ফেইসবুকে আমি http://facebook.com/rupam71 এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে বন্ধুরা মিলে চিন্তা করলাম সাগর ঘুরতে যাব। যেই কথা সেই কাজ। কিন্তু কোন সাগরে যাব? কক্সবাজার তো সম্ভব নয় তাই সিধান্ত নিলাম পতেঙ্গা, চট্রগ্রামের বিচে যাব।
কিন্তু বাসা থেকে তো এমনি যেতে দেবে না, তাই বল্লাম আমার বন্ধুর বোনের বিয়ে ওখানে সারাদিন থাকবো। বাসা থেকে রাজি হল।
আমরা ছিলাম ৬ জন। দিনটা ছিল শুক্রবার। সকাল ৭.৪০ মিনিটে আমরা ফেনী রেলস্টেশনে চলে এলাম। কিন্তু সকাল ৮ টার ট্রেন এল সকাল ৯টায়। ট্রেন চট্রগ্রাম পৌছালো সকাল ১১ টায়।
স্টেশনে নেমে নাস্তা করতে করতে ১২টা বাজল। তারপর সিএনজি করে রওনা দিলাম পতেঙ্গার উদ্দেশ্যে। রাস্তায় জ্যম ছিল না, তারপরও পতেঙ্গা পৌছাতে ১ ঘন্টা লাগল। সেদিন আর জুম্মার নামায পড়া হল না।
তখন সাগরে জোয়ার ছিল।
তাই আমরা পতেঙ্গা পাথরের উপরে বসেছিলাম কিছুক্ষন। ঠিক ২টা বাজার কিছু আগে জোয়ারে টান পড়ে, পানি কমতে থাকে। আড়াইটা বাজে সবাই একত্রে পানিতে নামি। স্পীডবোড, নৌকা কিছুই বাদ দি নাই। স্পীডবোর্ড থেকেও বেশি মজা পাইলাম নৌকায়।
প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সাগরের পানিতে ছিলাম। তারপর সবাই একত্রে শরিল মুছে জামা কাপড় চেন্জ করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সাগর পাড়ে পাথরে বসে ছিলাম। ভাবছিলাম আমার বাসা যদি সাগরের কাছে হত কত ভালো হত। সাগর আর আকাশের দিকে তাকালে মন ভালো হয় না এমন কেউ নেই। সেখানে বসে উপভোগ করলাম সূর্য্যস্তের অপরিসীম দ্রিষ্য।
.
সন্ধ্যা ৭টায় আমরা চট্রগ্রাম রেলস্টেষনের উদ্দেশ্য সিএনজিতে উঠি। রাস্তায় প্রচুর জ্যম ছিল তাই স্টেষন যেতে যেতে ৯.১৫ বেজে গেছে। অথচ রাত ৯ টায় উদয়ন ট্রেন চট্রগ্রাম থেকে সিলেটে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেদিন আমাদের ভাগ্য ভালো ট্রেন লেট করেছে। ট্রেনের টিকিট নেয়াটা যে কত কষ্ট সেদিন বুঝলাম।
২ ঘন্টা লাইনে দাড়ানোর পর যখন টিকেট পেলাম তখন তো চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল সবার। ট্রেন প্লাটর্ফমে এসে পৌছাল রাত সাড়ে ১১টায়। তারপর ১২টায় ট্রেন ছেড়ে ফেনী আসল তখন রাত দেড়টা। বাসায় পৌছেছি রাত ২টায়। বাসা থেকে ফোন দিয়েছিল অনেকবার, তা না ধরায় এবং এত রাত করায় অনেক কথা শুনতে হল।
তারপরও যখন ঘুমাতে গিয়েছিলাম তখন মনে হয় যেন সাগরের মত ঢুলছিলাম আমি।
.
সাগর জার্নিটা আসলেই অনেক আনন্দের। যদি কখনো সময় পান তাহলে সাগর থেকে ঘুরে আসার অনুরোধ করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।