে গৃহপ্রবেশ, বাতাস কাঁপায় আমের মুকুল
প্রবল যত্নে তুলবে তুমি একটি একটি ঝরা বকুল
এমন রাত আর দিনের অপেক্ষাতে এখন ভাবনা-ব্যাকুল
প্রতি পলক কাটাই আমি নি:স্ব-একা-নীরব-আকুল
ভোর-সকাল-আর-দুপুর-বিকেল-গোধুলী-রাত বিন্দু সময়
ভবিষ্যতের আলোড়নে হচ্ছি আমি তোমাতে ক্ষয় ।
সবাই বলে জোছনা লাগে ভালোবাসা তৈরি হতে
বৃষ্টি ছাড়া হয় না রোমান্স, হয় না কাব্য প্রবল রোদে
আমি তো ভাই পাগল ভীষণ, সময় আমায় করবে কি আর?
পরিবেশের প্রভাব যদি প্রেমে ফেলে, তবে তোমার
কি দাম বলো আছে মনে, কেমন তোমার নিজের ভিত্তি?
জোছনা-রৌদ্র যেটাই থাকুক, তোমাকে চাই এটাই সত্যি...
.
.
.
অন্তরা মিতু
ফেব্রুয়ারী, ২০১০
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।