প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম ও তুরিন আফরোজসহ কয়েকজন মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে এ অভিযোগ জমা দেন।
ট্রাইব্যুনাল আইনের ১১ এর ৪ ধারায় কেন এইচআরডব্লিউর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে আদেশ চাওয়া হয়েছে প্রসিকিউশনের আবেদনে।
এইচআরডব্লিউ পর্ষদ, সংস্থার এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস ও অ্যাসোসিয়েট স্টর্ম সিভকে এই আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত শুক্রবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে আইনে বিচার চলছে তার ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে চাইলেও সরকার তা আমলে নেয়নি।
‘বাংলাদেশ: আযম কনভিকশন বেইজড অন ফ্লড প্রোসিডিংস’ শীর্ষক ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোলাম আযামের রায় দেয়ার আগে ট্রাইব্যুনাল নিজস্ব উদ্যোগে তদন্ত চালানোর যে কথা জানিয়েছে, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল তা পারে না।
স্কাইপসহ ইন্টারনেটে প্রকাশিত কথোপকথন নিয়ে পক্ষপাতের যে অভিযোগ উঠেছে তার কোনো ব্যাখ্যা ট্রাইব্যুনাল দেয়নি। আসামিপক্ষের সাক্ষীদের সুরক্ষা দিতে ট্রাইব্যুনাল ব্যর্থ হয়েছে এবং বিচারক প্যানেলেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আর গোলাম আযমের রায়ে তাকে সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণের অভাব ছিল বলেও এইচআরডব্লিউ মনে করে।
অপরাধ বিবেচনায় সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য হলেও বয়স ও স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনায় গত ১৫ জুলাই গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর রায়ে বলেন, “তার যে অপরাধ, এর সবগুলোই সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।
তবে গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি আছেন। তার বয়স ও শরীরিক অবস্থা বিবেচনা করে এই সাজা দেয়া হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।