অনুভুতিহীন জীবনের অপেক্ষায়... http://www.raatmojur.com/
"অনেকদিন পর, তা প্রায় বছর পাঁচ, না?"
জবাবে শুধুই "হুম" বললাম অভ্যেসবশত।
"ছটফটে ভাবটা অনেক কম" - ইতস্ততঃ করে জানায় সে।
আবারো "হুম" দিয়েই সারি।
"ব্যাস্ত? তাহলে..." - ছোট্ট প্রশ্ন আর একটা আধো সিদ্ধান্তের চাওয়া।
এবারে পূর্ন চোখে তাকাই, "না", আঙুলগুলো ফুঁটিয়ে নেই।
"তুমি ব্যাস্ত থাকলে..." আবারো সিদ্ধান্তের অস্ফুট অনুরোধ।
"নাহ, ডেকেছো শুনে কাজ মিটিয়ে এসেছি। " জানাই জবাবে।
"অবাক লাগছে ডেকেছি বলে?" - মৃদু হাসিতে প্রশ্ন ঝরে।
"পৌঁনে ছয় বছর প্রায়, তুমি একটু মোটা হয়েছ, কারন অপারেশনের পরে মাস খানেক শুয়ে থাকা, ক্যারিয়ার ভালোই চলছে, মেয়েটাও মেধাবী, মিশুক আর ছটফটে, সবমিলিয়ে ভালোই আছো তোমরা" - এক নিশ্বাসে এতগুলো কথা বলে ফেলি।
"কিভাবে?..." আবারো প্রশ্ন আসে।
"খবর রাখি" ছোট্ট জবাব দেই।
"ওহ! অপারেশনটাও!?" - কৌতুহলী হয় প্রশ্ন।
"ডাক্তারটা ছিল খুকু, ওর কথা শুনেছো আগে, দেখোনি, তাই চেনোনি" - জবাব দেই।
কিছু সময় যায় দুজনাই চুপচাপ।
নিরবতা আমার প্রিয়, অথচ এই নিরবতাই অস্থির লাগে তমার কাছাকাছি থাকলে।
তমা, প্রিয়তমা তমা।
আমিই নিরবতা ভাঙি, "এতদিন পরে ডাকলে?"
শাড়ীর আঁচল আঙুলে জড়ায়, "মেয়ে চায় বাবাকে দেখতে। "
জানতে চাই, "ও জানে বাবা বেঁচে?"
একটু হাসি ফোঁটে তার মুখের কোনায়, "এত কিছু খবর রাখো, এটা জানো না?"
"নাহ" উদার গলায় জানাই, "যদি জানতে চাও সে কি পছন্দ করে, বলতে পারি, গত সপ্তায় মা-মেয়ে কোন রেঁস্তোরাতে খেয়েছো সেটাও জানি, এমনকি একটা ছবিও আছে, গাড়িতে উঠছিলো কিটি। "
"সারাদিন পিছু ঘোরো নাকি?" - তার গলায় একটু আত্মপ্রসাদের ঝংকার শুনতে পাই।
বলি, "মেয়েটার জন্য"
"জানি", বলে সে, আরো বলে, "মেয়েও বাবা পাগল। "
জানতে চাই, "কি বলেছ ওকে?"
তমা বলে, সে সবই নিজের ঘাড়ে নিয়ে জানিয়েছে মেয়েকে।
আমি বলি, "ঠিক হয় নি কাজটা। "
আবারো চুপচাপ।
বাইরে গাড়ী থামার শব্দ, একটু পরেই একটা ছোট্র পরী এসে হয়তো বুকে আছড়ে পড়বে, যেটুকুর জন্য সারাদিন ঘুরে মরি, অথচ সামনে যেতে পারিনি এতদিন।
তমা উঠে আসে, চেয়ারের হাতলে বসে, দুহাতে গলাটা জড়িয়ে ধরে সেই আগের দিনের মতন।
একপলকে মনে পড়ে ওকে জড়িয়ে পাশাপাশি বসে অগুনতি রাত পার করেছি একটা সময়।
তখন ঐশ্বরিক লাগতো।
এখন আড়ষ্ট লাগছে কেমন।
আমি প্রতীক্ষা করি বাহুডোর থেকে মুক্তির, একটা ছোট্ট পরীর আগমনের।
তমা ঘন হয়ে আসে, কানে কানে বলে, "আরেকবার কি শুরু করতে পারিনা আমরা নতুন করে?"
আমি শক্ত করে চোখ বুজে ফেলি, কানদুটো উৎকীর্ন হয়ে থাকে দেবদূতের পদশব্দের জন্যে।
ফিসফিস করে কানে আসে, "প্লিজ, ভুলে যাও সব!"
মনে মনে বলি, "বিশ্বাস মাত্র একবারই ভাঙা যায়, বিশ্বাস একবার ভাঙলে কখনো জোড়া লাগে না। "
আড়ষ্ট শরীর একটু একটু করে স্বাভাবিক হয়ে আসে দুপদাপ ছোট ছোট পায়ের শব্দে।
আত্মজা!
----------------------------------------------------------------------------------
অত্যন্ত নীচু মানের সাময়িক আবজাব, বানান ভুলে ভর্তি, নিজ দায়িত্বে পড়বেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।